আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
304 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (100 points)
closed by
১/ কাফের বান্দার খেজুরের রস চুরি করে খাইছি এখন তার কাছে মাফ চাইতে হবে নাকি আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে হবে তওবা কিভাবে করবে।

২/যেসময় মুসলমান  বান্দার হক নষ্ট করছি তখন জানতাম না যে আল্লাহ বান্দার হক ক্ষমা করেন না এই টা কি ওযর বিল জাহালত হবে

৩/ছোট খাটো মুসলমান বান্দার হক নষ্ট করে থাকলে মাফ চাইতে হবে কি
closed

1 Answer

0 votes
by (680,550 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।

(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
উল্লেখিত ছুরতে সেই অমুসলিমের কাছে সমমূল্য ফেরত দিতে হবে,অথবা মাফ চেয়ে নিতে হবে।
শুধু আল্লাহর কাছে তওবা এক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়।
   
(০২)
আপনি এখন যেহেতু বিষয়টি জেনেছেন,সুতরাং এই ওযর গ্রহনযোগ্য হবেনা।
হক আদায় করতেই হবে।   
নতুবা মাফ চেয়ে নিতে হবে।

(০৩)
হ্যাঁ এতেও হক আদায় করতে হবে,অথবা মাফ চাইতে হবে।
,
তবে বিষয়টি যদি এমন হয়,যাহা উক্ত ব্যাক্তি হক নষ্ট হিসেবে ধরেনা,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।

যেমন কাহারো গাছের আম পড়ে থাকলে পথিকের জন্য তাহা ভক্ষনের মাসয়ালা।
এক্ষেত্রে গাছের মালিকের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে কুড়িয়ে পাওয়া আম পথিক খেতে পারবে।
এক্ষেত্রে মালিকের কাছ থেকে মাফ চাইতে হবেনা।
মূল্যও শোধ করতে হবেনা।

আর যদি গাছের মালিক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে,কাউকে পড়ে থাকা আমও খেতে দেয়না। নিষেধ করে থাকে,তাহলে সেই মালিকের গাছের পড়ে থাকা আম খেলেও মাফ চেয়ে নিতে হবে।
বা মূল্য পরিশোধ করতে হবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...