ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ ۖ قَد تَّبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ ۚ فَمَن يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِن بِاللَّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَىٰ لَا انفِصَامَ لَهَا ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী ‘তাগুত’দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন। (সূরা আল বাকারা : ২৫৬)।
আল্লাহ আরো বলেন,
وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ لَآمَنَ مَن فِي الْأَرْضِ كُلُّهُمْ جَمِيعًا ۚ أَفَأَنتَ تُكْرِهُ النَّاسَ حَتَّىٰ يَكُونُوا مُؤْمِنِينَ
আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতে সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য? (সূরা ইউনুস : ৯৯)
আল্লামা ইবন কাসির (রাহ) প্রথম আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গে বলেন, ‘কাউকে তার আগের দ্বীন ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য বাধ্য করো না। কারণ ইসলাম সুস্পষ্ট, যুক্তি ও দলিলনির্ভর একটি দ্বীন। সুতরাং কাউকে ইসলামে প্রবেশ করানোর জন্য বাধ্য করার কোনো প্রয়োজন নেই।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)ইসলামি র্রাষ্টে ভিন্ন ধর্ম পালন বা প্রচার কোনোটাকে ইসলাম নিষিদ্ধ করে না।তবে মুসলামানদের বিভ্রান্ত করা,কলে বলে কৌশলে মুসলমানদেরকে ভিন্ন ধর্মে নিয়ে যাওয়াকে ইসলাম কখনো সমর্থন করবে না।হ্যা, বুদ্ধিভিত্তিক দাওয়াত অমুসলিমরা দিতে পারবে।তবে ইসলামকে কটাক্ষ করতে পারবে না।আল্লাহ রাসূলের শানে বেয়াদবি মূলক কোনো প্রদক্ষেপ নিতে পারবে না।নিলে অবশ্যই এর যথাযথ শাস্তি প্রদান করা হুকুমতের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকবে।
(২)নাস্তিক বলতে যারা কোনো ধর্মকেই মানে না,তাদের নির্ধারিত কোনো শাস্তি নেই।তবে ইসলামকে কটাক্ষ করার জন্য তাদের কটোর শাস্তি সরকার দিবে।প্রয়োজনে সরকার মৃত্যুদণ্ড আইন প্রনয়ন করবে।
(৩)জ্বী, ইসলামি রাষ্টে্ অমুসলিমরা তাদের ধর্মীয় ইবাদত করতে পারবে।