আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
254 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
১. প্রতিষ্ঠানের কোনো সহকারী ব্যাংক থেকে সুদ ভিত্তিক লোন নেয়ার পর সুদের হার কমাতে ব্যাংক পরিবর্তন (লোন পরিশোধের কার্যক্রম অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর) করার জন্য সে সহকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কি-না তা নিশ্চিত করতে প্রত্যয়ন পত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষরের প্রয়োজন এবং সেই প্রত্যয়ন পত্রে সহকারীর ব্যাংকে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এই প্রত্যয়ন পত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান স্বাক্ষর করে দিলে তিনি কি শরীয়তের দৃষ্টিতে সুদের স্বাক্ষী হবেন ? এই স্বাক্ষরের জন্য তিনি কি গুনাহগ‌ার হবেন ?

২. কোনো সূরা বা আয়াতের শুরুতে “উইদু নাফসি বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম” পড়া কি সুন্নাহ সম্মত  ?

৩.কোনো ব্যক্তি জমি ওয়াকফ করে গেলে সেই জমিতে গাছ লাগানো ও পরিচর্যার বাবদ খরচ হলে তা কি জমির ফসলের আয় থেকে নেয়া যাবে  ?

৪.কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান জনসম্মুখে তাদের সেবার গুনগান প্রচার করে তখন সে প্রতিষ্ঠানের সেবার দুর্ভোগের কথা জানালে কি সম্মুখে নিন্দা বা খোঁটা দেওয়ার গুনাহ হবে কি ?

৫. নামাজ না পড়া ব্যক্তির উপার্জন কি হারাম হয়ে যায় ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, উনি সুদের কাজে সহযোগিতাকারী হিসেবে গণ্য হবেন।

(২)
না , এটা সুন্নাহ সম্মত নয়।

(৩)
জ্বী,জমির ফসলের আয় থেকে নেয়া যাবে।

(৪)
না, বাস্তব অবস্থা বললে গোনাহ হবে না,গিবত হবে না।
https://www.ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
(চার) মুসলমানকে কারো মন্দ থেকে বাঁচাতে গিবত করা। এটা পাঁচ ভাবে হতে পারে।যথাঃ-
(১)হাদীসের রাবীদের দোষত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা।এটা সর্বসম্মতিক্রমে জায়েয।এমনকি শরীয়তকে বাঁচানোর জন্য এটা ওয়াজিব পর্যায়ের।
(২)বিয়ে-শাদীতে কোনো এক পক্ষের খোঁজ নিতে গিয়ে মাশওয়ারার সময় কারো সম্পর্কে সঠিক সংবাদ দেয়া।
(৩)ক্রেতাকে অজ্ঞাতবশত কোনো দোষণীয় জিনিষ ক্রয় করতে দেখলে, তখন তাকে সে সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া।বিক্রেতাকে কষ্ট দেয়া বা ফাসাদ সৃষ্টি করার মনোভাব থাকলে তখন জায়েয হবে না।
(৪)যদি কেউ দেখে যে একজন ফকিহ কোনো এক ফাসিক বা বিদাতি লোকের নিকট থেকে দ্বীন গ্রহণ করছে,তাহলে নসিহতের উদ্দেশ্যে ঐ ফকিহকে বাস্তব হাল সম্পর্কে জ্ঞাত করা উচিত।
(৫)যদি কোনো ব্যক্তির উপর কারো অভিভাবকত্ব থাকে,কিন্তু সে কোনো কারণে ঐ ব্যক্তির উপর কর্তৃত্ব বাস্তবায়ন করে ওকে শাসন করতে পারে না,এমতাবস্থায় সে তার অভিভাবক(অর্থাৎ ঐ অভিভাবকের অভিভাবক)এর নিকট প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করতে পারবে।

(৫)
না,ইনকাম হারাম হবে না।তবে নামায না পড়ার দরুণ অবশ্যই গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 161 views
...