আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
শায়েখ, জনৈক যুগল পিতা-মাতার অমতে পালিয়ে গিয়ে কোর্ট ম্যারিজ করেছে (রেজিস্ট্রি সহ)। কিন্তু বিয়েতে কাজী দ্বারা কোন কবুল পড়ানো হয় নি। বিয়ের বয়স প্রায় ৩ বছর হয়ে গিয়েছে এবং ছেলের বাসার সবাই মেনে নিলেও মেয়ের বাসা থেকে কেউ এখনো মেনে নেয় নি। এখন এই যুগল শরীয়ত সম্মত ভাবে বিয়ে করতে চাচ্ছে। যেহেতু শ্বশুর এখনো অমত, এখন তাদের করণীয় কি? তাদের পূর্বের বিয়ে কি হয়ে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/11771 ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছে,   ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যে কোর্ট ম্যারিজ করেছে,এই বিবাহে যদি পাত্র পাত্রী উভয়েই বালেগ বালেগাহ হয়ে থাকে, এবং  দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এর সামনে বর কনের কেউ বিবাহের প্রস্তাব পেশ করে থাকে,আর বর কনের অপর জন কবুল বলে থাকে,তাহলে উক্ত বিবাহ শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবেনা।
মেয়ের পরিবারের কেউ যেহেতু মেনে নিচ্ছেনা,তাই স্বামী স্ত্রী উভয়ে চাইলে এইভাবেই ঘর সংসার চালিয়ে যেতে পারবে।
আর যদি তারা বিচ্ছেদ চায়,সেটিও করতে পারে।

তবে পাত্র পাত্রীর মাঝে কুফুর সামঞ্জস্যতা না থাকলে মেয়ের বাবা আদালতের মাধ্যমে উক্ত বিবাহ বিচ্ছেদ করানোর ক্ষমতা রাখবেনা।
তিন চাইলে আদালতের স্বরনাপন্ন হয়ে উক্ত বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেন।
এই অধিকার শরীয়ত মেয়ের বাবাকে দিয়েছে।

তবে পাত্র পাত্রীর মাঝে কুফুর সামঞ্জস্যতা থাকলে মেয়ের বাবা এই অধিকার পাবেনা।

আরো জানুনঃ

আর উপরোক্ত কোর্ট ম্যারিজে উপরোক্ত ভাবে ইজাব কবুল না হলে আগের সেই বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।এতোদিনের তাদের ঘর সংসার যেনা হবে।
,
আগের বিবাহ যেহেতু হয়নি,তারা চাইলে পুনরায় নতুন করর বিবাহ পড়িয়ে নিতে পারেন,চাইলে মেয়ে অন্যত্রেও বিবাহ বসতে পারেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...