আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
374 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
উস্তাদ কেমন আছেন?

আমি IOM এর  ২১৬ ব্যাচ এর স্টুডেন্ট।
কয়েকমাস যাবৎ আমার একটা সমস্যা হচ্ছে।

আল্লাহতালা আমাকে পূর্বের খারাপ রাস্তা থেকে হেদায়েতের আলো দিয়েছিলেন। আল্লাহর রহমতে ৭/৮ মাস চোখের হেফাজত করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু হঠাৎ করে কি যে হলো মাঝে মধ্যেই কবিরা গোনাহ করে ফেলি। বুঝতেই পারছেন উস্তাদ।

অনেক কান্নাকাটিও করি এজন্য কিন্তু হঠাৎ করেই যেনো আবার কি হয়ে যায়।
তাই আমি চাচ্ছিলাম এমন কোনো উপায় যদি থাকে নিজের উপর জ্বীন প্রয়োগ করে নিজেকে কন্ট্রোল করার। ব্যাপার টা এমন, আমি কোনো খারাপ কাজ করতে চাইলে আমার সাথে থাকা জ্বীনটা আমাকে বেত্রাঘাত করুক। কোনো বেগানা মহিলার দিকে চোখ পড়ার পরে যদি সরিয়ে না নিই তাহলে আমাকে বেত্রাঘাত করুক, যেখানে মিথ্যা বলা যায়েজ নাই সেখানে মিথ্যা বললে বেত্রাঘাত করুক, এরকম কোনো পাপ কাজ করলেই আমাকে বেত্রাঘাত করুক।

যদি এমন কোনো উপায় থাকে তাহলে আমাকে সাহায্য করুন উস্তাদ। আমি খুবই আপসেট আছি এই ব্যাপারে।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জ্বীন দ্বারা গোনাহের দিকে ধাবিত হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ। 
আপনি হয়তো প্রশ্নটি বুঝতে পারেন নি।
জ্বীন দ্বারা নিজেকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা যাবে?
by (589,140 points)
জ্বীন দ্বারা নিজেকে অন্যা্য় কাজ থেকে বিরত রাখারও কোনো সুযোগ নাই। বরং আপনি আল্লাহর ভ য়েই গোনাহ থেকে বেচে থাকবেন। নিজ ইচ্ছায় গোনাহ থেকে বেচে থাকবেন। বাধ্য হয়ে গোনাহ থেকে বাচার নাম ঈমান  নয়। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...