ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এটা মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। এই মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টা দু'টি কারণে হতে পারে,(১) হয়তো জ্বীনের আছরের কারণে হয়েছে,(২) অথবা রোগের কারণে হয়েছে।সুতরাং প্রথমে চার কুল,আয়াতুল কুরসি পড়ে শরীরে ফু দিবেন। হয়তো কমে যাবে।নতুবা বিজ্ঞ কোনো ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
(২)
আল্লাহ-ই ভালো জানেন। স্থানীয় পর্যায়ের ভালো কোনো মুদাব্বির আলেমের শরণাপন্ন হবেন।অথবা আমাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করবেন।
(৩)
স্বপ্নের আদাব হচ্ছে, স্বপ্ন দেখার পর যে কাউর কাছে ব্যক্ত না করা, বিজ্ঞ কোন হিতাকাঙ্খি জন দেখে বর্ণনা করা।
এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে.......
سٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ».
হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।
তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮।
উনাকে বলবেন, বেশী বেশী নবীর উপর দুরুদ পাঠ করতে।