জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো সহবাস কিংবা খালওয়াতে সহীহাহ এর পূর্বে যদি কেহ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়,সেক্ষেত্রে যদি বিয়ের সময় মোহর নির্দিষ্ট করা থাকে, তাহলে নির্ধারিত মোহরের অর্ধেক উক্ত মেয়েকে প্রদান করা আবশ্যক।
আর যদি মোহর নির্দিষ্ট না করেই বিবাহ করে থাকে, তাহলে এক জোড়া কাপড় তথা জামা, পায়জামা ও উড়না প্রদান করা আবশ্যক।
আর যদি স্ত্রী সেচ্ছায় তার মোহরের অধিকার ছেড়ে দেয়, তাহলে মোহর মাফ বলে গণ্য হবে। মোহর দিতে হবে না। আর যদি মাফ না করে, তাহলে দিতে হবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَإِن طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِن قَبْلِ أَن تَمَسُّوهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ إِلَّا أَن يَعْفُونَ أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ ۚ وَأَن تَعْفُوا أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ ۚ وَلَا تَنسَوُا الْفَضْلَ بَيْنَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ [٢:٢٣٧]
আর যদি মোহর সাব্যস্ত করার পর স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিয়ে দাও, তাহলে যে, মোহর সাব্যস্ত করা হয়েছে তার অর্ধেক দিয়ে দিতে হবে। অবশ্য যদি নারীরা ক্ষমা করে দেয় কিংবা বিয়ের বন্ধন যার অধিকারে সে (অর্থাৎ, স্বামী) যদি ক্ষমা করে দেয় তবে তা স্বতন্ত্র কথা। আর তোমরা পুরুষরা যদি ক্ষমা কর, তবে তা হবে পরহেযগারীর নিকটবর্তী। আর পারস্পরিক সহানুভূতির কথা বিস্মৃত হয়ো না। নিশ্চয় তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ সেসবই অত্যন্ত ভাল করে দেখেন। {সূরা বাকারা-২৩৭}
لَّا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ مَا لَمْ تَمَسُّوهُنَّ أَوْ تَفْرِضُوا لَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَمَتِّعُوهُنَّ عَلَى الْمُوسِعِ قَدَرُهُ وَعَلَى الْمُقْتِرِ قَدَرُهُ مَتَاعًا بِالْمَعْرُوفِ ۖ حَقًّا عَلَى الْمُحْسِنِينَ [٢:٢٣٦]
স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করার আগে এবং কোন মোহর সাব্যস্ত করার পূর্বেও যদি তালাক দিয়ে দাও, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই। তবে তাদেরকে কিছু খরচ দেবে। আর সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এবং কম সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সাধ্য অনুযায়ী। যে খরচ প্রচলিত রয়েছে তা সৎকর্মশীলদের উপর দায়িত্ব। {সূরা বাকারা-২৩৬}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনাদের যদি ইজাব কবুল না হয়ে থাকে,তথা বর ও কনে অথবা তাদের প্রতিনিধি ২ জন বালেগ পুরুষ এর সামনে যদি বিবাহের প্রস্তাব ও কবুল না বলে থাকে,তাহলে তো এই বিবাহই হয়নি।
সুতরাং মোহরানার কোনো অপশন নেই।
,
কোনো মোহরানা আদায় করতে হবেনা।
আর যদি উপরোক্ত পদ্ধতিতে বিবাহ হয়ে গিয়ে থাকে,তাহলে সেক্ষেত্রে যদি বিয়ের সময় মোহর নির্দিষ্ট করা থাকে, তাহলে নির্ধারিত মোহরের অর্ধেক উক্ত মেয়েকে প্রদান করা আবশ্যক। আর যদি মোহর নির্দিষ্ট না করেই বিবাহ করে থাকে, তাহলে এক জোড়া কাপড় তথা জামা, পায়জামা ও উড়না প্রদান করা আবশ্যক।
(০২)
মেয়ে রাজি হলে এক্ষেত্রে আপনার করনীয় নেই।
আইনি ভাবে কোনো সমস্যা হবেনা,ইনশাআল্লাহ।