আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামুআলাইকুম

১.যদি কারো পিতা মাতা বেনামাজী হয় কিন্তু তাদের ইমান ছিল ( তারা বিশ্বাস করতো আল্লাহ্ আছে,জান্নাত ,জাহান্নাম আছে)। এমন ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কবরের আযাব কমানোর জন্য সন্তান যদি পিতা-মাতার জন্য দুআ করে ,দান সাদাকা,নেক আমল করে তাহলে কি তাদের কবরের আযাব কমবে?? এক্ষেত্রে সন্তান তাদের কবরের আযাব যাতে কমে এজন্য আর কি কি করতে পারে?? বিস্তারিত জানাবেন প্লীজ
২. যদি কারো মৃত পিতা মাতা এমন হয় যে তারা মুসলিম ছিল কিন্তু বেনামাজী আর সন্তানের সন্দেহ হয় তাদের হয়তোবা ইমান ছিল না। এক্ষেত্রে এমন সন্দেহ করা কি ঠিক যদি কোন ব্যক্তি সরাসরি অস্বীকার না করে?
৩. মৃত কাফির পিতা মাতার জন্য  সন্তান কি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দুআ করতে পারবে ? নাকি দুআ করা হারাম?

1 Answer

0 votes
by (675,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত মুমিন ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কবরের আযাব কমানোর জন্য সন্তান যদি পিতা-মাতার জন্য দুআ করে ,দান সাদাকা,নেক আমল করে তাহলে তাদের কবরের আযাব কমবে।
ইনশাআল্লাহ।  

হাদীসে রাসূল সাঃ বলেনঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ: إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন তার নেক আমল করার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি পথ ছাড়া। একটি হল, সদকায়ে জারিয়া, দ্বিতীয় হল ইলম, যদ্বারা মানুষ উপকার পায়, এবং তৃতীয় হল, নেক সন্তানের দুআ। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস  নং-৮৮৪৪, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮৮০, মুসলিম, হাদীস নং-১৬৩১] 
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ছদকায়ে জারিয়াহ করতে পারে।
,
ঈসালে  ছওয়াব করতে পারে। 
ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে যেসব কাজ করা যায়ঃ

মৃতের নামে সদকা করা।
কুরবানী করা।
মৃতের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা।
মৃতের জন্য দুআ করা।
ইস্তিগফার করা।
হজ্ব করা।

ইত্যাদি পূণ্যের কাজ করে মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সওয়াব করা যায়। যা কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে সুষ্পষ্টরূপে প্রমাণিত।

আরো জানুনঃ 

শরীয়তের বিধান হলো কুরআন কারীম তেলাওয়াত করে বা ছদকাহ করে ঈসালে ছওয়াব করা যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১/৩৭৫)

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উপরোক্ত  আমল করে সন্তান তার বাবা মার জন্য ছওয়াব পৌছিয়ে দিতে পারবে।

আরো জানুনঃ 

(০২)
এমন সন্দেহ করা ঠিক নয়।
তাই সন্তানের জন্য তার মৃত পিতা মাতার মাগফিরাত কামনায় দোয়া,ঈসালে ছওয়াব করা উচিত।

(০৩)
এক্ষেত্রে তার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করতে পারবেনা।
এটি নাজায়েজ। 

আল্লাহ তাআলা বলেন-
مَا كَانَ لِلنَّبِیِّ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَنْ یَّسْتَغْفِرُوْا لِلْمُشْرِكِیْنَ وَ لَوْ كَانُوْۤا اُولِیْ قُرْبٰی مِنْۢ بَعْدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمْ اَنَّهُمْ اَصْحٰبُ الْجَحِیْمِ

“নবী ও যারা ঈমান এনেছে তাদের পক্ষে মুশরিকদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা সংগত নয়, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজন হলেই বা কি এসে যায়, যখন একথা সুষ্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামেরই উপযুক্ত।”(সূরা আত তওবা : ১১৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...