আসসালামু আলাইকুম হুজুর। এই বিষয়ে সাহায্য করেন আমাকে। আপনার জবাব পেয়ে শান্তি পাব আশা করি ইনশাআল্লাহ।
১।আমি একটি বিষয়ে জানতে চাই,,, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তো কত কথাই হয়। হয়তো অনেক সময় অনেক কেনায়া বাক্য ও বলা হয়। কিন্তু স্বামী বলে সে কখনোই তা*** নিয়তে কিছু বলেনি৷ স্ত্রী হচ্ছে ওয়াসওয়াসার রোগী, সে ভাবে স্বামী হয়তো বুঝতেই পারে না মনে কোন ভাবনা আসলে তা**** নিয়ত করা হবে। তাই স্ত্রী ভাবে তাদের সম্পর্ক কি সঠিক আছে নাকি তার স্বামী কেনায়া বাক্য বলার কারনে কোনোভাবে তা*** পতিত হয়েছে কিনা তাদের অজান্তেই।
আবার সন্দেহ হয়, কিছু কাজের মাধ্যমে নাকি ইজাব কবুল হয়ে যায়,,, এখন কোন কেনায়া বাক্য বলার পর যদি তাদের মধ্যে তা**** পতিত হয়ে থাকে,, তাহলে কি আবার অজান্তেই ইজাব কবুল হয়ে যেতে পারে?? বা তারপর আবার ও কেনায়া বাক্য বলার কারনে তা*** পতিত হতে পারে? স্ত্রী সন্দেহে থাকে এইভাবে কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা বা তাদের সম্পর্ক বৈধ আছে কিনা?
**স্ত্রীর এমন কোন স্পষ্ট ঘটনা মনে নেই যেটাতে ইজাব কবুল হতে পারে। শুধু মনে আছে বিয়ের পর বিভিন্ন সময় স্বামী বিভিন্ন মানুষের সাথে বউ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিত আর বউ তাদের সালাম দিত। এইসব ঘটনার মাধ্যমে কি ইজাব কবুল হতে পারে যদি সেটা ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের সামনে হয়??
***স্বামীর একজন ভাবি একদিন স্ত্রীকে কয়েকজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় যে,এটা অমুকের বউ। এবং সেখানে অনেক কথা বার্তা হয়। কিন্তু স্বামীর সাথে ইজাব কবুলের মতো কিছু ঘটেছিল কিনা স্পষ্ট মনে নেই। এইসব ঘটনার আগে যদি তাদের মধ্যে কেনায়া বাক্য হয়ে থাকে তাহলে কি এইসব ঘটনায় ইজাব কবুল হবে?? আর এইসব ঘটনার পরে আবার কেনায়া বাক্য বললে কি আবারও সমস্যা হবে কিনা??
২।স্বামী যদি বলে কখনোই সে অন্য ধরনের নিয়তে কিছু বলেনি তাহলে কি স্ত্রী দায়ী থাকবে তার সাথে সংসার করার কারনে??স্ত্রীর যদি সন্দেহ থাকে তাহলেও কি স্বামীর কথার উপর বিশ্বাস করে সংসার চালিয়ে যাবে?? এতে কি স্ত্রী দায়ী থাকবে?? কারন স্ত্রী ওয়াসওয়াসার সমস্যায় ভোগে।
৩। স্ত্রীর যদি এইসব নিয়ে সন্দেহ হয় সবসময় সেজন্য কি স্ত্রীর উচিত হবে তার স্বামীর থেকে ***** চাওয়া বা এরকম কিছু করলে কি সে পাপী হবে?? সে যদি মানসিক শান্তি না পায় তাহলে করনীয় কি?
৪।স্বামীকে স্ত্রী অনেকবার বলেছে কেনায়া ধরনের বাক্য না বলতে,, তাও স্বামী রাগ হলেই এই ধরনের অনেক কিছু বলে। আবার নিয়ত জিগ্যেস করলে রাগ করে প্রচন্ড৷ এই ক্ষেত্রে করনীয় কি?? এইটা কি তা***** কোন কারন হতে পারে?? অকারণে তা*** চাইলে নাকি মহিলা পাপী হয়৷ কিন্তু এইসব ক্ষেত্রে কি করা উচিত যদি স্ত্রী বার বার মানা করার পরেও স্বামী বিভিন্ন সময়ে কেনায়া বাক্য বলে??
৫। কোনে একটা হাদিসে আছে যে শেষ জামানায় মানুষ নাকি স্ত্রীর সাথে যিনা করবে। এখন স্ত্রী সন্দেহে থাকে তাদের মধ্যেও এমন কিছু যদি হয়ে থাকে তাহলে?? এইটা নিয়ে সে ভিষণ ভয়ে থাকে। এখন স্ত্রী তা**** চাইলেও যদি পাপী হয় আবার সংসার চালিয়ে গেলেও যদি অজান্তে পাপী হয়,,, তাহলে সে কি করবে???? বলে দেন দয়া করে
৬। স্বামী অনেক সময় অনেক বাক্য বলে যেগুলো নিয়ে স্ত্রী সন্দেহ করতে থাকে। যেমনঃ """স্বামি যদি বলে তুমি এই ঘরে আসবা না আজকে,,, যদি আসো আমি বাড়িতে চলে যাবো"" সে বুঝাতে চেয়েছে বউ এই ঘরে আসলে সে বাড়িতে চলে যাবে আর মানুষ এইসব দেখে মজা নিবে তাই বউ যাতে না আসে৷ এইটা কি কেনায়া বাক্য?? শশুড় বাড়িতে ছিল সে,,, বউ ঘরে আসতে দেরি করায় এই কথা বলে মেসেজ দিয়ে বউকে।তখন বউ তার মার ঘরে ছিল। এখন স্বামীর এইভাবে কথা বলা কি কেনায়া বাক্য হবে?? এরপর ওই রাতে বউ ওই ঘরে যায়,,,,কিছুক্ষণ পর। এখন সমস্যা হবে কোন?? এইটা নিয়ে স্বামী কে জিজ্ঞেস করলে সে খুবই রাগ করবে। ভয়ে স্ত্রী জিজ্ঞেস করতে পারবে না।
স্বামীতো বলেনি এই ঘরে আসলে ****. বা এইভাবে বুঝায়নি কথাটা। তাহলে হুকুম কি??