আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
330 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (31 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম, শায়েখ।
আমার পিতা একজন ব্যাবসায়ী। বযাবসার পাশাপাশি, আমার পিতা বিগত কয়েকমাস যাবত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কিছু চাকুরীজীবীদের ট্রান্সফার/বদলি করানোর জন্য টাকা নিয়ে থাকেন। পরে, তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ও দেশের প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের কাছে তদবির করার মাধ্যমে সেইসকল চাকুরীজীবীদের বদলি করিয়ে থাকেন। আমার প্রশ্নগুলো হচ্ছে,

১)আমার পিতার এই তদবিরের বদৌলতে উপার্জিত টাকা কি হালাল হবে?

২)আর যদি হারাম হয়, তাহলে আমি কি করে এই থেকে বাঁচতে পারবো ? আমি বর্তমানে একজন কলেজ-পড়ুয়া।

৩) আর যদি উপরোক্ত পদ্ধতিতে আমার পিতা কারো চাকরি দিয়ে থাকেন এবং তার বদলে টাকা নিয়ে থাকেন, সেই টাকা কি জায়েজ হবে?
closed

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,

 ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ . ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন। মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১ সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০ 

ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয।অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম।তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম। প্রয়োজনে ঘুষ দেয়া জায়েয।এ বিষয়ের উপর উলামায়ে কেরাম নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করে থাকেন। হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রাযি থেকে বর্ণিত,

 ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇِﻥَّ ﺃَﺣَﺪَﻫُﻢْ ﻟَﻴَﺴْﺄَﻟُﻨِﻲ ﺍﻟْﻤَﺴْﺄَﻟَﺔَ ﻓَﺄُﻋْﻄِﻴﻬَﺎ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻓَﻴَﺨْﺮُﺝُ ﺑِﻬَﺎ ﻣُﺘَﺄَﺑِّﻄُﻬَﺎ ، ﻭَﻣَﺎ ﻫِﻲَ ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﻻ ﻧَﺎﺭٌ ، ﻗَﺎﻝَ ﻋُﻤَﺮُ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻓَﻠِﻢَ ﺗُﻌْﻄِﻴﻬِﻢْ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﻳَﺄْﺑَﻮْﻥَ ﺇِﻻ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﺄَﻟُﻮﻧِﻲ ، ﻭَﻳَﺄْﺑَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻲ ﺍﻟْﺒُﺨْﻞَ ) 

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার কাছে যাকাতের মাল থেকে কিছু দেওয়ার জন্য সুওয়াল করে।অতঃপর আমি তাকে কিছু দিয়ে দেই।তথা তার সুওয়াল আমার কাছ থেকে কিছু নিয়ে নেয়।তবে এই গ্রহণকৃত জিনিষ তাদের জন্য আগুনের মত।তখন উমর রাযি বললেন, হে রাসূলুল্লাহ! তাহলে আপনি কেন দেন?তারা আমারকে লেপ্টে ধরেছে।অথচ আল্লাহ আমাকে কৃপণতা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছন।মুসনাদে আহমদ-১০৭৩৯ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
 আপনার বাবা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কিছু চাকুরীজীবীদের ট্রান্সফার/বদলি করানোর জন্য টাকা নিয়ে থাকেন,এটি ঘুষ।
যাহা গ্রহন জায়েজ নেই।
,
(০২)
যদি সেই ঘুষের টাকা থেকে আপনার বাবার ব্যবসায় অর্জিত টাকাই বেশি হয়,তাহলে সেই সম্পদ ভক্ষন করতে আপনার কোনো সমস্যা নেই।
হ্যাঁ যদি এখানে ঘুষের টাকাই বেশি হয়,তাহলে   
আপনি যেহেতু বালেগ,তাই নিজে ইনকাম করে সেটি দিয়ে চলবেন।
যদি ইনকাম করা সম্ভব না হয়,তাহলে আপাতত প্রয়োজনীয় টাকা সেখান থেকে নিতে পারেন,অপ্রয়োজনীয় নয় ,প্রয়োজনে খাবার খেতে পারবেন,তবে অল্প খাবেন।  

আর এ বাবদ টাকা (প্রয়োজন পূরন+খাবার খরচের টাকা)  উপার্জনে সক্ষম হওয়ার পরে আপনি সদকাহ করে দিবেন।
,
(০৩)
সেটিও ঘুষ এর অন্তর্ভুক্ত, তাই তাহা নাজায়েজ।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...