জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কুনুতে নাজেলাহ
মহিলা,এবং মুনফারিদ (একাকি নামাজ আদায় কারীরা)ও পড়তে পারবে।
তবে মহিলারা জোড়ে আওয়াজ পড়বেনা।
(ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ ৬/২৪)
মুসলমানদের উপর কোন বিপদ আপদ আসলে, ইসলামের শত্রুদের জন্য হেদায়াতের দুআ বা বদদুআ করার জন্য ফজরের নামাযের দ্বিতীয় রাকাতে রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে কুনুতে নাজেলা পড়া মুস্তাহাব।সর্বদা ফজরের নামাযের সময় এমনটি করবে না। বাকি যদি কেউ করে, তাহলে সেটিকে বাতিল বলে বাঁধা দেবারও প্রয়োজন নেই। তবে কথা হল, কুনুতে নাজেলা শুধু বিশেষ মুহুর্ত তথা ব্যাপক বিপদ, যুদ্ধকালীন সময় ইত্যাদি মুসিবতের সময় পড়াই মুস্তাহাব।
أَبُو مَالِكٍ، قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي: يَا أَبَتِ إِنَّكَ قَدْ ” صَلَّيْتَ خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ “، وَأَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَعُثْمَانَ، وَعَلِيٍّ هَاهُنَا بِالْكُوفَةِ، قَرِيبًا مِنْ خَمْسِ سِنِينَ، أَكَانُوا يَقْنُتُونَ؟ قَالَ: أَيْ بُنَيَّ، مُحْدَثٌ
হযরত আবু মালিক থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আমার পিতা! নিশ্চয় আপনি রাসূল সাঃ, হযরত আবু বকর রাঃ, হযরত উমর রাঃ, হযরত উসমান রাঃ ও হযরত আলী রাঃ এর পিছনে কুফায় প্রায় পঞ্চাশ বছর নামায পড়েছেন, তারা কি ফজরের নামাযে সর্বদা কুনুত [নাজেলাহ] পড়তেন? তিনি বললেন, হে আমার বৎস! না এটি নতুন করে শুরু হয়েছে। [আগে পড়া হতো না]। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৫৮৭৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১২৪১, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৪০২, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১৪৭৪, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-১২৯২}
হাদীসটি সহীহ।
,
কুনুতে নাযেলাহ এবং তাহা পড়ার পদ্ধতি সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইসলামের উপর বিপদ আসলে কঠিন মছিবতের সময় আপনি ফজরের নামাজের ২য় রাকাত থেকে রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে কুনুতে নাজেলা পড়তে পারেন।
এক্ষেত্রে যেই দোয়া হাদীস শরীফে আছে,সেই দোয়া পাঠ করবেন।
ইসলামের শত্রুদের নাম উচ্চারণের সময় শুধুমাত্র তাদের নাম গুলি আরবীতে বলতে না পারলেও সরাসরি যেইভাবে ডাকা হয়,সেভাবে বলতে পারেন।
নামাজে বাংলায় দোয়া করা সংক্রান্ত জানুনঃ