আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in সালাত(Prayer) by (24 points)
আসসালমুআলাইকুম
আমি কিছু প্রশ্ন রয়েছে।

1) আমি যদি নামাজে মনোযোগ ধরে রাখার অভিপ্রায়ে তাসবিহ মুখে ধীরে ধীরে উচ্চারণ করে করে মনে মনে ঐগুলোর অর্থ সরণ করি//// তাসবিহ পরা শেষে 4/৫ সেকেন্ড ধরে মনে মনে,,( উচ্চারণ না করে)অর্থ মনে মনে বলি তাইলে কি নামাজ ভেঙে যাবে????

।2) আমার এক বন্ধু বিতর নামাজ 1 রাকাত পড়ে( এসার ফরজ 4 রাকাত পড়ে 2 রাকাত সুন্নত পড়ে এবং পরে 1 রাকাত বিতর পড়ে) এটা পরা আমি জানি যাবে না। এখন কিভাবে বুঝাবো,? ওকে বললে বলে হাদীসে আছে।আমরা হানাফী মাযহাব অনুসরণ করি ।।

3) আমার মনে মাঝে মাঝে প্রশ্ন আছে যে ইসলাম তো এক।আল্লাহর থেকে শরীয়াহ এছেশে। তাইলে এক কাজের অনেক গুলো maswala আসলে মাযহাব মতে একটাই মানতে হবে কেনো,,??? সব  তো কুরআন হাদীসে এসেছে তাইলে কেনো একটাই মানতে হবে?


4)আমি যদি নিজেকে নিজে বলি যে পরীক্ষায় ভালো করলে আমি এই কাজ ছেড়ে দিবো( মন্দ কাজ) ।এখন যদি পরীক্ষায় আশানুরূপ ভালো করলেও যদি শয়তানের প্ররোচনায় আবার সেই একই খারাপ কাজ করে ফেলি তাহলে কি গুনাহ হবে,,(আল্লাহর কসম বলি নাই)
5) ছোটবেলায় কুরআন শরীফ খতম যখন দিতাম তখন সেজদা দিতাম না এখন তো ভুলে গেছি কয়টা সেজদা বাকি? করণীয় কি???

।6)মসজিদে নামাজ গেলে  শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয় যে মানুষ দেখতেছে, তোমাকে ভালো বলবে, এক্ষেত্রে রিয়া থেকে বাঁচতে করণীয় কি?
7)আমি জানি যে ভুলে/না জেনে গুনাহ করলে ;বা শিরক করলে, কুফর করলেও টা কুফরী বা শিরক হবে না তাহলে কোনো হিন্দু যদি বলে আমি জানতাম না তাহলে কি হবে,??? বা কোনো মুসলিম যদি এই ভয়ে কিছু নাই জানে তাহলে কি তার গুনাহ হবে না? নাকি জেনে করো আর ভুলে করো কুফর বা শিরক করলেই গুনাহগার??? , এক্ষেত্র অনেক কিছু আসে যা করলে কুফর বা শিরক হবে তখন কি করবো,,,???

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) নামায ভঙ্গ হবে না।তবে তিন তাসবিহ পরিমাণ নিশ্চুপ থাকলে, সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।

(২)
উনি যদি হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করে থাকেন, তাহলে উনার নামায হানাফি ত্বরিকায় হচ্ছে না।হ্যা,ভিন্ন মাযহাবে এক রাকাত পড়ার কথা এসেছে।

সা’দ ইবনে হিশাম বলেন, (উম্মুল মুমিনীন) আয়েশা রা. বলেছেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না।’ ﻋﻦ ﺳﻌﺪ ﺑﻦ ﻫﺸﺎﻡ ﺃﻥ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺣﺪﺛﺘﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ ﻻ ﻳﺴﻠﻢ ﻓﻲ ﺭﻛﻌﺘﻲ ﺍﻟﻮﺗﺮ . (সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮; মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মাদ পৃ. ১৫১)
৩. ইমাম হাকেম রাহ. সা’দ ইবনে হিশামের বিবরণ এভাবে বর্ণনা করেছেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের প্রথম দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না।’ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻻ ﻳﺴﻠﻢ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﻛﻌﺘﻴﻦ ﺍﻷﻭﻟﻴﻴﻦ ﻣﻦ ﺍﻟﻮﺗﺮ . ﻫﺬﺍ ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﺍﻟﺸﻴﺨﻴﻦ ﻭﻟﻢ ﻳﺨﺮﺟﺎﻩ (আলমুস্তাদরাক ১/৩০৪)
বিতির এক রাকাত না তিন রাকাত? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/859

(৩)
দ্বীনে ইসলাম তথা শরীয়ত হলো,কুরআন এবং হাদীসের সমষ্টির নাম।প্রথমত কুরআন এবং হাদীস আরবী। দ্বিতীয়ত আরবী বাগধারা অনেক কঠিন ও একই বাক্য বহুঅর্থের বাহক হওয়ার দরুণ কুরআন এবং হাদীসের সুস্পষ্ট ব্যখ্যা প্রয়োজন।তাছাড়া নাসিখ মানসূখ পরিচয় লাভ করাও একটা জটিল বিষয়।ইত্যাদি ইত্যাদি।সুতরাং এ সব অস্পষ্টতাকে স্পষ্টকরে যে ব্যখ্যা প্রদান করা হয়,মূলত সেটার নামই হল মাযহাব।যেহেতু অস্পষ্টতাকে দূর করে স্পষ্ট ব্যখ্যা করতে যেয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে,তাই ভিন্ন ভিন্ন মাযহাবের সৃষ্টি হয়েছে।

মাযহাব প্রশ্নে সংক্ষেপে এতটুকুই আপাতত বলতে পারেন।
মাযহাব ও তাকলীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1936

(৪)
ওয়াদা রক্ষা করা জরুরী।কেননা গোনাহের কাজ না করার ওয়াদা করেছেন।তাই ভালো কাজ না করে গোনাহের কাজ করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।

(৫)
অনুমান করে সবগুলো সিজদা দিয়ে দিন।

(৬)
তখন শয়তানের এরকম ওয়াসওয়াসাকে কোনো পাত্তাই দেবেন না।শয়তান ভাল কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখতেই মূলত এমনটা করছে।

(৭)
না জেনে শিরিক করে নিলে যদি কেউ পরবর্তীতে তাওবাহ করে নেয়, তাহলে তার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...