আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
385 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম দয়া করে উত্তর দিবেন।  আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন ইনশাআল্লাহ।

১।কোন স্বামী যদি স্ত্রীকে *** শর্ত দেয় কোন একটি সন্দেহের বিষয়ে কথা না বলতে,,, কারন স্ত্রীর  নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের সন্দেহ নিয়ে সে বিরক্ত ছিল। স্বামী বলেছিল এইসব নিয়ে আর কিছু না বলতে আর যদি বলে তাহলে,,,,, এইভাবে বলে যদি সে তা***** শ দেয়  এবং,,তারপর

যদি এমন হয় স্ত্রী পরবর্তীতে শিউর হবার জন্য  প্রশ্ন করেছিল, ""  সন্দেহের কথা বলতে নিষেধ করেছিলে??"" এই কথার মাধ্যমে স্ত্রী যদি মনে মনে বুঝিয়ে থাকে যেকোন সন্দেহের কথা বলতে  নিষেধ করেছিল কিনা???

আর স্বামী যদি প্রশ্ন শুনে ভাবে স্ত্রী  প্রশ্ন করেছে একটি বিষয়ের সন্দেহ করার বিষয়ে।  সে তাই  উত্তর দেয়  "হ্যাঁ"""। স্বামী   যদি না বুঝে যে স্ত্রী সকল বিষয় বুঝিয়েছিল কিনা। ভাবে স্ত্রী জিজ্ঞেস করেছে শুধুমাত্র একটি বিষয়ের সন্দেহের কথা। সেই ঘটনার কথা চিন্তা করেই স্বামী উত্তর দেয় হ্যাঁ,,,,, কারন স্বামী আগে শুধুমাত্র একটি বিষয়ে সন্দেহ নিয়ে কথা বলতেই নিষেধ করেছিল। স্বামী সকল বিষয়ে সন্দেহের কথা বুঝায়নি একটি বিষয় ভেবে উত্তর দেয়।

 এখন স্ত্রীর প্রশ্ন অনুযায়ী  সকল সন্দেহের বিষয়ে প্রশ্ন করার উপর শর্ত পরবে নাকি শুধু স্বামী যে বিষয়ের কথা বুঝে উত্তর দিয়েছে সেই বিষয়ের উপর শর্ত থাকবে??কারন স্বামী বুঝেছিল একটি বিষয়ের সন্দেহ করার কথা।  এবং পরবর্তীতে আবার সে বলে সে একটি বিষয়ে কথা বলতেই নিষেধ করেছিল।

২। স্ত্রী যদি স্বামীর থেকে কোন কারনে প্রচন্ড কষ্ট পেয়ে বলে যে সে কোন একদিন বা পরবর্তীতে স্বামীকে ছেড়ে চলে যাবে।  এবং স্বামীও সেটা শুনে কষ্ট পায় এবং বলে,, ওহ কোন একদিন চলে যাবা?? তাহলে অপেক্ষা কেন করবা  পরে চলে যাইবা কেন,,,, এখনি চলে যাও,,, সে বুঝাতে চেয়েছিল পরে চলে গেলে কষ্ট লাগবে তাই এখন চলে যাওয়ার কথা বলে।।

এখন এইখানে কি স্ত্রীর মনে ***** কথা থেকে থাকে,, তাহলে কি স্বামীর মনে তা**** না থাকলেও পতিত হবে??  বা এটা কি তা*** মজলিস হবে??এই ঘটনার সময় তারা কেউই কেনায়া শব্দর বিষয়ে জানত না।

৩। স্বামীর নিয়ত না থাকলেও কি **** পতিত হবে ২ নাম্বার প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে??

৪। ইজাব কবুলের সাক্ষী হতে একজন পুরুষ বা একজন নারীর বয়স কত হওয়া লাগবে??...

৫। সন্দেহের বশে কি ইজাব কবুল হয় যদি সঠিক কোন ঘটনা মনে না থাকে??

৬। হুজুর একজন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অনেকসময় কেনায়া বাক্য বলা হয়ে থাকে কিন্তু স্বামী বলে নিয়ত ছিল না। কিন্তু ২ নাম্বার প্রশ্ন করার সময় উল্লিখিত ঘটনা নিয়ে স্ত্রী সন্দেহে আছে কোন ভাবে তা**** বায়ে* পতিত হলো কিনা। আবার তারপর অজান্তে ইজাব কবুল হলো কিনা,,, কারন ওই ঘটনার পর আরো অনেকবার অনেক কেনায়া বাক্য বলা হয়েছে যেগুলো তে স্বামী বলেছে নিয়ত ছিল না। কিন্তু তাও আবারও পতিত হবে কিনা।

৭। স্ত্রী সন্দেহে থাকে যে কোন ঘটনার কারণে ইজাব কবুল হয়েছিল কিনা। সে অনেক চেষ্টা করেও সঠিক কোন ঘটনা মনে কর‍তে পারে না।।শুধু সন্দেহ আসে। এখন কি সে আরও মনে করার চেষ্টা করবে?? নাকি আল্লাহর উপর ভরসা করে সংসার করবে??

৮।হুজুর আপনার কাছে প্রশ্ন করার সময় যদি কেউ, " অনেকবার কেনায়া বাক্য বলা হয়েছে""" এইটা লিখার সময় যদি মনে মনে ওয়াসওয়াসা কাজ করে। বা এইটা লিখার সময় কোন মহিলা মনে মনে **** কথা ভাবে তাহলে কি সমস্যা হবে???  বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ


হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা ১০১ ১০২ )

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,


عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .


আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীকে তালাকের প্রশ্নবানে জর্জরিত করা হচ্ছে।
যাহা খুবই মারাত্মক একটি বিষয়। 
এথেকে হেফাজতে থাকতে হবে।

   
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সকল সন্দেহের বিষয়ে প্রশ্ন করার উপর শর্ত পরবে না।
শুধু স্বামী যে বিষয়ের কথা বুঝে উত্তর দিয়েছে সেই বিষয়ের উপর শর্ত থাকবে।

(২.৩)
এক্ষেত্রে স্বামীর তালাক প্রদানের কোনো নিয়ত করেনি,স্ত্রীও স্বামী থেকে তালাক চায়নি।
তাই তালাক পতিত হবেনা। 
   
(০৪)
বালেগ বালেগাহ হতে হবে।

(০৫)
অভিভাবক, এবং সাক্ষীদেরকে ডাকা হবে।
স্বামী থেকেও জানতে হবে।
যদি কেহই ইজাব কবুল সম্পর্কে না জানে,আর স্বামী স্ত্রী যদি উভয়েই সন্দেহে পড়ে,তাহলে এই  ইজাব কবুল হবেনা।

নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

(০৬)
এক্ষেত্রে তালাক পতিত হবেনা।  

(০৭)
৫ নং জবাব দ্রষ্টব্য।

(০৮)
এক্ষেত্রে সমস্যা হবেনা।
তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...