আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
বর্তমানে আমাদের মুসলিম ভাইদের মধ্যে ঐক্যের যে অভাব সেটা আমাকে অনেক কষ্ট দেয়। আর বার বার শুধু রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ওই হাদিসটি মনে পড়ে যেখানে উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং তার মধ্যে মাত্র ১ দলই হকের পথে থাকবে।
আমি কিছুদিন যাবৎ তাবলীগের কাজের সাথে জড়িত ছিলাম, সেখানেও তারা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে, এছাড়া তাবলীগের ভাইয়েরা চরমোনাই এর ভাইদের সহ্য করতে পারেনা, চরমোনাই এর ভাইয়েরা অন্য দলকে সহ্য করতে পারেনা।
এছাড়া কিছুদিন ইসলামী শাসন আন্দোলনের ভাইদের সাথেও জড়িত ছিলাম।
সবাই শুধু নিজেদের দল ভারী করার করায় ব্যস্ত। কিন্তু কেউ মুসলিমের ঐক্যের ব্যাপারে কিছু বলে না।
তাবলীগের ভাইয়েরা বলে দাওয়াত দেওয়া আমাদের ওপর ফরজ, কিন্তু ইসলামি রাজনীতি বা অন্য ব্যাপারে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
আবার ইসলামি আন্দোলনের ভাইয়েরা বলে, এই আন্দোলন বা জিহাদ আমাদের ওপর ফরজ। আবার তাবলীগের দাওয়াদের পদ্ধতি ঠিক নেই।
শুধু তাবলীগ এবং ইসলামি আন্দোলন না বরং সব ক্ষেত্রেই এমন, এই দুটো শুধু উদাহরণ এর জন্য দিলাম। আমাদের চারিদিকে শুধু এরকম ফিতনায় ভরা।

এখন এমতাবস্থায় কি করলে আমি সেই ১ টি দল অর্থাৎ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত এর দলে থাকবো? একজন সাধারণ মুমিন হিসেবে আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অনুসারী হওয়ার জন্য চার মাযহাবের যোকোনো একটি মাযহাবে গ্রহণ করে নিলেই হবে।এক্ষেত্রে তাবলীগী,চরমোনাই ইত্যাদি কোনো মানদন্ড নয়।বরং যেকোনো একটি উপদলে থাকলেও আহলে সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে।
আপনি নিজে চিন্তা গবেষণা করে দেখেন, তাবলীগ,না চরমোনাই, কোন উপদল কুরআন সুন্নাহর সবচেয়ে বেশী নিকটবর্তী। যে উপদল কুরআন সুন্নাহর সবচেয়ে বেশী নিকটবর্তী হবে,সেই দলের প্রতি সমর্থন দিবেন। যদি বাঁচাই করতে না পারেন, তাহলে নিরব থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...