আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
291 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)

আসসালামু আ'লাইকুম

১) যুহরের ফরজ নামাজে রাকাত নিয়ে সন্দেহ হয়েছিলো । পরে ১ রাকাত কম ধরে নামাজ আদায় করি । নিয়ত করেছিলাম সাহু সিজদাহ দিব । কিন্তু ভুলে সালাম ফিরিয়ে ফেলি । সালাম ফিরানোর পর মনে পড়লে আবার একদিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদাহ দেই ।

নামাজ কি শুদ্ধ হয়েছে ? নাকি আবার পড়তে হবে ?

২)

আমি ২০১৯ সালের মাঝা মাঝি তে Quantam Foundation এর ব্লাড কালেকশনে রক্ত দেই । তখন তাদের ব্যাপারে জানতাম না । কিন্তু এখন জানতে তারা নাকি তান্ত্রিক সাধনাও করে । Quantam Crime গ্রুপে দেখলাম রক্ত নাকি যাদু করার জন্য বেস্ট । . আগে হাস্পাতালে যাওয়াই লাগতো না , রোগ বলতে গেলে ছিলই না ২০১৯ সালের শেষের থেকে এখন রোগ বাড়তেই আছে । পস্রাবের সমস্যার কারণে ফজরের জামাত প্রায়ই মিস হয় , কিন্তু আগে রেগুলার ছিলাম । বড় ডাক্তার দেখিয়েছি । টেস্ট দেখে বলেছেন এটা নাকি আমার মানসিক সমস্যা । রিপোর্ট দেখে বলল শারিরিক কোন সমস্যা নেই । . এসব সমস্যা কি তাদের যাদুর ফলে হতে পারে ? যদি হয় তাহলে পরিত্রানের উপায় কি ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো,এক্ষেত্রে সালাম ফিরানোর পর যদি নামাজ বহির্ভুত কোনো কাজ না করে,কোনো কথাবার্তা না বলে,কিবলা দিক থেকে না ফিরে, (কাতার/মসজিদ থেকে বের হয়ে না আসে) তাহলে সেজদায়ে সাহু দিয়ে তাশাহুদ, দরুর শরীফ, দোয়ায়ে মাছুরা পড়ে সালাম ফিরানোর দ্বারা নামাজ হয়ে যাবে।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আরা আদায় করতে হবেনা।    

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَصَابَهُ قَىْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْىٌ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى صَلاَتِهِ وَهُوَ فِي ذَلِكَ لاَ يَتَكَلَّمُ " .

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাত (নামায/নামাজ)রত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সালাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে।
(ইবনে মাজাহ ১২২১)

(০২)
যারা কুরআন হাদীস থেকে রুকইয়াহ করে থাকেন,তাদের কাছে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে যেতে পারেন।
ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...