বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2312 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
জোহরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পরই মূলত আসরের ওয়াক্ত শুরু হয়।জোহরের ওয়াক্ত কখন শেষ হবে? এবং আসরের সূচনা কখন হবে? এ নিয়ে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।ইমাম শা'ফেয়ী রাহ,ইমাম মালিক রাহ,ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ সহ ইমাম আবু ইউসুফ রাহ ও ইমাম মুহাম্মাদ রাহ এর মতে ছায়ায়ে আসলি ব্যতীত এক মিছিল পরিমাণ প্রত্যেক জিনিষের ছায়া হওয়ার পর জোহরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়,এবং আসরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়।ইমাম আবু-হানিফা রাহ থেকেও এক অভিমত রয়েছে।
ইমাম আবু হানিফা রাহ থেকে প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী দুই মিছিলের পর জোহরের ওয়াক্ত শেষ হবে এবং আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে।হানাফি মাযহাবে উভয় মাযহাবের উপর ফাতাওয়া রয়েছে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৭০৫
সুতরাং এক মিছিলের পর ধারাবাহিক জোহর ও পড়া যাবে এবং আসরও পড়া যাবে।তবে দুটাকে জমা করে পড়া যাবে না।কেননা বিনা উযরে এক সাথে জমা করা মাকরুহ হবে।
أن الاحتياط أن لا يؤخر الظهر إلى المثل، وأن لا يصلي العصر حتى يبلغ المثلين ليكون مؤديا للصلاتين في وقتهما بالإجماع،
সতর্কতা হিসেবে,জোহরের নামাযকে এক মিছিলের বেশী দেড়ী করে না পড়াই উত্তম।এবং আসরের নামাযকে দুই মিছিলের পূর্বে না পড়া উত্তম।যাতেকরে সর্বসম্মতিক্রমে নির্ধারিত ওয়াক্তে জোহর এবং আসর আদায় হয়ে যায়।(রদ্দুল মমুহতার-১/৩৫৯)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুতরাং ৩.২২ এ যোহরের ফরজ আদায়রত থাকাবস্থায় আছরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে তখন আপনার নামাজ ফাসিদ হবে না। শাফেয়ী মাযহাবের ওয়াক্ত মত জোহরের নামায কেউ পড়ে নিলে, সেই নামায ফাসিদ হবে না।বরং নামায হয়ে যাবে।