বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/28918 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কুরআনের কোনো আয়াতের শানে নুযুল বা উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি হলে, এই আয়াতের হুকুম হল, ব্যাপক। সুতরাং যে সমস্ত আয়াতে নবীকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, সেই সব আয়াতের হুকুম ব্যাপক।হ্যা, প্রমাণিত ও বিশুদ্ধ কোনো দলীল প্রমাণের দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে বা কোনো ঘটনার সাথে কোনো আয়াত খাস হয়ে গেলে, সেই আয়াতের হুকুম রাসূলুল্লাহ সাঃ বা ঐ ঘটনার সাথে খাস হয়ে থাকবে।নতুবা হুকুম সাধারণত ব্যাপকতর হয়েই থাকবে।
আল্লামা সুবকি রাহ বলেন,
" إذا عرفت أن الأرجح عندنا اعتبار عموم اللفظ دون خصوص السبب ، فلا نعتقد أن ينسحب العموم في كل ما ورد وصدر ؛ بل إنما نعمم حيث لا معارض'
শানে নুযুল ধর্তব্য নয়।বরং শব্দের ব্যাপকতাই ধর্তব্য। সুতরাং যে বিষয়ে কোনো আয়াত নাযিল হবে,সেই বিষয়ের উপর আমরা আয়াতের হুকুমকে সীমাবদ্ধ করবো না, বরং আমরা আয়াতের হুকুমকে প্রত্যেক ঐ বিষয়ে প্রয়োগ করবো, যেখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। (আল আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-২/১৩৬)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ওয়াদা রক্ষার প্রেক্ষাপটে নাযিল হওয়া আয়াতকে উপদেশ প্রদান বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে বাধা নেই যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে। আর এখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।