আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
ফজরের আর যোহরের ফরজ নামাজ কি শুধু ওয়াক্তের শেষ দিকে পড়লে আর নামাজে থাকা অবস্থায় ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে নামাজ ফাসিদ হয়ে যাবে? পুনরায় কাযা আদায় করতে হবে? কেননা অন্যসব ওয়াক্তই শেষ হবার সাথে সাথেই নতুন ওয়াক্ত শুরু হয়। তবে যোহরটা নিয়ে একটু দ্বিধায় রয়েছি। যোহরের ওয়াক্ত শেষের হানাফি সময় দেখায় ৪.১৭। আর শাফি'র মতে ৩.২২ সম্ভবত। তাহলে আমি ৩.২২ এ যোহরের ফরজ আদায়রত থাকলে তখন কি আমার নামাজ ফাসিদ হবে? আমিতো হানাফি মাযহাব অনুসারী। তাহলে তো নামাজ ফাসিদ হবার কথা না, তাই না? আর যদি শাফি মাযহাবেরও হতাম তাহলেও তো নামাজ ফাসিদ হবার কথা না?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2312 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
জোহরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পরই মূলত আসরের ওয়াক্ত শুরু হয়।জোহরের ওয়াক্ত কখন শেষ হবে? এবং আসরের সূচনা কখন হবে? এ নিয়ে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।ইমাম শা'ফেয়ী রাহ,ইমাম মালিক রাহ,ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ সহ ইমাম আবু ইউসুফ রাহ ও ইমাম মুহাম্মাদ রাহ এর মতে ছায়ায়ে আসলি ব্যতীত এক মিছিল পরিমাণ প্রত্যেক জিনিষের ছায়া হওয়ার পর জোহরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়,এবং আসরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়।ইমাম আবু-হানিফা রাহ থেকেও এক অভিমত রয়েছে।

ইমাম আবু হানিফা রাহ থেকে প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী দুই মিছিলের পর জোহরের ওয়াক্ত শেষ হবে এবং আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে।হানাফি মাযহাবে উভয় মাযহাবের উপর ফাতাওয়া রয়েছে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৭০৫

সুতরাং এক মিছিলের পর ধারাবাহিক জোহর ও পড়া যাবে এবং আসরও পড়া যাবে।তবে দুটাকে জমা করে পড়া যাবে না।কেননা বিনা উযরে এক সাথে জমা করা মাকরুহ হবে।
أن الاحتياط أن لا يؤخر الظهر إلى المثل، وأن لا يصلي العصر حتى يبلغ المثلين ليكون مؤديا للصلاتين في وقتهما بالإجماع، 
সতর্কতা হিসেবে,জোহরের নামাযকে এক মিছিলের বেশী দেড়ী করে না পড়াই উত্তম।এবং আসরের নামাযকে দুই মিছিলের পূর্বে না পড়া উত্তম।যাতেকরে সর্বসম্মতিক্রমে নির্ধারিত ওয়াক্তে জোহর এবং আসর আদায় হয়ে যায়।(রদ্দুল মমুহতার-১/৩৫৯)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুতরাং ৩.২২ এ যোহরের ফরজ আদায়রত থাকাবস্থায় আছরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে তখন আপনার নামাজ ফাসিদ হবে না। শাফেয়ী মাযহাবের ওয়াক্ত মত জোহরের নামায কেউ পড়ে নিলে, সেই নামায ফাসিদ হবে না।বরং নামায হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (721,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...