আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
edited by
আসসালামু ওয়ালাইকুম।

১) ইমাম কে রুকু অবস্থায় পেলে, তাকবির তাহরিমা বলে, তারপর রুকুতে যেতে যেতে আল্লাহু আকবার বলে  ১ বার তাসবিহ পরার সমপরিমাণ সময় রুকু পেলে রাকাত পেয়েছি বলে গণ্য হবে?

২)আর রুকুতে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আল্লাহু আকবার পড়ব নাকি রুকু করার সময় বলব?

৩)ইমামের সাথে নামাজ পড়ার সময় প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার সময় আমার তাশাহুদ শেষ হওয়ার আগে ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে কি করব?

৪) একাকি নামাজে ১ম বৈঠকে তাশাহুদ না পড়ে দাঁড়িয়ে গেলে সাহু সিজদাহ ওয়াজিব হবে? এর বিধানটি বললে উপকার হতো।

৫) ফরজ, সুন্নত, নফল নামাজ একাকি পড়ার সময় কি জোরে জোরে উচ্চারণ করে পড়তে হবে?

৬)মসজিদে জামায়াত মিস হয়ে গেলে কয়েকজন মিলে মসজিদে জামায়াতে নামাজ পড়তে হলে কি ইকামাত দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (63,040 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয় ৬ কারণে। যথা-

১) কোন রুকন আগে করে ফেলা।

২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা।

৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা।

৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া।

৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া।

৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া

 

أنه يجب بستة أشياء: بتقديم ركن، وبتأخير ركن، وتكرار ركن، وبتغيير واجب، وبترك واجب، وبترك سنّة تضاف إلى جميع الصلاة (المحيط البرهانى، كتاب الصلاة، الفصل السابع فى سجود السهو-1/501)

 

মর্থার্থ: ছয় কারণে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা,  ২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা। ৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া

 

وفى منية المصلى: يجب بستة اشياء بتقديم ركن….. بتأخير ركن…. بتكرار الركن…. بتغيير الواجب….. بترك الواجب…. بترك لسنة المضافة على جميع الصلاة نحو ان يترك قراءت التشهد فى القعدة الاولى (منية المصلى مع غنية المستملى-456-457)

 

মর্থার্থ: ছয় কারণে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা,  ২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে রাকাত পেয়েছেন বলে গণ্য হবে।

২. রুকুর তাকবীরটা রুকুতে যেতে যেতে বলবেন।

৩. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি আপনার তাশাহহুদ পড়াটা একটু দ্রুত শেষ করবেন। তারপর দাঁড়াবেন।

৪. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সাহু সিজদাহ ওয়াজিব হবে।

৫. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বরং আস্তে আস্তে তেলাওয়াত করে পড়বে। তবে ফজর, ইশা ও মাগরীবের নামাজে চাইলে একটু জোরে জোরে উচ্চারণ করে পড়তে পারে।

৬. না দেওয়াই উত্তম। উল্লেখ্য যে, জামে মসজিদ হলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে জামাতে নামাজ না পড়ে একা একা পড়াই উত্তম। আরো জানুন- https://ifatwa.info/9207/?show=9207#q9207


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (41 points)
hello 
উত্তর কি দেয়া হবে মুহতারাম

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 82 views
0 votes
1 answer 160 views
...