আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
175 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,

অনেকদিন ধরে একটা মানসিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, দ্বীনের কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করলে ঈমান চলে যাবে,আবার দ্বীনের কোনো বিষয়ে বিদ্বেষ পোষণ করলেও ঈমান ভেঙ্গে যায়। আমার কোনো কিছু করতে গেলেই মনে হয় যে আমি এই বিষয়টাতে ঠাট্টা বিদ্রুপ করলাম অথবা বিদ্বেষ পোষণ করলাম অথচ এটাতো ইসলামের একটা বিষয়।
যেমন, আমাদের ক্লাসের একজন ব্যাচমেট নতুন করে ফরজ পর্দা শুরু করেছে, আগে বেপর্দা চলত, স্যার তখন চিনতে না পেরে বলেছিল তুমি কে? তখন ক্লাসের প্রায় সবাই হেসে উঠেছিল!  আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি না হাসার তারপরও আমার মনে হচ্ছিল আমি মনে হয় হেসে ফেলেছি, অথচ আমি হাসছি কিনা সেটা নিজেও বুঝতে পারিনি, তখন ক্লাসের মধ্যেই মনে মনে কালিমা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম যদি কাফির হয়ে যাই!
আরেকদিন আমার মা ঠাট্টার ছলে একটা জুব্বা পড়া ছেলের ছবি দেখে বলেছিল, এই ছেলে তো তোর বাবার চেয়েও বড় জুব্বা পড়ে! আমি তখন চেষ্টা করছিলাম না হাসার জন্য তারপরেও হেসে ফেলেছিলাম,!
ইসলামকে আমি মনে প্রাণে মেনে নিয়েছি,আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছি,আল্লাহর সব বিধি - বিধানকে শুনলাম এবং মেনে নিলাম, একরকমভাবে ইসলামকে আমি মানার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু তারপরেও এই বিষয়গুলার জন্য মনে হয় যে, আমার ঈমান ভেঙ্গে গেছে!
আমার প্রায় সময়ই এরকম হচ্ছে,দয়া করে আমাকে এই বিষয়টা থেকে বেড়িয়ে আসতে সাহায্য করুন,আমি বুঝতেছিনা আমার কি ঈমান চলে যাচ্ছে নাকি ঠিক আছে।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/20220/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 

পর্দা মহান আল্লাহ তায়ালার ফরজ বিধান,যাহা অকাট্য ভাবে প্রমানীত, এটি মুমিন পুরুষ নারী সকলের জন্যই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

★কেহ যদি আল্লাহ তায়ালার এই ফরজ বিধানকে নিয়ে ঠাট্রা করে,হাসি তামাসা করে,অস্বীকার করে,বিরুপ মন্তব্য করে,ঘৃণা করে, তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।

যেমন দাড়িকে নিয়ে কেহ যদি ঠাট্রা করে,বিরুপ মন্তব্য করে,তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।
(আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল ৭/৮৮) 
,
তেমনিভাবে পর্দা নিয়ে কেহ ঠাট্রা করলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পর্দা নামক ফরজ বিধানকে নিয়ে আপনি কোনো ঠাট্রা করেননি,আপনার অন্তরে এই ব্যাপারের সেই সময় কোনো ঘৃনা আসেনি, সুতরাং  আপনার ঈমান চলে যায়নি।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।    
,
আর জুব্বা তো শরীয়তে অকাট্য ভাবে প্রমানীত কোনো আবশ্যকীয় বিধান নয়।
তাই এটি নিয়ে হাসলেও ঈমান যাবেনা।
আপনার ঈমান চলে যায়নি।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 144 views
...