আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
১) আমার এক ওয়াক্ত নামাজে পুরো সময় ধরে সাদা স্রাব হয়েছে কখনো এক দিরহাম কখনো একটু কম এমন অবস্থায় আমি কি মাজুর হিসেবে গণ্য হব? মানে একটা ফরজ নামাজের সময়ের মধ্যেই ৫/৭/১০ মিনিট পরপর এমন


২) আমার পিরিয়ডের পর প্রচুর সাদা স্রাব হয়। তখন নামাজ পড়তে অসুবিধা হয় অনেক। তাই আমি সবার আগে ফরজ নামাজ পড়ে ফেলি তারপর সুন্নত নামাজ পড়তে চেষ্টা করি তখন সুন্নত নামাজের ভেতর সাদা স্রাব আসলে আমি আর পড়িনা সুন্নাত নামাজ। এখন আমার এটা কি ঠিক হচ্ছে? ঠিক না হলে করণীয় কি?


৩) আমার নামাজের ওজু করার আগে বাথরুমে যেতে হয়। যদি এমন হয় আযান দিয়ে দিল তখন নলে পানি নেই আর অন্য জায়গায় পানি যেগুলো আছে সেগুলো হাত বা কাপড়ের ছিটা লেগে নষ্ট হয়ে গেছে তাহলে তখন করণীয় কি? ওই নষ্ট পানি দিয়ে ই বাথরুমের কাজ সেরে ওজু করে নামাজ পড়তে হবে নাকি পরে পানি আসার জন্য নামাজ না পড়ে অপেক্ষা করতে হবে?


৪) দান করার সময় যদি এমন নিয়াত করে দান করি আল্লাহ আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্য দান করছি যেন আপনি আমার প্রতি খুশি হয়ে অমুক কাজ করার তওফিক দান করেন, আমার অমুক দু'আ যেন কবুল হয় সেজন্য। এমন নিয়াত করে দান করা ঠিক আছে? জায়েজ আছে?নাজায়েজ কিছু না তো তাই না?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/50নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।

এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
ক/
সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।

খ/
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।

মা'যুরের হুকুম হল,
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।
তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে।ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪

নেপকিন জাতীয় কিছু পড়ে নিলে সমস্ত কাপড় নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
(১)
যেহেতু এক ওয়াক্ত নামাযের পুরো সময় ধরে সাদাস্রাব নির্গত হয়েছে, দুই রাকাত নামায পড়া সম্ভব হয়নি, তাই আপনি মা'যুর হিসেবেই গণ্য হবেন।তবে যদি দুই রাকাত নামায পড়া কোনোভাবেই সম্ভব হয়ে যায়, তাহলে আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন না।

(২)
সুন্নত নামাযে সাদ্রাস্রাব আসলে তৎক্ষণাৎ অযু করে এসে আবার ঐ সুন্নত নামাযকে পড়তে হবে।পরিত্যাগ করা যাবে না।

(৩)
পবিত্র পানি পাওয়া না গেলে পানির জন্য নামাযের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও পানি পাওয়া না গেলে তায়াম্মুম করে নামায পড়ে নিতে হবে।

(৪)
জ্বী, এমন নিয়ত করে দান করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...