আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
আসসালামু -আলাইকুম।


১/মানুষ কাজের মাধ্যমে নিজেই নিজের ভাগ্য গড়ে।এটা কতটুকু সঠিক?

২/আমাদের এলাকায় যুবকরা অসহায় দারিদ্রদের কয়েকবছর যাবৎ সাহায্য সহযোগীতা করছে।
সাহায্য সহযোগীতার পরিধি বাড়ানোর জন্য তারা একটা ফাউন্ডেশনের নাম নির্বাচন করতে চাচ্ছে।
উস্তাজ,আপনি অর্থ সহ একটি আরবি নাম সিলেক্ট করে দিলে কৃতার্থ হতাম।

৩/জুব্বা পড়া কি সুন্নাত নাকি আদত?
তেমনি লাউ খাওয়া।
আর যদি সুন্নাত হয়ে থাকে জুব্বার ক্ষেত্রে  কি সাওয়াবের আশা করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ سُلَيْمٍ، قَالَ قَدِمْتُ مَكَّةَ فَلَقِيتُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ فَقُلْتُ لَهُ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ إِنَّ أَهْلَ الْبَصْرَةِ يَقُولُونَ فِي الْقَدَرِ . قَالَ يَا بُنَىَّ أَتَقْرَأُ الْقُرْآنَ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ فَاقْرَإِ الزُّخْرُفَ . قَالَ فَقَرَأْتُ : (حم* وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ * إِنَّا جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ * وَإِنَّهُ فِي أُمِّ الْكِتَابِ لَدَيْنَا لَعَلِيٌّ حَكِيمٌ ) فَقَالَ أَتَدْرِي مَا أُمُّ الْكِتَابِ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ فَإِنَّهُ كِتَابٌ كَتَبَهُ اللَّهُ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَقَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ الأَرْضَ فِيهِ إِنَّ فِرْعَوْنَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ وَفِيهِ : (تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ ) قَالَ عَطَاءٌ فَلَقِيتُ الْوَلِيدَ بْنَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ مَا كَانَ وَصِيَّةُ أَبِيكَ عِنْدَ الْمَوْتِ قَالَ دَعَانِي أَبِي فَقَالَ لِي يَا بُنَىَّ اتَّقِ اللَّهَ وَاعْلَمْ أَنَّكَ لَنْ تَتَّقِيَ اللَّهَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ كُلِّهِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ فَإِنْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا دَخَلْتَ النَّارَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أَوَّلَ مَا خَلَقَ اللَّهُ الْقَلَمَ فَقَالَ اكْتُبْ . فَقَالَ مَا أَكْتُبُ قَالَ اكْتُبِ الْقَدَرَ مَا كَانَ وَمَا هُوَ كَائِنٌ إِلَى الأَبَدِ " .

আবদুল ওয়াহিদ ইবনু সুলাইম (রাহঃ) বলেন, আমি মক্কায় যাওয়ার পর আতা ইবনু আবী বাবাহর সাথে দেখা করলাম এবং তাকে বললাম, হে আবূ মুহাম্মাদ বাসরায় বসবাসকারীরা তো ভাগ্য সম্পর্কে এ ধরনের অস্বীকারমূলক কথা-বার্তা বলছে। তিনি বললেন, হে বৎস! তুমি কি কুরআন তিলাওয়াত কর? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে সূরা যুখরুফ' তিলাওয়াত কর। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তখন এ আয়াত পাঠ করলামঃ  “হা-মীম! সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ! নিশ্চয়ই আমরা তা অবতীর্ণ করেছি আরবী ভাষায় কুরআনরূপে, যাতে তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার। তা সংরক্ষিত রয়েছে আমার নিকট একটি মূল কিতাবে, এতো অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন মহান বিজ্ঞানময়" (সূরাঃ  যুখরুফ - ১-৪)।

তিনি প্রশ্ন করেন, তুমি জান, মূল কিতাব কি? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, তা একটি মহাগ্রন্থ যা আল্লাহ তা'আলা আসমান-যমীন সৃষ্টির আগেই লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তাতে এ কথা লিখা আছে যে, ফিরআউন জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত। আর তাতে এ কথাও লিখা আছে যে, আবূ লাহাবের দুটি হাত ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সে নিজেও ধ্বংস হয়েছে।

আতা (রাহঃ) বলেন, তারপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম সাহাবী উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ)-এর ছেলে ওয়ালীদের সাথে দেখা করে তাকে প্রশ্ন করি, আপনার পিতা তার মৃত্যুকালে আপনাকে কি কি উপদেশ দিয়ে গেছেন? তিনি বললেন, তিনি আমাকে সামনে ডেকে বললেন, হে বৎস! আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর আর জেনে রাখ, যে পর্যন্ত তুমি আল্লাহ্ তা'আলার উপর বিশ্বাস না আনবে এবং ভাগ্য ও তার ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস না আনবে তুমি সে পর্যন্ত আল্লাহ্ তা'আলার ভয় অর্জন করতে সক্ষম হবে না। এ বিশ্বাস ব্যতীত তোমার মৃত্যু হলে তুমি জাহান্নামী হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ  আল্লাহ তা'আলা সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করে তাকে আদেশ করেনঃ  লিখ। কলম বলল, কি লিখব? তিনি বললেনঃ তাকদীর লিখ, যা হয়েছে এবং অনন্তকাল পর্যন্ত যা হবে সবকিছুই।
(তিরমিজি ২১৫৫)

حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ حَتَّى يَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَهُ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَهُ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَهُ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَهُ "

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ  কোন বান্দাহই মু'মিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত না সে তাকদীর ও তার ভাল-মন্দের উপর ঈমান আনবে। এমনকি তার নিশ্চিত বিশ্বাস থাকতে হবে যে, যা কিছু ঘটেছে তা কিছুতেই অঘটিত থাকত না এবং যা কিছু ঘটে নাই তা কখনোও তাকে স্পর্শ করবে না।
(তিরমিজি ২১৪৪)

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِأَرْبَعٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ بَعَثَنِي بِالْحَقِّ وَيُؤْمِنُ بِالْمَوْتِ وَبِالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَيُؤْمِنُ بِالْقَدَرِ " .

মুহাম্মদ ইবন গায়লান (রহঃ) .... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চারটি বিষয়ে ঈমান না আনা পর্যন্ত কোন বান্দা মু’মিন হতে পারবে নাঃ সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই আর আমি আল্লাহর রাসূল, তিনি সত্যসহ আমাকে প্রেরণ করেছেন; মৃত্যুর উপর ঈমান আনবে; মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের উপর ঈমান আনবে; তাকদীরের উপর ঈমান আনবে।  সহীহ, ইবনু মাজাহ ৮১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৪৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটি যথাযথ ভাবে সঠিক নয়।

(০২)
আল ইনছাফ ফাউন্ডেশন, আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, আল কারীম ফাউন্ডেশন ইত্যাদি নাম দিতে পারেন।

(০৩)
জুব্বা পরিধান করা সুন্নাতে যায়েদাহ।
এটি পড়লে ছওয়াব হবে।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...