উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতেহার আগে بسم الله الرحمن الرحيم
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়া সুন্নাত।
সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য সুরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়া যদিও সুন্নাত নয়,তবে উত্তম।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/৩১)
তাশাহুদ, দরুদ শরিফ এবং দোয়া মাসুরার আগে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ার বিধান নেই। তাশাহুদ, দরুদ শরিফ এবং দোয়া মাসুরা সেভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, আপনি সেভাবেই পড়বেন। এখানে বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করার কোনো সুযোগ নেই।
,
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ، قَالَ صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَرَأَ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ) الرَّحِيمِ ثُمَّ قَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ حَتَّى إِذَا بَلَغَ (غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ) فَقَالَ آمِينَ . فَقَالَ النَّاسُ آمِينَ . وَيَقُولُ كُلَّمَا سَجَدَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَإِذَا قَامَ مِنَ الْجُلُوسِ فِي الاِثْنَيْنِ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَإِذَا سَلَّمَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুল হাকাম (রহঃ) ... নুয়ায়ম মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর পেছনে সালাত আদায় করি। তিনি প্রথমে পড়লেন বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম। এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন, যখন তিনি غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ এ পর্যন্ত পৌছলেন তখন 'আমীন, বললেন, তারপরে সকল লোক বলল,’আমীন’। যখনই তিনি সিজদা করতেন তখন বলতেন, ‘আল্লাহু আকবার’ আর যখন তিনি বসা থেকে দাড়াতেন তখনও আল্লাহু আকবার বলতেন। তিনি সালাম বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ, তার শপথ! আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মত সালাত আদায় করে তোমাদের দেখালাম।
(নাসায়ী শরিফ ৯০৮)
,
عن ابن عباس رضي اللّٰہ عنہما قال: کان النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم یفتتح صلا تہ بـ ’’بسم اللّٰہ الرحمٰن الرحیم‘‘۔ (سنن الترمذي، الصلاۃ / باب من رأی الجہر بسم اللّٰہ الرحمٰن الرحیم ۱؍۵۷ رقم: ۲۴۵)
যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলে নিজের নামাজ শুরু করতেন।
عن أنس بن مالک رضي اللّٰہ عنہ قال: صلیت خلف النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم وخلف أبي بکر وعمر وعثمان رضي اللّٰہ عنہم فلم أسمع أحدا منہم یجہر بـ ’’بسم اللّٰہ الرحمٰن الرحیم‘‘۔ رواہ النسائي بإسناد حسن علی شرط الصحیح، کذا في المنتقی۔ (سنن النسائي، الافتتاح / باب ترک الجہر بـ ’’بسم اللّٰہ الرحمٰن الرحیم‘‘ رقم: ۹۰۴، إعلاء السنن ۲؍۱۹۸ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ, আবু বকর রাঃ, ওমর রাঃ, উসমান রাঃ আস্তে আওয়াজে নামাজে বিসমিল্লাহ পড়তেন।
ویقرأ بسم اللّٰہ الرحمٰن الرحیم ویسر بہا … ثم عن أبي حنیفۃ أنہ لا یأتي بہا في أول کل رکعۃ کالتعوذ وعنہ أنہ یأتي بہا احتیاطاً، وہو قولہما، وقال ابن الہمام: ومقتضی ہٰذا سنیتہا مع السورۃ۔ (ہدایۃ مع الفتح ۱؍۲۹۱-۲۹۳ بیروت، فتح القدیر ۱؍۲۹۱)
সতর্কতামূলক প্রত্যেক রাকাতের শুরুতেই বিসমিল্লাহ পড়তে হবে।
এটা সুন্নাত
وسمّی سرا في أول کل رکعۃ (درمختار) وفي الشامیۃ: وذکر في المصفّٰی: أن الفتویٰ علی قول أبي یوسف أنہ یسمی في أول کل رکعۃ ویخفیہا۔ وذکر في المحیط: المختار قول محمد وہو أن یسمي قبل الفاتحۃ وقبل کل سورۃ في کل رکعۃ۔ (شامي ۲؍۱۹۲ زکریا، البحر الرائق ۱؍۳۰۳ کوئٹہ، حلبی کبیر / صفۃ الصلاۃ ۳۰۸)
যার সারমর্ম হলো প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতেহা এবং অন্য সুরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়তে হবে।
,
★সুতরাং প্রিয় দ্বীনি ভাই আপনি প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতেহা এবং অন্য সুরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়বেন।
কিন্তু বৈঠকে, আত্তাহিয়্যাতু,,,, পড়ার আগে কোনোভাবেই বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়বেননা।