আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (77 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।হুজুর পুরোটা পরে কস্ট করে উত্তর দিয়েন।

হুজুর আমি মাঝে মাঝে স্বামিকে বলতাম মেসেজে তালাক  দিয়ে দাও থাকব না তুমার সাথে বা তালাক দিব থাকব না তুমার সাথে।স্বামীও বলত থাকিও না আবার, মাঝে মাঝে জোর করে রাখব না, আবার দিব থাকিও না,আবার থাকিও না দিব।আবার মনে হচ্ছে মাঝে মাঝে বলত থাকিও না জোর করে রাখব না এরকম ও বলেছে বা থাকতে ইচ্ছে না হলে থাকিও না যাওগা বা থাকিও না যাওগা।কোনদিন নিজ থেকে চলে যাও এসব বলে নি।আমি থাকব না বললে রাগে মাঝে মাঝে বলত।আর হুজুর মেসেজে কথা হয় তহ তালাক চাওয়ার পর আর কোন কথা বলেছে কিনা  মনে নাই।তবে মাঝে মাঝে বলত তালাকের কথা ছাড়া অন্য কিছু বল,আমাকে  দিতে বলত বা দিব বলত।হুজুর আমরা কেও কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানতাম না তখন।তাই সেটা তালাকের ব্যপারে ভাবতাম ও না এইরকম।এভাবে কি তালাক হবে? কোনদিন সরাসরি তালাক ও দেই নি।খুব টেনশন হচ্ছে হুজুর। এই কথাগুলো বলেছে ঠিক কিন্তুু তবু সন্দেহ হচ্ছে ঠিক কোন কথাটা বলেছে তালাক চাওয়ার সময় সেটা ভেবে।প্রত্যেকটা ভাবলে মনে হয় প্রত্যেকটাই বলেছে।আবার তালাক চাওয়া ছাড়া এমনিতে চলে যাব বলতাম যে তখনও বলেছে এগুলো।কিন্তুু তখন তহ তালাকের নিয়তে কোন কিছু বলে নি বলতেছে স্বামি।আর মেসেজে তহ তালাক চাওয়ার সাথে সাথে এসব কথা বলেছে নাকি আরো আমাকে বুঝানোর পর বলেছে মনে নেই।কারন ওনি আমাকে বলত এসব না বলতে তবু চলে যাব থাকব না এরকম বললে বলত।আমরা কেও জানতাম না কেনায়া তালাকের ব্যপারে। স্বামি বলেছিল কোনদিন তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি। দয়া করে উত্তর দিয়েন মেসেজে এই কথাগুলো দ্বারা তালাক হবে কিনা?ভয় হয় হুজুর কোন যিনা হচ্ছে কিনা ভেবে।আগে এত সব না বুঝে বলতাম।এখন তওবা করেছি বলব না বলে।আমি পরিপূর্ণ ইসলাম মেনে চলতে চায়।কিন্তুু ভয় হয় আগের কথা গুলো দ্বারা তালাক হল কিনা ভেবে।সারাজীবন যিনা হবে কিনা ভেবে।কারন আগে ঝগড়া হত বেশি।আমি তালাক ও চাইতাম কিন্তুু ওনি দেন নি কোনদিন।কিন্তুু মেসেজে তালাক চাওয়ার পর কেনায়া বাক্য এগুলো  সাথে সাথে বলেছে কিনা মনে পড়ে না।নাকি আরো কথার পর বলেছে।এখন কী করব হুজুর?স্বামি বলতেছে তালাকের নিয়তে বলে নি।এটা ঠিক থাকব না বললে বলত থাকিও না।যাব গা বললে বলত যাওগা।কি করব বুঝতেছি না।হুজুর আগের কথার দ্বারা কি আমার সংংসার ভেংগে দেওয়া উচিত হবে? স্বামীকেও বলতে পারতেছি না ওনি না বলতে বলেছে এ বিষয়ে কথা।আমার খুব ভয় হচ্ছে মরলে যিনার শাস্তি হবে কিনা এসব ভেবে।পাগল হয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর কাছে তওবা করতেই আছি আর কোনদিন তালাক চাইব না বলে।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সে যেহেতু তালাকের নিয়তে এসব বলেনি, তাই তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...