আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
297 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
reopened by
১)নামাযে কিছুক্ষণ পর পর মনে হয় তাজবিদে ভুল করেছি।যেমন
আলহামদুলিল্লাহি শব্দে ح এর বদলে ه পড়ে ফেলা।

এখন বার বার এমন হলে কি করব?

আর যদিও ভুল ও হয়ে যায় তবে নামাযের ক্ষতি হবে?

২)নামায পড়ার পর মনে হল ওযুতে ফরয বাদ গেছে।সেক্ষেত্রে শিওর না হলে করণীয়?
৩)ওযু করার ক্ষেত্রে বাথরুম এর ফ্লোর থেকে ছিটকা আসতে পারে।যা থেকে বেচে থাকা কষ্টকর। এক্ষেত্রে আমি যদি আগে ফ্লোরে পানি প্রবাহিত করি তাহলে কি সমস্যা হবে?

৪) সারাজীবন কেউ নামায না পড়লে তবে সে কি সব নামায কাযা করবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-


(০১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

« زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ »

“তোমরা সুন্দর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত কর।” [হাদিসটি ইমাম আহমদ, ইবনে মাজাহ, নাসায়ী ও হাকেম রহ. হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং তা সহীহ]

 শাইখ সালেহ আল ফাউযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,

“قراءة القرآن بالتجويد مستحبة من غير إفراط، وليست واجبة، وإنما الواجب تجويد القرآن من اللحن والخطأ في الإعراب”

“তাজবিদ সহ কুরআন তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। তবে এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। এটা ওয়াজিব নয়। বরং ওয়াজিব হল, ইরাব (উচ্চারণ ও প্রকাশ করা) এর ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত করে সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা।”

★যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না।(শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/19542/


★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 

https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করা হয়েছে যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126


তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আসলেই আপনার এমন ভুল হয়ে যায়,অথবা ভুল হওয়ার উপরেই যদি আপনার মনের প্রবল ধারনা হয় তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সেই আয়াত পূর্ব থেকে আবার শুদ্ধ ভাবে তিলাওয়াত করবেন।

কেননা এতে অনেক সময় অর্থ ফাসেদ হয়ে নামাজ ভেঙ্গে যায়।    


(০২)
আপনি প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।
যদি অযুর কোনো ফরজ বাদ গিয়েছে,এমন ধারনাই প্রবল হয় তাহলে নামাজ ভেঙ্গে দিয়ে অযুর শুধু  উক্ত ফরজটি আদায় করে এসে পুনরায় শুরু থেকে নামাজ আদায় করবেন।

আর যদি অযুর ফরজ ছুটে যাওয়ার উপর আপনার  প্রবল ধারনা না হয়,স্রেফ সন্দেহ হয়,তাহলে আপনি নামাজ চালিয়ে যাবেন।

(০৩)
না,এতে সমস্যা হবেনা।

(০৪)
বালেগ, বালেগাহ হওয়ার পর থেকে যতগুলি নামাজ আদায় করেনি,সব গুলো নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।

এক্ষেত্রে প্রতিদিনের ৫ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি বিতর নামাজেরও কাজা আদায় করতে হবে।
 
সবগুলোর কাজা আদায় করার আগেই মারা গেলে তার সম্পদ থেকে প্রত্যেক নামাজের ফিদইয়াহ আদায়ের অসিয়ত করে যেতে হবে।
এক নামাজের ফিদইয়াহ হলো সদকায়ে ফিতর সম পরিমান টাকা/খাদ্য গরিব মিসকিনকে দান করা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
ওযুর ক্ষেত্রে পরে সম্পূর্ণ ওযু করতে হবে না?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...