আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
174 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম ।

১.আমার আজকে সপ্ন দোষ হয়েছে ( ঠিক ভাবে বলতে পারবো না কেননা আমি কিছু অনুভব করি নাই কিন্তু প্যান্ট এ দাগ দেখা যাচ্ছিল।এবং টা প্রসাবের দাগ নয়।আবার এদিকে আমার ঠান্ডা, নাক বন্ধ, জর আছে। মনে হচ্ছে গোসল করলে আমার আবার ঠান্ডা, বেড়ে যাবে। তাই আমি  পুরো শরীর হাতে পানি নিয়ে মুছে ফেলেছি। ওযু করেছি। কিন্তু মনে ওয়াসওয়াসা হচ্ছে। ? মনের মধ্যে ওয়াসওয়াসা হচ্ছে গোসল না করলে সব আমল শেষ। তায়াম্মুম করেও  ও ভরসা পাচ্ছি না।এমন অবস্থায় আমি কি করবো????
২.তায়াম্মুম এর মাধ্যমে কিভাবে ফরজ গোসল করা লাগে?????

৩.রাস্তায় অনেক সময় আম , জাম, বড়ই ,লেবু পড়ে থাকে। আমি জানি এই গাছের মালিক কে। এখন পড়ে থাকা এই ফল কি খাওয়া যাবে? নাকি মালিক কে জানানো লাগবে???
ছোটবেলায় এরকম তো না জানিয়ে খেয়েছি।এখন কি  শুধু তওবা করবো?  আবার আমার বাবা একটা ফল এনেছিল।আমি ভেবেছিলাম এটা অন্যায় তাই খাই নাই। মনের মধ্যে নিয়ত ছিল ওই মালিক এর সামনের রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসবো।যেখানে পরে ছিল।কিন্তু পরে আর হয় নাই।এখন কি গুনাহ হবে?

৪.ইকামত এর জবাব কি দেয়া লাগে?

5.একবার এক রিক্সাওয়ালা কে মুখ ফস্কে বলে ফেলেছি আপনার মত লোকের সাথে কথা বলার সময় নাই। বলেই চুপ হয়ে গেছি । আমি কথা টা ইচ্ছে করি বলিনাই।এবং তাকে চিত করে কথা বলবো তার কোনো নিয়ত ছিল না। এখন খুব খারাপ লাগসে ।এখন কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/11414 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ঘুম থেকে উঠে কাপড়ে আর্দ্রতা দেখলে এর সর্বমোট ১৪ টি সূরত হতে পারে।
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে।এবং স্বরণ না থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি বীর্য সম্পর্কে প্রায় নিশ্চিত, তাই এখন স্বপ্নদোষ স্বরণ না থাকলেও আপনার উপর গোসল ফরয হবে। গোসল করা অসম্ভব হলে আপনি তায়াম্মুম করে নিবেন।

(২)
ফরয গোসলের পরিবর্তে আপনি তায়াম্মুম দ্বারা পবিত্র হতে পারবেন।

(৩)
গাছের নীচে যদি এমন কোনো ফল পড়ে থাকে,যা মালিক কখনো বাধা দিবেনা,যেমন এক দুইটা বড়ই তাহলে এগুলো খাওয়ার রুখসত রয়েছে।তবে বেঁচে থাকাই সর্বোত্তম।আর দামি কোনো ফল যেমন কাঠাল ইত্যাদি, এগুলো নেওয়া যাবে না।

(৪)
জ্বী, ইকামতের জবাব প্রদাণও মুস্তাহাব।

(৫)
উক্ত রিক্সাওয়া মনে যদি কষ্ট পায়,তাহলে তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবেন। আর আপনি ন্যায় থাকলে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 129 views
0 votes
1 answer 300 views
...