আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
337 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (81 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু।দয়া করে ৬টা পয়েন্ট গুলোর উত্তর দিয়েন।আপনার একটা ফতোয়া আমার জন্য খুব উপকার হবে।।আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুক।আমিন

1.স্বামী আমাকে তালাকের অধিকার দিয়েছে।আমি মারাত্বক ওয়াসওয়াসা রূগী।সবসময় ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে। তালাকের আমার মনে আসলে সহ না না না করতে থাকি।আবার মাঝে মাঝে না সূচক মাথা নাড়ি।নামাজে সহ মাথা নাড়ি মনে আসলে।না না না করতে করতে মনের অজান্তে মুখ দিয়ে হ্যা বের হলে কি তালাক হবে বা  না সূচক মাথা নাড়তে নাড়তে মনের অজান্তে হ্যা সূচক মাথা নাড়লে কি তালাক হবে?না সূচক মাথা নাড়তে নাড়তে  তালাকের বিষয় নিয়ে হাদিস পরতেছিলাম অন্য আরেকটা প্রশ্নে তখন হ্যা সূচক মাথা নাড়ি অন্য হদিস ওটার  সাথে একমত এটা ভেবে মাথা নাড়ি।এরকম আবার না সূচক মাথা নাড়তে নাড়তে তালাকের বিষয়ে অন্য  আরেক জনের ওয়াজ শুনতেছিলাম তখন ওনার বিষয়ে একমত হয়ে মাথা নাড়ি।এখন ভয় হচ্ছে কোন তালাক হবে কিনা। কিন্তুু নিজের নফসে তালাক দেওয়ার জন্য মাথা নাড়ি নি।বিষয়টা নিয়ে ভয় হচ্ছে।

2.শায়েখ,স্বামীকে বার বার তালাকের কথা জিগ্যেস করায় ওনি বলেছে এ ব্যপারে প্রশ্ন না করতে।আমার কি জিগ্যেস করা উচিত হবে কাউকে তালাকের ব্যপারে কাউকে কোনদিন বলেছে কিনা জিগ্যেস করা উচিত হবে? ওনি আবার রেগে যাবে বলে ভয়ও লাগে

3.জানি না এরকম বলেছে কিনা বা আমি ঠিক কি বলেছি। তবু সন্দেহ নিয়ে প্রশ্নটা করতেছি।স্ত্রী যদি রাগ করে বলে তালাক  দাও।স্বামি যদি বলে এতে খুশি হবা  বা আমি চলে গেলে খুশি হবা? স্ত্রী যদি বলে হ্যা। তারপর স্বামি যদি অভিমান করে বলে ঠিক আছে মেসেজ দিও না আর কোনদিন।আবার মাঝে মাঝে থেত আর মেসেজ দিবি না বলত।আবার এরকম বলে ব্লক ও করে দিত মাঝে মাঝে।মানে প্রায় সময়।এর পর ঠিকি আবার কথা বলে।রাতে উক্ত কথাটা বললে সকালে মেসেজ দেয়।আর সকালে বললে ২০  মিনিট বা ১ ঘন্টা পর মেসেজ দেয়।আমরা আগে জানতাম ও না কেনায়া তালাক কি সেটা।জানার পর স্বামিকে জিগ্যেস করি।ওনি শপথ করে বলে তালাকের নিয়তে কোনদিন কোন কথা বলে নি।উক্ত কথাগুলো আগের কথা বললেও আগের কথা। স্বামী মেসেজ না দিতে বলেছে যে ওটা কি কেনায়া বাক্য? এর দ্বারা কি তালাক হবে?

4.স্ত্রী যদি বলে মুক্তি দাও বা তালাক দাও আর সহ্য করতে পারতেছি না।এত অবহেলা করিও না।আসলে স্বামির দূরে থাকে।সারাদিনে কথা বলে না ব্যস্ত থাকত তখন।আগের কথা আমি কান্নাকাটি করে আর অভিমান করে বলতাম। আবার মাঝে মাঝে বেশি বকা বা গালি দিলে বলতাম।স্বামির যদি অভিমান করে বলে এত খারাপ আমি? দিব মুক্তি।  এত কষ্ট হলে থাকিও না।তুমার ইচ্ছে হলে চলে যেতে পার বা যাও।কস্ট করে থাকিও না।জোর করব না।মুক্তি দিব বলত কিনা মনে নেই।আর বাকি গুলো বললে এতে কি তালাক স্বামীর নিয়ত না থাকলেও? আমি সন্দেহ নিয়ে প্রশ্নটা করেছি।জানার জন্য।ঠিক এমনটা বলেছে তা না।মনে সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করেছি।

5.স্বামীকে মাঝে মাঝে সময়  দিতে না পারলে সে খুব রাগ করত।আমাদের বিয়ে হয়েছিল কিন্তুু তখন বাসায় জানত না।আমি বলতাম বুঝাতাম তবু বুঝতে চাইত না।মেসেজে কথা হয়।আমি রাগে বলতাম যদি এত না বুঝ ছেড়ে দাও আর সহ্য করতে পারতেছি না।এত জ্বালানি।স্বামি বলতেছে আমি জ্বালাচ্ছি? তারপর বলত ঠিক আছে আর জ্বালাব না।আর আসব না তুমার জীবনে।মেসেজ ও দিব না আর কোনদিন কল ও দিব না।তুমিও দিও না।এরকম বলে ব্লক করে দিত মাঝে মাঝে।এরপর আবার ঠিকি কথা হত।এগুলো অভিমান করে বলত স্বামী। সে কোন তালাকের নিয়তে বলত না এসব।এর দ্বারা কি তালাক হবে? মানে মেসেজ দিও না বলে ব্লক করে দিত, ওনিও দিবে না বলত।এগুলো কি কেনায়া বাক্য? আমরা জানতাম ও না  এসব কেনায়া তালাকের ব্যপারে কিছু।

6.স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামি  রেগে যদি বলে দিব।এরপর যদি গালি দিয়ে স্বামী  বলে ফোন রাখ,মেসেজ  দিবে না আর (কোনদিন)বলে রেখে  দেয়।উপরের (কোনদিন) কথাটা বলত কিনা সন্দেহ আছে। আবার ব্লক করে দেয়। এগুলো কি কেনায়া বাক্য? আবার পরে সব ঠিক হয়ে গেলে কি তালাক হবে?আমাদের মেসেজে কথা হয়।উক্ত কথাগুলো দ্বারা কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামীকে তালাক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা বা অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা কোনোটাই উচিৎ হবে না।আপনার সমস্ত বিবরণ পড়ে, বুঝে শুনে বলছি, আপনাদের কোনো তালাক হবে না।তাই আপনারা অযথা তালাক নিয়ে টেনশন করবেনা।নিজ সংসারে আগুন লাগাবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...