ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চুরি বলা হয় লুকিয়ে কারো কোনো কিছু নিয়ে নেওয়া।
চুরি করা জগন্যতম অপরাধ ও হারাম।
এর শাস্তি সম্পর্কে শুনুন আল্লাহ তা'আলার ঘোষনা।
ﻭَﺍﻟﺴَّﺎﺭِﻕُ ﻭَﺍﻟﺴَّﺎﺭِﻗَﺔُ ﻓَﺎﻗْﻄَﻌُﻮﺍْ ﺃَﻳْﺪِﻳَﻬُﻤَﺎ ﺟَﺰَﺍﺀ ﺑِﻤَﺎ ﻛَﺴَﺒَﺎ ﻧَﻜَﺎﻻً ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﺰِﻳﺰٌ ﺣَﻜِﻴﻢٌ-
তরজমাঃ-
যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।
সূরা মায়েদাঃআয়াত:৩৮।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
ﻟﻌﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺴﺎﺭﻕ ﻳﺴﺮﻕ ﺍﻟﺒﻴﻀﺔ ﻓﺘﻘﻄﻊ ﻳﺪﻩ ﻭﻳﺴﺮﻕ ﺍﻟﺤﺒﻞ ﻓﺘﻘﻄﻊ ﻳﺪﻩ
আল্লাহ তা'আলা চুরকে লা'নত প্রদাণ করেন।চুর ডিম চুরি করলে,এর সাজা স্বরুপ তার হাতকে কর্তন করা হবে।এবং রশি চুরি করলে,এর সাজা স্বরুপ তার হাতকে কর্তন করা হবে।
সহীহ বুখারী, কিতাবুল হুদুদ,৬২৮৫।
রাসূলুল্লাহ সাঃ আরোও বলেন,
ﻭﺃﻳﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻮ ﺃﻥ ﻓﺎﻃﻤﺔ ﺑﻨﺖ ﻣﺤﻤﺪ ﺳﺮﻗﺖ ﻟﻘﻄﻌﺖ ﻳﺪﻫﺎ
আল্লাহর শপথ! যদি ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদও চুরি করে,তাহলে আমি তার হাতকে কর্তন করে দিবো।
সহীহ বুখারী, ৩২১৬।
সহীহ বুখারী শরীফে এসেছে-----বিদায় হজ্বের ভাষণে রাসূলুল্লাহ সাঃ ঘোষণা দেন,
ﻗﺎﻝ ﻓﺈﻥ ﺩﻣﺎﺀﻛﻢ ﻭﺃﻣﻮﺍﻟﻜﻢ ﻭﺃﻋﺮﺍﺿﻜﻢ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺣﺮﺍﻡ
ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺨﻄﺒﺔ ﺃﻳﺎﻡ ﻣﻨﻰ
তোমাদের রক্ত, সম্পদ ও সম্ভ্রম পরস্পর তোমাদের উপর হারাম।অর্থ্যাৎঃ-কেউ কারো রক্ত, সম্পদ ও সম্ভ্রমের উপর অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না,আঘাত করতে পারবেনা,আত্মস্বাৎ করতে পারবেনা।
সহীহ বুখারী-১৬৫২।
তাছাড়া নবীজী সাঃ আরোও বলেনঃ
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
" ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।
(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/934
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
চুরিকৃত মাল ফিরে পাওয়ার জন্য বেশী করে ইন্নালিল্লাহ পড়তে থাকুন। চাল পড়ার বিশেষ কোনো আ'মল কুরআন সুন্নাহতে নেই। সুতরাং এসমস্ত আমল থেকে বেচে থাকতে হবে।