ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/8668 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
" ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/3747
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেই হিন্দুর মাল চুরি করেছেন, তাকে সেই মাল বা তার মূল্য পরিশোধ করবেন।আপনি যদি হিন্দুদের সমষ্টিগত কোনো জিনিষ বা মন্দির থেকে কিছু চুরি করেন, তাহলে তাদের সমষ্টিগত কোনো অনুষ্টানে বা মন্দির কর্তৃপক্ষের নিকট ঐ মাল বা তার মূল্য ফিরিয়ে দিবেন।যদি মানসম্মানের ভয় হয় বা চুর প্রমাণিত হওয়ার ভয় হয়, তাহলে দান অনুদানের দেখিয়ে তাদের নিকট মূল্য পরিশোধ করে দিবেন।
(২)
কাফেরদেরকে খুজে পাওয়া না গেলে তাদের সন্তানাদির নিকট দিয়ে দিবেন।যদি তাদের সন্তানাদিকেও খুজে না পান, তাহলে তাদের হেদায়তের আশায় তাদের নামে সদকাহ করে দিবেন।
(৩)
যে কাজের লাইসেন্স করবেন, উক্ত দোকানে শুধুমাত্র সেই কাজই করতে হবে।
(৪)
নিজের ব্যবহারের জন্য পুরাতন ক্র্যক ভার্সন ব্যবহার করতে পারবেন।
(৫)
যতদিন পড়েছিলেন, হিসেব করে ততদিনের টাকা পরিশোধ করলেই হবে।