ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1037 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1037
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বায়াত গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী।তবে এ বায়াতের অর্থ হল, কোনো নেককার ব্যক্তিকে নিজ ঈমান আ'মল সংশোধনের জন্য শিক্ষক হিসেবে গ্রহণ করে নেয়া। সংগঠন বা দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করা,এ সম্ভলিত যে হাদীসের কথা আপনি উল্লেখ করেছেন, এমন কোনো হাদীস বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়নি। হ্যা, এটা অবশ্যই ঠিক যে, কুরআনের আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা করা ও এর জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করা বা আমিরের অনুসরণ করে চলা অবশ্যই ফরয। সর্বদা হকের সমর্থন করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য।