আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in সালাত(Prayer) by (17 points)
আসসালামুআলাইকুম

 ১.একটানা ২/৩ ঘন্টা বাসে থাকাকালীন নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেলে ওই ওয়াক্তের নামাজ জমানো যাবে? মানে মাগরিবের ওয়াক্ত বাসে বসে হয়ে গেলো এখন বাসে বসে তো নামাজের রুকুন গুলো ঠিক রেখে নামাজ পড়া যায় না তাই বাসায় গিয়ে একবারে ঈশার নামাজের সাথে মাগরিবের নামাজটা পড়া যাবে?
২.আর যদি বাসে থাকাকালীন বসে বসে নামাজ পড়ি তাহলে শুধু ফরজ টুকু পড়ে সুন্নাত টুকু বাসায় গিয়ে পড়া যাবে?

৩. ফজরের আজানের সময় যখন "আসসলাতু খৈরুম মিনান্নাউম" বলে  তখন এর জবাবে " সদকতা ওয়া বারকতা" বলা কি বিদায়াত?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/827 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আরাফার দিন যোহর-আসর কে এবং মুযদালিফার রাত(নহরের রাত)মাগরিব-এশাকে এক সাথে পড়া জায়েয।এ সম্পর্কে সমস্ত উলামায়ে কেরামদের ইজমা রয়েছে।বিস্তারিত জানতে দেখা যেতে পারে-(আল ইজমা-ইবনুল মুনযির-৩৮,মারাতিবুল ইজমা-৪৫,আল-আওসাত্ব-২/৪২১)

এছাড়া সফর বা অন্য সময়ে দুই নামাযকে একসাথে পড়া কি শরীয়তে অনুমোদিত?সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।(শেষ)

https://www.ifatwa.info/573 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
এ সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে রাহমানিয়াতে(১/৩৪৮পৃঃ) সবিস্তারে বর্ণিত আছে,প্রয়োজনীয় অংশ নিচে উল্লেখ করা হচ্ছে......
এখানে তিনটি বিষয় জেনে রাখার দরকারঃ
১মঃ দাঁড়িয়ে নামায পড়া ।
২য়ঃ কিবলার দিকে মুখ রাখা ।
৩য়ঃ নিয়ম মুতাবিক রুকু-সিজদা সহ নামায পড়া । অর্থাৎ, ইশারায় রুকূ সিজদা না করা ।
যদি ট্রেন বা লঞ্চে বা বাসে উল্লেখিত তিনটির কোন একটি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে নিবে । কিন্তু পরে দোহরানো জরুরী হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যানবাহনে যেই নামাযের ওয়াক্ত হবে, সেই নামাযকে যানবাহনে ইশারার মাধ্যমে পড়ে নিবেন।পরবর্তীতে উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে নিবেন।

(২)শুধুমাত্র ফরয নামাযকে পড়ে নিবেন।সুন্নতকে তখন তরক করার রুখসত থাকবে।

(৩)
ফজরের আজানের সময় যখন "আসসলাতু খাইরুম মিনান্নাউম" এর জবাবে " সদকতা ওয়া বারকতা" বলা যাবে।
মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল মালিক ইবনু আবূ মাহযূরাহ হতে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি [আবূ মাহযূরাহ (রাঃ)] বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে আযানের নিয়ম শিখিয়ে দিন। তিনি আমার মাথার সম্মুখ ভাগে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, তুমি বলবেঃ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার-উচ্চস্বরে। এরপর কিছুটা নীচু স্বরে বলবেঃ আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ। হাইয়্যা ‘আলাস সলাহ, হাইয়্যা ‘আলাস সলাহ। হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ, হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ। ফজরের সালাত হলে বলবেঃ আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম, আসালাতু খাইরুম মিনান নাউম (ঘুমের চেয়ে সালাত উত্তম-দু’বার)। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
(আবু-দাউদ-৫০০,নাসাঈ-৬৪৭)আলবানী হাদীসকে সহীহ বলেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...