বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযে দু রকম কেরাত রয়েছে,
উচ্ছস্বর আর নিম্নস্বর।
যোহর এবং আসরের নামাযে নিম্নস্বরে কেরাত পড়তে হয়।হানাফি মাযহাব মতে ওয়াজিব।তবে কেউ কেউ সুন্নাতও বলেছেন।
ফজর, মাগরিব,এশা বিতির সহ বেশ কিছ জামাতের সাথে নফল নামাযে উচ্ছস্বরে কেরাত পড়তে হয়।এটাও হানাফি মাযহাব মতে ওয়াজিব।তবে কেউ কেউ সুন্নাতও বলেছেন।
উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,এক কাতার পরের লোক কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ কোনো পরিমাণ নেই।তবে যাতে অন্যর কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবং নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান নাড়িয়ে হরফকে উচ্ছারণ করা।আর সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা বা পাশের জন কর্তৃক শ্রবণ করা।এরচেয়ে কম বেশ করা যাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2570
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নামাযে তাসবিহাতের হুকুম হল, নিম্নস্বরে কিরাতের মতই। সুতরাং তাসবিহাত যদি এমন আওয়াজে পড়া হয় যা পাশের জন শুনে নেয়, তাহলে এজন্য নামাযে কোনো ক্ষতি হবে না,সমস্যাও হবে না।হ্যা পাশের জনের পাশের জন শুনে নিলে তখন কিন্তু বিষয়টা অপছন্দনীয় হিসেবে বিবেচিত হবে।