ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জোরজবরদস্তি নাই। এর অর্থ হল, জুলুম নির্যাতন বা ভয় দেখিয়ে কাউকে মুসলমান বানানো যাবে না। তবে নিজ অধিনস্ত মুসলিমদের ভয় দেখিয়ে আ'মলে নিয়ে আসতে কোনো বাধাবিপত্তি নেই।
বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «فَاتَّقُوا اللهَ فِي النِّسَاءِ، فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللهِ، وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللهِ، وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ، فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ، وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ»
তোমরা স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। কেননা আল্লাহর আমানতে তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছ। আল্লাহর বাণী সাক্ষী রেখে তোমরা তাদের সাথে সহবাস করা বৈধ করেছো। তাদের উপর তোমাদের অধিকার হচ্ছে, তারা তোমাদের গৃহে এমন লোককে প্রবেশ করতে দিবে না যাকে তোমরা পছন্দ কর না। কিন্তু তারা যদি নির্দেশ লঙ্ঘন করে এরূপ করে ফেলে তবে, তাদেরকে প্রহার কর। কিন্তু প্রহার যেন কঠিন ও কষ্টদায়ক না হয়। তোমাদের উপর তাদের অধিকার হচ্ছে, তোমরা সঠিকভাবে নিয়ম মাফিক তাদের খানা-পিনা ও কাপড়ের ব্যবস্থা করবে। [মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।]
(২)
জ্বী, স্বামী দ্বীন পালনের জন্য জোড় করতে পারবে।
(৩)
মাতাপিতা তার সন্তানকে সদাসর্বদাই দ্বীন পালনের জন্য জোড় করতে পারবে।
(৪)
জ্বী, আ'মলের জন্য জোড় করতে পারবে।তবে জোড় করে মুসলমান বানানো যাবে না।
(৫)
কে বলেছে ট্যাক্স হারাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/700
(৬)
আইনের ক্ষেত্রে মুসলিম অমুসলিম সবাই সমান।সবাই সমান সুযোগসুবিধা পাবে। হ্যা,মুসলমান উশর দিবে।আর অমুসলিম খারাজ দিবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/6219
(৭)
হককে উজ্জিবীত রাখতে, এবং নিজ অধিকারকে অক্ষুণ্ণ রাখতে তর্ক করা জায়েয।
(৮)
জ্বী, মতপার্থক্য দেখা যায়।
(৯)
কুরআন সুন্নাহ ও ফিকহের মূলনীতির আলোকে ইজতেহাদ করতে হবে।মনগড়া ইজতেহাদ করলে বা মতপার্থক্য করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।