আসসালামু আলাইকুম হুজুর।দয়া করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে চিন্তামুক্ত করেন।হুজুর দয়া করে বিরক্ত হবেন না। বেশ কিছু প্রশ্ন করেছি৷ উত্তর প্রদান করে আপনার মুসলিম বোনকে উপকৃত করেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন ইনশাআল্লাহ।
১।স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী,, তাই তার স্বামী কোন ধরনের কেনায়া বাক্য বললেই তাকে সে তালাকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে।
ওইদিন একটা কেনায়া ধরনের শব্দ শোনার পর স্ত্রী এই প্রশ্ন করায় স্বামী প্রচন্ড রেগে যায়।
""সে বলে এই কথার মধ্যে তালাক পাইলা কই?? সারাদিন এত তালাক তালাক করো কেন??
তালাক মনে হয় তোমার মাথায় বাসা বাধছে। ""এইসব কথা সে খুবই রাগ করে বলে।।মেসেজে হয়েছে কথাগুলো।
স্বামী যে এতবার তালাকের শব্দ লিখেছে সেজন্য কি সমস্যা হবে??
যদি শব্দ লিখার সময় নিজের স্ত্রীকে মনে মনে ভেবে ফেলতো?
২। স্ত্রী স্বামীকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে খুবই রাগ করবে তাই সে সরাসরি জিগ্যেস করেনি। স্বামী যখন বলেছে এই জঘন্য শব্দ টা কেন বলো? নিজেও বললা আমাকে দিয়েও বলাইলা।।তারপর স্ত্রী বলে যে, এইভাবে বললে সমস্যা হয়না। তারপর স্বামী বলে তাহলে সারাদিন তালাকের শব্দ বলবো নে সমস্যা হয়না যেহেতু??.তারপর স্ত্রী বলে আরে আমি বলেছি অন্য কথা বলতে গিয়ে বা উদাহরণ দিতে গিয়ে উচ্চারণ করলে সমস্যা হয়না।।তুমিতো আর আমাকে দেওয়ার জন্য বলোনি তাই কোন সমস্যা হবে না সেটা বলেছি। তারপর হয়তো স্বামী বুঝতে পারে তাই সে চুপ থাকে। সে যদি তা**** দেওয়ার জন্য লিখতো বা লিখার সময় মনে মনে অন্য কিছু ভাবতো তাহলে স্ত্রী এই কথা বলার পর অবশ্যই বলতো। স্বামীর হয়তো এই ধরনের ইচ্ছা ছিল না সে রাগ করে অন্য কথার প্রেক্ষিতেই বলেছে তালাকের শব্দটা,, তাহলে কোন সমস্যা হবে??
৩। স্বামী যদি কখনো তালাকের শব্দ উচ্চারণ করে বা মনে মনে নিয়ত করে ফেলে কোন কেনায়া শব্দ বলার সময়।।স্ত্রী সেটা জানেও না।।তাহলে কি স্ত্রী দায়ী থাকবে??
স্বামী তাকে কোন কথায় তালাকের নিয়তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে খুবই রাগ করে, তাই স্ত্রী যদি স্বামীর কোন কেনায়া বাক্য যেমনঃ আর একটা কথাও বইলো না/ আমার সাথে তোমার কথা নাই/ ভালো থাইকো/ বা এধরণের যেকোন শব্দ বলে,,,,, স্বামীকে নিয়তের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে রাগ করবে বলে যদি স্ত্রী কিছু জিজ্ঞেস না করে তাহলে কি স্ত্রী পাপী হবে যদি স্বামী মনে মনে নিয়ত করে থাকে???
৪। স্ত্রী যদি কোনদিন স্বামীকে তালাকের নিয়তের বিষয়ে না জিজ্ঞেস করে কারন স্বামী রাগ করে, তাহলে কি স্ত্রী দায়ী হবে? বা স্বামী যদি এরকম নিয়ত করে নিজেই পরে ভুলে যায়,, বা মনে মনে কোন নিয়তে বললে বা কিভাবে বলতে তালাকের নিয়ত হবে বুঝতে না পারে তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন?? সে হয়ত রাগের বশে অনেক কথা বলতে পারে যেগুলো তে তালাকের নিয়ত করলে হতে পারতো, কিন্তু স্বামী রাগের সময় বুঝেই নি মনে মনে কি চিন্তা এসেছে বা যে চিন্তা এসেছে তাতে তা*** পতিত হবে কিনা সে জানেনা। বা প্রকাশও করেনা। কারন সে ভাবে এইভাবে ভেবে বললে কিছু হবে না। এমন হলে কি আল্লাহ মাফ করবেন?? স্বামী যদি বুঝতেই না পারেন কেনায়া শব্দ বলার সময় কোন ধরনের ভাবনা আসলে তালা* পতিত হবে তাহলে সে দায়ী থাকবে???
৫। যদি কোন কারণে কোন স্বামী স্ত্রীর ১ তা**** বায়ে* পতিত হয়। পরে তাদের ইজাব কবুল পরানো না হয়। এমন কোন ঘটনার মাধ্যমে কি তাদের ইজাব কবুল হয়ে যেতে পারে??
ঘটনা ঃ মেয়েটির স্বামী তাকে নিয়ে মেয়েটির শশুরের দোকানে গেল। সেখানে একজন কর্মচারী ছিল। মেয়ে এবং তার স্বামী প্রথমে কর্মচারির সাথে কথা বলে কেমন আছে জিগ্যেস করে। পরে সম্ভবত মেয়েটি আর তার স্বামী দোকানে ঢুকে আর মেয়েটি তার শশুরকে জিজ্ঞেস করে বাবা কেমন আছেন?? এখন এইভাবে কথা বলার জন্য কি ইজাব কবুল৷ হয়ে যাবে??
৬। যদি এমন হয় শশুর মেয়েটির স্বামীকে জিজ্ঞেস করে, বউ আসে নি?? স্বামী যদি বলে এসেছে,,, তারপর বউ/ মেয়েটি শশুরের সাথে কথা বলে বাবা কেমন আছেন?? এইটা বলার কারনে কি ইজাব কবুল হবে?? এমন ঘটেছে কিনা সিউর না শুধুমাত্র সন্দেহ।সেখানে ছিল মেয়েটির স্বামী,,, কর্মচারী,, শশুড় এবং মেয়েটি।
৭। একদিন মেয়েটির শাশুড়ী তাকে কিছু মানু্ষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, সেখানে ছিল তার স্বামী, দেবর আর কিছু মহিলা। তো মেয়েটির শাশুড়ী মহিলাগুলোর সামনে মেয়েটিকে পুত্রবধু হিসেবে পরিচয় দেয় এবং মেয়েটি ওই মহিলাদের সাথে সালাম দিয়ে কথা বলে সাথে সাথেই। এখন এই মানুষগুলো কে কি সাক্ষী ধরা হবে?? আর মেয়েটির শাশুড়ী যে পুত্রবধু হিসেবে পরিচয় দিলো সেজন্য কি ইজাব ধরা হবে?? মেয়েটি তো তার শাশুড়ী পুত্রবধু পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর সালাম দিয়ে কথা বলে। তাহলে কি এইখানে ইজাব কবুল হয়ে গেছে??
মেয়েটির স্বামি সামনেই ছিল সে সম্ভবত চুপই ছিল। এখন এই ঘটনার মাধ্যমে কি বিয়ে হবে??
৮। আরেকদিন একইরকম ঘটনা ঘটে,, মেয়েটির শাশুড়ী তাকে একজন মহিলা ও একজন পুরুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় পুত্রবধু হিসেবে,,সামনে মেয়েটির স্বামীও ছিল সে চুপ ছিল।
আজকেও মেয়েটি অই লোকদের সাথে সালাম দিয়ে কেমন আছেন জিজ্ঞেস করে।।এতে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে??
((এই ঘটনাগুলো তে স্বামী চুপ ছিল যতটুকু মনে পরে,, এই ঘটনা স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে সে রাগ করবে এবং তার মনেও নেই হয়তো ঘটনা গুলো।এখন মনে আছে যেটুকু সেটুকুই বলা হলো। কিন্তু মেয়ে সালাম দিয়ে কথা বলা ছাড়া আর কিছুই বলেনি এইটুকু নিশ্চিত। এইভাবে কথা বলার মাধ্যমে কি কবুল হয়ে যাবে??)))
৯। স্বামী যদি পরিচয় করিয়ে দিত দুইজন পুরুষের সামনে যে আমার বউ,,আর বউ যদি সালাম দিয়ে তাদেরকে বলত কেমন আছেন? এতে কি ইজাব কবুল হয়ে যেত??মানে বউ পরিচয় করানোর পর এরকম কেমন আছেন জিজ্ঞেস করলে কি কবুল হিসেবে বিবেচিত হবে??
১০। শাশুড়ী যাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে সেই মহিলাদের মধ্যে একজন যদি জিজ্ঞেস করতো তুমি বউ?? মেয়ে যদি হ্যাঁ বলতো তাহলে কি ইজাব কবুল হয়ে যেত?? ওই মহিলা তো স্বামী বা স্ত্রী কারোর অভিভাবক/ উকিল না। এইখানে উপস্থিত ছিল শাশুড়ী, স্বামী, দেবর আর কিছু মহিলা।
একজন মহিলা নাকি আরেকজন মহিলা কে বিয়ে দিতে পারে না?? তাহলে এই বিষয়ে হুকুম কি??এরকম ঘটেছিল কিনা কিছুতেই মনে নেই, শুধুমাত্র সন্দেহ।
((পুরুষ হওয়া। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘এক নারী অন্য নারীকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা নারী নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৭৮২; সহিহ জামে : ৭২৯৮)))
১১। কোন ঘটনা নিয়ে সন্দেহ থাকলে বা এরকম ঘটেছে কিনা নিশ্চিত না হতে পারলে, শুধু ওয়াসওয়াসা আসলে হুকুম কি?? নিশ্চিত না হতে পারলেও কি ইজাব কবুল হবে?? যদি স্পষ্ট ঘটনা মনে না থাকে বা বিভিন্ন ঘটনা মাথায় আসে,, এরকম বলেছে কিনা বা বলেনি।
১২। হুরমতের মাসয়ালা জানার পর যদি খালি সন্দেহ হয় এমন কিছু হয়েছিল কিনা।ভয় হয় যদি হয়ে থাকে।।এরকম মনে হয় কিন্তু কোনভাবেই নিশ্চিত না। তাহলে হুকুম কি??
যদি এমন হয় আগে এরকম কিছু ঘটেছিল কিন্তু ওই ব্যক্তি ভুলে গেছে। তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন যদি ঊনি নিশ্চিত না হতে পারার কারনে এই বিষয়ে ভাবনা ছেড়ে দেন?
১৩। হুরমত নিয়ে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়া যায়?? অর্থাত এমন না হওয়ার পরেও কি কেঊ যদি বলে হয়ে* তাহলে কি সেটাই সত্যি হবে??