বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত,রবের কাছে নিজেকে সমর্পণ করার সেটাই মোক্ষম সময়।এমতাবস্থায় বেশী বেশী আল্লাহকে স্বরণ করা, আল্লাহর সামনে নিজেকে হাজির করা,তাওবাহ ইস্তেগফার সহ যাবতীয় নেককাজ ও ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়াই উচিৎ।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اسْتَعِينُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ إِنَّ اللّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ
হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।(সূরা বাকারা-১৫৩)
হযরত হুযাইফা রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ:«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ، صَلَّى»
রাসূলুল্লাহ সাঃ যখন চিন্তিত হতেন,তখন নামাযে দাড়িয়ে যেতেন।(সুনানু আবি-দাউদ-১৩১৯)
চিন্তিত অবস্থায় নামায ছাড়াও বিভিন্ন দু'আ পড়ার কথা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।এর মধ্য থেকে একটি দু'আ হল এই,
ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাঃ চিন্তিত হলে নিম্নোক্ত দু'আটি বলতেন,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ عِنْدَ الْكَرْبِ: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ»
(সহীহ মুসলিম-২৭৩০)
চিন্তা পেরেশানিতে আরো অনেক আ'মল বর্ণিত রয়েছে।তবে চিন্তা পেরেশানি জামাত তরকের উযর হিসেবে কোথাও বর্ণিত হয়নি।সুতরাং চিন্তা-পেরেশানির সময়েও জামাতে নামায পড়তে হবে।জুম্মার নামায মসজিদে গিয়ে পড়তে হবে।অযথা জুমুআহ এর নামায পরিত্যাগ করা যাবে না।তবে যদি কেউ জুম্মাকে পরিত্যাগ করে ফেলে,তখন তার জন্য হুকুম হল,সে যেন যোহরের নামায পড়ে নেয়।
(২)
ঘুম শরয়ীভাবে উযর হিসেবে পরিগণিত। সুতরাং ঘুমের কারণে যদি কারো জুমুআহ তরক হয়ে যায়,তাহলে এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না। সে যোহরকে আদায় করে নেবে।