জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তে প্রচলিত মিলাদ,দিন তারিখ নির্দিষ্ট করে
কুলখানি, চল্লিশার অনুষ্টানের বৈধতা শরীয়তে নাই।
শরীয়তের বিধান হলো যে পদ্ধতিতে কোন ইবাদত খাইরুল কুরুনে আদায় করা হতো না, সেটিকে জরুরী মনে করে বা একমাত্র পদ্ধতি মনে করে, বা আবশ্যকীয় পদ্ধতি বানিয়ে উক্ত ইবাদত করাও বিদআতের শামিল।
রাসুল সাঃ বলেন-
وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ
‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’
আরেক হাদীসে আছে-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .
‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মৃত মানুষের উদ্দেশ্যে ঈসালে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে দেওয়া তাবারক ধনীদের জন্য না খাওয়াই উত্তম।
কেননা এটি মাইয়্যিতের নিকটে ছওয়াব পৌছানোর জন্য খাওয়ানো হচ্ছে,আর ধনীকে খাওয়ালে ঈসালে ছওয়াব হবেনা।
তবে যেহেতু মালিক মুবাহ করে সকলের জন্যই ব্যবস্থা করেছেন,তাই এটি ধনীদের জন্য খাওয়া হারাম হবে না।
জায়েজ হবে,তবে ধনীদের জন্য অনুত্তম।
গরীব তথা যাদের উপর যাকাত ফরজ নয়,নেসাব পরিমান সম্পদের যারা মালিক নন,তাদের জন্য ঈসালে ছওয়াবের এই ধরনের তাবারক খাওয়া অনুত্তম নয়।
তারা খেলে ঈসালে ছওয়াব হবে।
এতে মাইয়্যিতের কবরে ছওয়াব পৌছবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★ধনীদের জন্য এটি খাওয়া যেহেতু হারাম নয়,বরং অনুত্তম।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি ধনী হলেও তার জন্য কোনো করনীয় নেই।