আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
605 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (41 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাহতুহু।আবার বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত।আমি প্রচুর চিন্তায় তাই হুজুর।কাউকে কিছু বলতে পারতেছি না।শায়েখ আমার শেষ কিছু  প্রশ্ন।দয়া করে উত্তর দিয়েন।আমি মারাত্বক ভাবে চিন্তিত যখন থেকে শুনেছি কিয়ামতের আগে স্বামি স্ত্রী যিনা করবে।কি করব বুঝতে পারি না।স্বাভাবিক কথাও বলতে  পারতেছি না কারো সাথে।সবাই নানা ধরনের প্রশ্ন করে কি হয়েছে?  অনেকটা মানসিক প্রেশার যাচ্ছে আমার  উপর দিয়ে।কথা বলতেও ভয় লাগে জিহ্বা চেপে রাখি।ঠোট ও।মারাত্বক ওয়াসওয়াসা হুজুর আমার।আমি স্বামীর সাথে কথাও বলতে পারতেছি না কারো সাথে পারতেছি না।মনে সবসময় ২৪ ঘণ্টা তালাকের ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।আমি মাথা নেড়ে না না করি  মনে মনে।সবাই বলে কি হয়েছে  মাথা কাপে  কেন? কাওকে বলতেও পারি না।আমি মারাত্বক ভাবে ভেংগে পড়েছি। কি করব সারাদিন  এটা মাথা থেকে যায় না।আমি সব ভুলে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে।কারো কথায় হ্যা বা মাথা নেড়ে হ্যা,সূচক উত্তর দিতে ভয় লাগে কারন তখনই তালাকের কথা মনে আসে।মুখ দিয়ে বা জিহ্বা নাড়িয়ে তালাকের কথা বলি না শুধু হ্যা বা না উচ্চারন করি।সবসময় না বলি।হ্যা বললেও কিভাবে বলেছি।কোন ভাবেই কি অধিকারটা স্বামীকে দিয়ে ফেলা যাবে না হুজুর?নিশ্বাস ফেলতে,খেতে,ঢুক গিলতে সহ ভয় লাগে। কোন হ্যা বলতেছি বা ভাবতেছি কিনা ভেবে।ঘুম থেকে সহ চমকে উঠে যায় হ্যা বলছি লাগে বা আওয়াজ বের হলে মুখ দিয়ে।মানে ঠোট আর জিহ্বা নড়ে বা শুধু আওয়াজ বের হলেও ভয় লাগে।ঘুমে ছাড়া এমনিতেও বের হয় মাঝে মাঝে।খুব ভয় লাগে  কোন যিনা হবে কিনা ভেবে,আল্লাহ মাফ করবে কিনা ভেবে।

১।শায়েখ আমি মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।স্বামি আমাকে তালাকের অধিকার দিছে।তালাকের কথা মুখ দিয়ে  উচ্চারণ করি না মনে আসলে সহ না না না করি।না না কথাটা মুখ দিয়ে বের হয়,শুধু তালাকের কথাটা না।আমি মুখ সবসময় বন্ধ রাখি এখন।জিহ্বা ও না লারানোর চেষ্টা করি।চেপে রাখি জিহ্বা।আমার মাঝে মাঝে চিন্তা করি জিহ্বার পেছনের অংশ হালকা নড়ে।মারাত্বক ওয়াসওয়াসা আমার।আমার প্রশ্ন হচ্ছে মুখ বন্ধ রেখে শুধু হ্যা শব্দ টা জিহ্বা নাড়িয়ে বললে কি তালাক হবে? তালাকের কথা মনে আসলে না চাওয়া সত্বেও মুখ দিয়ে বের না করে। আমি মারাত্বক চিন্তাও আসি।জানি না জিহ্বা নড়েছে কিনা।আমি কারো সাথে কথা,সহ বলতে পারি না।খাওয়ার সময় সহ ভয় হয় কোন জিহ্বা নাড়ে হ্যা বলেছি কিনা, তেমনি ঘুমানোর সময় ও।ভয়ে কোন জিহ্বা নড়তেছে কিনা।নামাজে সহ মাথা নাড়ি না,সূচক।বড় করে নিশ্বাস ফেললে সহ ভয় হয় কোন হ্যা বলেছি কিনা।ঢুক গিলার সময় ভয় হয় কোন হ্যা বলেছি কিনা,ঢুক গিলা ওটাকে।ঢুক গিলার সময়,মনে তালাকের কথা ওটা আসে আমার অনেক ভয় লাগে কোন ঢুক গিলা ওটাকে হ্যা ভাবি কিনা।সাথে সাথে না না করি বা না সূচক মাথা নাড়ি।আমি মারাত্বক ভাবে আটকে আছি এটাতে।কিন্তুু ঠোট নাড়ি না।ঠোটের বের করি না।আরেকবার মনে মনে বলতেছি আমি কোনদিন হ্যা বললেও না হবে সেটা কারন আমি নিজ থেকে হ্যা বলব না।আমি মারাত্বক চিন্তায় হুজুর।না না করি যে তখন অন্য কথা শুনে হ্যা বলি।তখন ও ভয় হয় কেন হ্যা বলেছি ভেবে।হুজুর ঠোট না নড়ে যদি জিহ্বা নড়ে হ্যা বললে কি তালাক হবে? আমি জিহ্বা চেপে রাখি তবু মনে হয় যে নড়ে।আমি বুঝতে পারি না।ঢুক গিলতেও কোন কিছু খেতেও ভয়,লাগে তখন ওই মনে তালাকের চিন্তা ওটা চলে আসে।ঢুক গিলা ওটাকে হ্যা ভাবলে কি তালাক হবে? তখন একটু পিছনের দিকে জিহ্বা নড়ে ঢুক গিলি যে তখন।।মারাত্বক চিন্তায় আমি।আমি চাই না নিজেকে তালাক দিতে।কিন্তুু অনিচ্ছা সত্বেও চলে আসে মনে।আর দোয়া,নামাজ বা এমনিতে কথা বলার সময় হু বা হা এসব শব্দ আসলে মনে হয় কোন তালাকের কথা ভেবে বলেছি কিনা অথচ দোয়ার পড়ি তখন।এমনকি বড় করে নিশ্বাস ফেললেও।তালাকের কথা ভেবে হ্যা সূচক নিশ্বাস ফেললেও কি তালাক হবে?আমি পুরো পাগল হয়ে যাচ্ছি। আমি চাই অধিকারটা স্বামিকে দিয়ে দিতে।আমি কারো কথায় হ্যা বলে বা মাথা নেড়ে উত্তর দিতে আমার ভয় লাগে।

২।হুজুর কেনায়া বাক্য,বলার সময় তালাকের মজলিস ছিল কিনা মনে নেই আমার।স্বামীর ও কোন কথা তেমন মনে থাকে না।ওনাকে কি আমার জিগ্যেস করা উচিত হবে? যদি না জেনে মিথ্যাশিকারোক্তি দেয়? আর ওনি তালাকের ব্যপারে কোন প্রশ্ন না করতে বলেছে।রেগে যায় তালাকের প্রশ্ন করলে।

৩।ঠোট আর জিহ্বা নেড়ে শুধু আওয়াজ করলে কি তালাক হবে? হ্যা সূচক?
৪।আমার ছোট বোন কি প্রশ্ন একটা জিগ্যেস করে আমি মাথা নেড়ে হ্যা  সূচক উত্তর দি।আমার মনে সন্দেহ আসে তালাক নিয়ে।আবার ভাবি কিভাবে নাড়ছি।এভাবে মনে হয় বলে আবার হ্যা,সূচক মাথা নাড়ি।আবার টেনশন ঢুকে গেছে শেষ বার মাথাটা কেন নাড়ছি।আমার মারাত্বক টেনশন হচ্ছে হুজুর।হ্যা সূচক মাথা নাড়া  দ্বারা কি তালাক হয়?দয়া করে উত্তর দিয়েন।আমি দোয়া পড়তে, নামাজ পড়তে সহ ভয় হয় কোন মুখ দিয়ে হ্যা বের হল কিনা ভেবে? কারন ২৪ ঘণ্টা তালাকের চিন্তা ঘুরে।আমি চাই না তালাক হোক।মাথা নাড়াতে নাড়াতে মাথা ব্যাথা করে।নিশ্বাস ও ফেলতে ভয় লাগে হঠাত তালাকের চিন্তা চলে আসে।নিশ্বাস ফেলা ওটাকে হ্যা ভাবলে কি তালাক হবে?বড় করে নিশ্বাস ফেলা ওটাকে ভাবলেও কি তালাক হবে?

৫।তালাকের কথা মুখে উচ্চারণ না করে শুধু হ্যা বা না বললে মুখে তখন কি তালাক হবে? মনে তালাকের কথা চিন্তা আসলে? আমি অন্য বিষয়ে হ্যা বললেও ভয় হয় কোন তালাকের কথা মনে আসায় হ্যা বলেছি কিনা ভেবে।মারাত্বক টেনশনে হুজুর।আমার সবসময় মনে আসতে থাকে হুজুর।  অন্য বিষয় নিয়ে হ্যা বলার সাথে সাথে আমার মনে তালাকের চিন্তাও চলে আসে।মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় হুজুর।জিহ্বা নাড়িয়ে মুখ  দিয়ে বের না হলে কি তালাক হবে?

৬।কোন কিছু খাওয়ার সময় মুখ আর দাত আর জিহ্বা সব নড়ে।তখন তালাকের কথা চিন্তা করলে কি তালাক হবে?আমার খুব টেনশন হয় হুজুর।

৭।ঢুক গিলা ওঠাকে যদি হ্যা ভাবে তাহলে কি তালাক হবে? আমার খুব ভয় লাগে ঢুক গিলতেও।মুখ  দিয়ে তালাকের কথা উচ্চারন করি না।না না মাথা নাড়ি তবু পরে হ্যা ভাবি।আমি অসুস্হ হয়ে যাচ্ছি চিন্তায়।

৮।ঠোট আর জিহ্বা চেপে রেখে শুধু হ্যা সূচক আওয়াজ করলে কি তালাক হবে? আমি হুজুর কিছুতেই তালাক চাই না কিন্তুু ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।জানি না এভাবে হ্যা সূচক আওয়াজ করেছি কিনা।আমি কারো কথার উত্তর দিই এখন এইভাবে মুখ বা ঠোট নাড়াতে ভয় লাগে।এইভাবে উত্তর দেওয়ার সময় ভয় লাগে কোন তালাকের হ্যা সূচক উত্তর দিয়েছি কিনা ভেবে।তালাকের কথা মুখ দিয়ে উচ্চারন করিও না।

৯।হুজুর আমি আগে ঈলা সম্পর্কে  প্রশ্ন করেছিলাম।আপনি বলেছিলেন ঈলা হবে না ওটা।ওয়াাওয়াসা আসতে থাকে হুজুর।আমি চাই সব ভুলে যেতে।হুজুর ঈলা চলাকালীন মানে অনেকদিন ধরে তহ ঈলা চলে ওই সময়ে কেনায়া বাক্য তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে? কারন স্বামি বলেছে ওনি তালাকের নিয়তে কথা বলে নি।আর তালাকের কথা যখন হয়েছিল তখন কেনায়া বাক্য বলেছিল কিনা মনে নেই।আমি মাঝে মাঝে তালাক চাইতাম ওনি দেন নি।কিন্তুু যখন তালাক চাইতাম তখন কেনায়া বাক্য বলত কিনা মনে নেই।আমি ঈলা সম্পর্কে আগে কিছুই জানতাম না আমরা আগে।ঈলা চলাকালীন সময়ে কেনায়া বাক্য তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে আর তালাক চাইলেও না দিলে কি তালাক হবে? হুজুর আমরা কেউ ঈলা সম্পর্কে জানতাম না।আমি আমার বাবার বাসায় থাকি।ঝগড়া হত।আমি চাই সংসার করতে হুজুর। হুজুর আমি মারাত্বক টেনশনে।এমন একটা ফতোয়া দেন হুজুর আমার সংংসারটা টিকে যায়।আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি চিন্তায়।স্বামি বা পরিবারের কাউকে কিছু বলতে  পারতেছি না হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (549,150 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাব-


তালাকের কথা চিন্তা করল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। কারণ শুধু অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা  আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
 
অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল , বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৪৩]

কোনো স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পেয়ে যদি মুখে জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে বলে যে "আমি নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করিলাম" বা এই জাতীয় কোনো বাক্য এভাবে বলে বা লিখে,তাহলে তালাক পতিত হবে।
নতুবা শুধু হ্যাঁ বললে তালাক হবেনা।
নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান এর কথা  জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে না বললে তালাক হবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
উল্লেখিত ছুরতে আপনি নিশ্চিত থাকুন কোনো তালাক পতিত হয়নি।

(০২)
আপনি তো সেই সময় স্বামী থেকে তালাক চাননি,তাইনা?

সুতরাং এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
আপনি স্বামীকে প্রশ্ন করবেননা।

(০৩)
শুধু হ্যাঁ সুচক বললে তালাক হবেনা।

(০৪)
এখানে তালাক হবেনা।

(৫-৮)
 উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।

(০৯)
আপনার প্রতি পরামর্শ তালাক নিয়ে না ভাবার।
এই জাতীয় চিন্তা মাথায় আসা মাত্র ঝেড়ে ফেলবেন।
অন্যমনস্ক হয়ে যাবেন বা অন্য কোনো কাজে লিপ্ত হয়ে যাবেন।
,
একাকী সময় কম কাটাবেন। 
তালাক সংক্রান্ত মাসয়ালা পড়বেননা। 

আল্লাহ তায়ালার কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাইবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (0 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমি তালাক সম্পর্কে পরে যখন জানতে পারি মেয়েরা তালাক নিলাম বললে তালাক হয়।এরপর থেকে আমি তালাক নিলাম এই কথাটি মনে আসতেছে।আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইছি যেন এই কথাটি মনে না আসে।রাতে ঘুমাচ্ছিলাম তালাক নিলাম কথাটি মনে এসে ঘুম ভেঙ্গে যায়।আল্লাহকে ডেকে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করলাম নিলাম কথাটি মনে এসে ঘুম ভেঙ্গে যায়।মনেমনে আল্লাহকে ডাকি।কিন্তু তালাক নিলাম কথাটি আসতেই লাগল।হঠাৎ মনে হল তালাক নিলাম কথাটি ভেতর থেকে গলা দিয়ে শ্বাসের মাধ্যমে নাক দিয়ে বের হচ্ছে কিন্তু জিহ্বা ও ঠোঁট নরল না।শুয়া অবস্থায় ছিলাম তাই শ্বাসের শব্দটি কানে আসছিল।এমনিতেই  অনেক সময়জিহ্বা নরতে থাকে      ২।জিহ্বা কিভাবে নরলেতালাক হবে?জিহ্বা দিয়ে তালাক শব্দটা উচ্চারণ হতে হবে?ভাবতে ভাবতে পাগল হতে যাচ্ছি
by (549,150 points)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন। 
by (549,150 points)
জিহবা নাড়িয়ে নিজ কানে আসার মতো পুরো বাক্যটি বললে তালাক হবে।
by
আসসালামু আলাইকুম।আবার বিরক্ত করার জন্য আমি অনুতপ্ত।আগের বিবরণে বলেছিলাম তালাক নিলাম কথাটি হঠাৎ মনে হচ্ছে ভেতর থেকে শ্বাসের মাধ্যমে নাক দিয়ে বের হচ্ছে।জিহ্বা ও ঠোঁট নরল না।শুয়া অবস্থায় ছিলাম তাই শ্বাসের শব্দটি কানে আসছিল।(ঠোঁট নরে নাই নিশ্চিত।এখন সন্দেহ হচ্ছে জিহ্বা হালকা নরল  বা কেপে উঠল কিনা।নাকি নরছে এরকম মনে হচ্ছে।)স্পষ্ট উচ্চারণে কথাটি শুনিনি শুধু শ্বাসের শব্দ শুনলাম।মনে মনে আল্লাহকে যেমন শ্বাসের শব্দ শুনি তেমন তালাক নিলাম কথাটি সময় মনে হল শ্বাসের মধ্যে ধাক্কা খাচ্ছিল বা শ্বাসের মাধ্যমে শুনা যাচ্ছিল।      ১।কথাটি কি জিহ্বা নারিয়ে স্পষ্ট উচ্চারণে শুনতে হবে?ঠোট নারাতে হবে?খুব পেরেশানিতে আছি।আমি চাইনা সংসার ভাঙ্গুক।তাহলে এই কথাটি কেন মনে পরতেছে?
by (549,150 points)
তালাক হবেনা।
by
edited
আসসালামুআলাইকুম আমি রাতে ঘুমাচ্ছিলাম হঠাৎ তালাক বিষয়ক সপ্ন দেখে ঘুম ভেেঙ্গ যায়।কি দেখছি আমার মনে নাই।এরপর আবার আল্ল্াহকে ডেকে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।ঘুমাই গেছিলাম কিনা জানিনা।হঠাৎ দিলাম নিলাম কথাটি দ্বারা ঘুম ভেেঙ্গ যায়।অনুভব করলাম জিহ্বা নরছে।কিন্তু তালাক কথাটি শুনতে পাইনি।বলছি কিনা তা ও জানি না।এর দ্বারা কি তালাক হইছে?এখন ঘুমাতে ও ভয় পাচ্ছি।আমি কিভাবে এসব থেকে মুক্তিপাবো।    ২।মনে মনে তালাক দিলাম না,নিলাম না বলেতছি আবার মাথা নেরে না করছি জিহ্বা নরে হাল্কা,এভাবে বললে তালাক হবে?     ৩।আল্লাহকে ডাকতেছি,আসতাগফিরুল্লাহ পরার সময় জিহ্বা নরে তখন তালাক নিলাম কথাটি মনে আসে।অনেক সময় খাবার খাওয়ার সময়,কথা বলার সময়,দাঁত মাজার সময়,বিিভন্ন ভাবে জিহ্বা নরার সময় তালাক নিলাম কথাটি মনে আসলে বা মনে মনে বললে ,অনেক সময় মনে মনে বলার সময় এমনিতেই জিহ্বা নরলে তালাক হবে?
by (549,150 points)
উল্লেখিত বিবরণ মতে কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।
by (0 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম।বার বার বিরক্ত করার জন্য অনুতপ্ত।কিছু কিছু বিষয় বাদ পরে যাচ্ছে যা নিয়ে টেনশনের হচ্ছে।মাসালা জানার পর শুধু তালাক নিলাম শব্দটি মনে আসে।আগে বিবরনে বলেছিলাম রাতে তালাক নিলাম কথাটি দ্বারা ঘুম ভেঙ্গে যায়।এরপর শুধু তালাক নিলাম কথাটি মনে আসতে ছিল জিহ্বা ও ঠোঁট নরে নাই,শ্বাসের শব্দ শুনি শুয়া অবস্থায় ছিলাম তাই।                  ১।পরে সন্দেহ হয় জিহ্বা নরছে কি না।সন্দেহ দূর করার জন্য এইভাবে  অনেকবার মনে মনে তালাক নিলাম বলি কারণ এইভাবে বললে জিহ্বা নরে নাকি পরীক্ষা করার জন্য,কেমন করে বলছি সেটা বুঝার জন্য। এতে কি তালাক হইছে?                     ২।তালাক শব্দটি উচ্চারন করলে জিহ্বা কিভাবে নরে তা বুঝার জন্য বললে কি তালাক হবে?             ৩।তালাক নিলাম শব্দটি উচ্চারন করলে জিহ্বা কিভাবে নরে সেটি বুঝার জন্য বললে কি তালাক  হবে?       ৪।তালাক শব্দটি উচ্চারন করলে জিহ্বা কিভাবে নরে বুঝার সময় যদি তালাক নিলাম কথাটি অজান্তেই বেরিয়ে আসে তাহলে তালাক হবে?   ৫।তালাক নিলাম কথাটি মনে মনে বললে জিহ্বা নরে নাকি সেটি দেখার জন্য মুখ  খুলে হ্যা করা অবস্থায় আয়না দিয়ে জিহ্বা নরে নাকি  দেখার চেষ্টা করলে মানে মুখ খুলে হ্যা করা অবস্থায় জিহ্বা না নারিয়ে  বলি জিহ্বা নরে উঠে নাকি তাই দেখার জন্য অর্থাৎ মুখ খুলে শ্বাস নিলে হা হা শ্বাসের শব্দ শুনা যায় এরকম শ্বাসের শব্দ শুনা যাচ্ছিল,এ অবস্থায়তালাক হবে?৬।আবার উচ্চারন করলে জিহ্বা কিভাবে নরে আয়না দিয়ে দেখার চেষ্টা করলে জিহ্বা নরার বিষয়টি বুঝার জন্য তাহলে তালাক  হবে?       ৭।তালাক নিলাম  কথাটি উচ্চারন করে মনের অজান্তেই বলছে কিনা সন্দেহ হলে,একবার মনে হচ্ছে বলছি আরেকবার মনে হচ্ছে বলছি না।এতে তালাক হবে?মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরছি।  ৮।আমি আমার মেয়েকে বললাম তুমি দুষ্টুমি করলে আমি বাসা থেকে বের হয়ে্ যাবো।বলার আগে হঠাৎ করে বলছি।বলার পর সাথে সাথে মনে হচ্ছে শুধু তালাক শব্দটি,তালাক নিলাম এরকম না?এরপর মনে হতে লাগল আমি কি তালাকের নিয়তে বলছি?না তালাকের নিয়তে তো বলিনি এমন মনে হচ্ছে।বলার আগে কোনো নিয়ত ছিল না মেয়ে জ্বালাচ্ছে।বাসা থেকে বের হয়ে যাবো বলা শুরু করার সময় তালাক কথাটিমনে আসে নি কিন্তু কথাটি শেষ করার আগেই শুধু তালাক শব্দটি মনে আসে তবে তালাক হবে?মেয়েদের দ্বারা কেনায়া তালাক হয়?আমার কথাটি বলার আগে তালাক শব্দটি মনে আসেনি।এই বিষয়টি নি চিন্তায় আছি।আমাকে একটু সমাধান দেন প্লিজ।

by
Plz answer ta den
by (549,150 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
জবাবঃ- 

(০১)
তালাক হয়নি।

(০২)
তালাক গ্রহনের ইচ্ছা না থাকায় তালাক হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৪)
তালাক গ্রহনের ইচ্ছা না থাকায় তালাক হবেনা।

(০৫)
এ অবস্থায় তালাক হবেনা।

(০৬)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৭)
সন্দেহের ভিত্তিতে তালাক হয়না।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা। 

(০৮)
না,এতে তালাক হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...