আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (41 points)
edited by
১।হুজুর কেউ যদি শপথ করে বলে যে এটা করলে আমি মুসলমান থেকে বের হয়ে যাব অটোমেটিক।তহ ওই কাজটা করলে মানে শপথ ওটা ভন্গ করলে কি মুসলমান থেকে বহিঃস্কৃত হয়ে যাবে? রাগের মাথায় শপথ করেছে।কিন্তুু আল্লাহকে বিশ্বাস করে,ভয় করে।রাগের মাথায়,শপথ করে ফেললে,তা ভেন্গে ফেললে কি মুসলিম থেকে খারিজ হয়ে যাবে?ঈমান থাকা সত্ত্বেও?বিবাহিত হলে কি তালাক হবে?হুজুর আমি চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছি।আমার কোন উপায় নাই। হুজর আমার মনে নেই শপথ ভেংগেছে কিনা।আমাদের এসএমএসে কথা হয় তহ তাই।মনে নেই।তবু কি ঈমান চলে যাবে?আাবার বিয়ে পড়াতে হবে? সন্দেহের বসে।স্বামীকেও কিছু বলতে পারব না হুজুর।আমি পুরা মানসিক ভাবে এবনরমাল হয়ে গেছি।

২।আর ঈলা চলাকালীন কেনায়া,সূচক কথা যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে মানে স্বাভাবিক কথা কিন্তু কেনায়া বাক্যের মত তাহলে কি তালাক হবে?কারণ হুজুর তখন ঈলা কি সেটাও জানতাম না।তালাকের উদ্দেশ্যে ছিল না কোনদিন স্বামীর।আমাকে তালাক দিবে সেটা ভাবেও না স্বামি ।এভাবে কি সংসার ভেন্গে দেওয়া উচিত।বিষয়টির ব্যপারে স্বামীর সাথেও কথা,বলতে পারতেছি না।মা বাবার সাথেও কারণ নিজের পছন্দমত বিয়ে করেছি।কোন উপায় খুজে পাচ্ছি না।যাওয়ার কোন পথ নাই আমার।হুজুর তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া,বাক্য বললে কি তালাক হবে?আর স্ত্রী যদি তালাক চাই তখন ঈলা চলাকালীন  স্বামী যদি না,দেই তাহলে কি তালাক হবে?আমরা ঈলা কি জানতাম ও না।এখন জানছি।আমাদের ভিতর সব ঠিক হয়ে গিয়েছে হুজুর।হুজুর আমার স্বামী আমাকে কোনদিন তালাক দেওয়ার কথাও বলে নি।আমার ওপর অধিকার দিছিল যে।আমি চাইলে বলত যে তাও, তুমি দিও আাবার বলত যে দিব  মানে পরে।নিজে কোনদিন তালাকের কথা বলে নি।আমাদের সব কথা মেসেজে হয়।স্বামী শপথ করে বলেছে তালাকের নিয়তে কোনদিন কোন কথা বলে নি।স্পষ্ট তালাক ও বলে নি।আমি চাইলেও দেই নি,বেশি বললে দিব বলেছে যে দেই নি,আমাকে অধিকার দিছে যে।আমিও নফসের ওপর নি নাই।এভাবে কি একটা সংসার ভেংগে দেওয়া উচিত?

৪।যতদিন তুৃমাকে আমাদের বাড়িতে নামিয়ে আনি নি  সহবাস করব না বলে শপথ করলে কি ঈলা হবে?চার মাস বা তার বেশি এরকম নির্ধারন করে বলে নি।ঈলা কি সেটাও জানতাম না।এখন জেনেছি। এসএমএসে বলেছিল? এর ১-২ ঘন্টা পর সব ঠিক আবার, এসএমএসে কথা হয়।এভাবে কি ঈলা হবে?

৫।স্বামীকে ভালবেসে যদি বলে তুমাকে ছাড়া বাচব না তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?এটা তহ ভালবেসে আবেগে বলেছি,স্বামীও বলেছিল।এতে আমরা ঈমানহারা হয়ে যাব? আমরা তহ আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করি নি।ভালবাসা বুঝাতাম স্বামীর প্রতি।আবেগে বলতাম।তওবা করেছি আর বলব না।এতকিছু জানতাম না আগে।

৬।আরেকবার ক্লাস এইটে থাকতে আমাদের এক মেডাম কবিতা পড়াচ্ছিল। "আবার আসিব ফিরে ধান সিড়িটির তীরে" ওই কবিতা টা।তহ মেডাম বলতেছিল আমরা মুসলিম রা তহ পুনর্জন্ম বিশ্বাস করি না।তবুও বল ত যদি এমনটা হত কে কি হয়ে আসতে চাইতা।আমিও হুজুর বিশ্বাস করি না আমি তহ মুসলিম।তবু মেডামের  উত্তর দিয়েছিলাম টিয়া হয়ে।অনেক আগের কথা,হুজুর ২০১৪ সালের।হুজুর এটা দ্বারা আমি কি বেঈমান হয়ে যাব?

৭।হুজুর আমার বাধ্য হয়ে মিথ্যা শপথ করতে হয়েছে।না হয় অনেক বড়  সমস্যা হত।এতে কি আমি কাফের হয়ে যাব?

৮।হুজুর আমার বার  মনে হচ্ছে আমি যেন কোন একটা ওয়াজ এ শুনেছি।প্রত্যেকটা মানুষ কবরে কত বছর থাকবে বা সবাই একই সময় পর্যন্ত থাকবে।মানে হযরত আদম( আঃ) এর ছেলে যখন উঠবে মানে পৃথিবীর প্রথম মৃত্যু তহ ওনার।আগে ওনি উঠবে। এর পর যতদিন পর ২য় মানুষ মরেছে ওনি উঠবেন।মানে ততদিন কবরে থাকবে।এর যতদিন পর ৩য় মানুষ মরেছে ততদিন পর ৩য়,মানুষ উঠবে।এভাবে একের পর এক উঠবে।আমি  ইউটিওবে কোন একটা ওয়াজে শুনেছি।ওটা আমি কয়েকজনকে বলেছি।এখন ওদের দেখানোর জন্য ভিড়িও টা খুজে পাচ্ছি না।আমার আবার সন্দেহ হচ্ছে ভুল বলেছি নাকি আমি কোন? আমার তহ মনে হচ্ছে আমি শুনেছি।হুজুর আল্লাহ জানে  কত বছর থাকতে হবে।আমি কবর থেকে ওঠবে কিভাবে ওটা শুনেছি বলে মনে হচ্ছে।আমার কি ঈমান চলে যাবে?আমার বার বার মনে হচ্চে আমি শুনেছি।তাই বলেছি ওদের।কথাটা যদি সঠিক না হয় আমার ঈমান চলে যাবে হুজুর?খুব ভয় হচ্ছে।আমার বার বার  মনে হচ্ছে আমি শুনেছি।

৯।হুজুর স্ত্রী যদি তালাক চাই।মন থকে না।স্বামী যদি না,স্ত্রীকে দিতে বলে বা পরে দিব বলে।আর স্ত্রীকে বলে আমাকে তালাক দিয়ে করিও বিয়ে বা  আমাকে তালাক দিয়ে কর গা।আমার স্পষ্ট মনে নেই হুজুর।আগের কথা।মানে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়।তহ স্ত্রী নিজের নফসের ওপর তালাক নেই নি।তাহলে উক্ত কথা গুলো দ্বারা কি তালাক হবে?

হুজুর আমি চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছি। কি করব বুঝতেছি না।৪-৫ সপ্তাহ ধরে আমি পুরা পাগলের মত হয়ে গেছি।কাউকে কিছু বলতেও পারতেছি না।আমার সংসার কি বৈধ নাই?হুজুর আগে না জেনে অনেক কথা বলতাম।কোন আল্লাহর সাথে শরিক করার জন্য বলতাম না।কথার কথা।যেমন কোন একটা আগে থেকে বললে ওইটা ঠিক ওইরকম হলে বলতাম দেখছ আমি বলেছি না? আমি জানতাম।তারপর পরিক্ষায় কেউ দেখালে তুমি না দেখালে হয়ত লিখতে পারতাম না,পাস করতাম না,আবার কেউ গুণাহ করতে বলতাম যার খুদা কে সে জবাব দিবে, ওটা মানে যার যার বিচার সে সে দিবে কথার ভুলে ওটা হত ইত্যাদি। হুজুর আমি জানতাম না এসব কথা দ্বারাও শিরক হয়।জানার পর পর তওবা করে ফেলি।আমি বিবাহিত।কোন কাফের বা বেইমান হয়ে গেছি কিনা সেটা নিয়েও চিন্তায় আছি।এখন কি করব? আমি পুরা মানসিকভাবে নরমাল নাই।স্বামীকে আর কাউকে কিছু বলতে পারতেছি না।আমি শান্তি পাচ্ছি না কিছুতেই।পরকালের ভয়ে কুড়ে কুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি।যিনা হচ্ছে  কিনা,ঈমান আছে কিনা।কি করব আমি?

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)

الفتاوى الهندية (2/ 54):
"ولو قال: إن فعل كذا فهو يهودي، أو نصراني، أو مجوسي، أو بريء من الإسلام، أو كافر، أو يعبد من دون الله، أو يعبد الصليب، أو نحو ذلك مما يكون اعتقاده كفرًا فهو يمين استحسانًا، كذا في البدائع.
حتى لو فعل ذلك الفعل يلزمه الكفارة، وهل يصير كافرًا؟ اختلف المشايخ فيه، قال: شمس الأئمة السرخسي - رحمه الله تعالى -: والمختار للفتوى أنه إن كان عنده أنه يكفر متى أتى بهذا الشرط، ومع هذا أتى يصير كافرًا لرضاه بالكفر".
সারমর্মঃ
যদি কেহ বলে যে সে যদি অমুক কাজ করে তাহলে সে ইহুদি অথবা নাসারা অথবা অগ্নিপুজক অথবা ইসলাম থেকে মুক্ত অথবা কাফের,,,,,
তাহলে সেটি কসম হবে।
যদি সে উক্ত কাজ করে,তাহলে সে কাফের হবে কিনা,এই ব্যাপারে মাশায়েখদের মতবিরোধ রয়েছে। 
শামসুল আঈম্মাহ সরখসি রহঃ বলেন যদি তার আকীদা এমন হয় যে এই কাজ করলেই সে কাফের হয়ে যাবে,তাহলে এহেন আকীদা থাকার পরেও উক্ত কাজ করা মানে কুফরিতে সন্তুষ্ট থাকা।
বিধায় সে কাফের হয়ে যাবে।  

আরো জানুনঃ  

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যখন এ ধরনের কসম করেছিলো,তখন তার যদি আকীদা এটি থাকে,যে আমি ঐ কাজ করলে সত্যিই কাফের হয়ে যাবো,এবং এই আকীদা নিয়েই যদি সে উক্ত কাজটি করে ফেলে, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।

কেননা সে কাফের হয়ে যাওয়া ধরে নেওয়া সত্ত্বেও সেই কাজ করেছে,বিধায় তাকে কুফরিতে সন্তুষ্ট ধরা হবে।  

আর যদি তার এহেন আকীদা তার না থাকে,তাহলে উক্ত কাজ করার দ্বারা কাফের হবেনা।
তবে উভয় ছুরতেই কাফফারা দিতেই হবে।

যদি কাফের হয়ে যায়,তাহলে ছুরতে তাকে নতুন ভাবে ঈমান আনতে হবে,বিবাহিত হলে নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

(০২)
তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হবেনা।

(০৪)
এখানে আল্লাহর নামে কসম করে থাকলে ঈলা হবে।
নতুবা ঈলা হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ

(০৫)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।

(০৬)
আপনার আকীদা যেহেতু ঠিকই ছিলো,তাই এতে আপনি বেঈমান হয়ে যাবেননা।

(০৭)
এতে কাফের হবেননা।

(০৮)
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৯)
উক্ত ছুরতে কোনো তালাক হবেনা।
তবে স্ত্রী নিজেকে নিজে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...