ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ تَقُولُ كَانَ يَكُونُ عَلَىَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ، فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَ إِلاَّ فِي شَعْبَانَ. قَالَ يَحْيَى الشُّغْلُ مِنَ النَّبِيِّ أَوْ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
আহমদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার উপর রমযানের যে কাযাথেকে যেত তা পরবর্তী শাবান ছাড়া আমি আদায় করতে পারতাম না। ইয়াহিয়া (রহঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যস্ততার কারণে কিংবা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ব্যস্ততার কারণে।
(বুখারী ১৮২৬)
অন্য বর্ণনায় আয়েশা রাঃ বলেন, ‘রমজান মাসে আমার যে রোজাগুলো ছুটে যেত পরবর্তী শাবান মাসের মধ্যেই আমি তা কাজা করে ফেলতাম।’
(মুসলিম)
রমজানের ভাংতি রোজাগুলো রমজানের পর যে কোনো মাসে কাযা আদায় করে নেয়া যাবে। তবে রমজানের পর পরই কাজা আদায় করতে হবে বা লাগাতার কাজা আদায় করতে হবে,—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
"وقضوا لزومًا ما قدروا بلا فدية و بلا ولاء؛لأنه على التراخي."
(رد المحتار،کتاب الصوم، فصل في العوارض المبيحة ...)
সারমর্মঃ
আবশ্যকীয়ভাবে সেই রোযা গুলির কাজা আদায় করতে হবে,এখানে কোনো ফিদইয়াহ নেই,কোনো ধারাবাহিকতা রক্ষাও নেই।
এটি দেড়িতেও আদায় করা যাবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একবারে বা ধারাবাহিকভাবে না রেখে ভেঙে ভেঙে রাখা যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
ধারাবাহিকতা বজায় না রেখে কিছুদিন পর পর একটা একটা করে রাখা যাবে।