জবাবঃ-
অসম্মান বা কাউকে নিচু করে অপমানজনক কথা বলা নাজায়েয। এটি ফাসেকী তথা গোনাহের কাজ। সুতরাং কোনো দ্বীনদ্বার বা আলেমকে গালি দেয়া সেতো আরো জঘন্য কাজ,তাতো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কাউকে কটাক্ষ করার দু’টি কারণ হতে পারে। যথা-
১-ব্যক্তিগত কোন শত্রুতার কারণে।
২-দ্বীনদার হবার কারণে।
প্রথম প্রকারের ক্ষেত্রে কুফরী হবে না।
কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তিকে তার দ্বীনদারিত্বর কারণে অপমান করা হয়,কটাক্ষ করা হয়, তাহলে এটি কুফরী। তার ঈমান নবায়ন করতে হবে বলে অনেক ফুক্বাহায়ে কেরাম ফাতওয়া প্রদান করেছেন।ঐ ব্যক্তি তওবা না করলে ঈমানের সাথে মৃত্যু হবে কি না? এব্যাপারে ঘোর সন্দেহ আছে।
প্রশ্নের উল্লেখিত কথা গুলো দ্বিতীয় প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং ঈমান হারা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।। তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে এটি সর্বসম্মত মত নয়। বরং একদল ফুক্বাহায়ে কেরামের মত।
প্রমাণ
مَنْ أَبْغَضَ عَالِمًا مِنْ غَيْرِ سَبَبٍ ظَاهِرٍ خِيفَ عَلَيْهِ الْكُفْرُ، إذَا قَالَ لِرَجُلٍ مُصْلِحٍ: ديدا روى نَزِدْ مِنْ جنان است كه ديدار خوك يُخَافُ عَلَيْهِ الْكُفْرُ كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
وَيُخَافُ عَلَيْهِ الْكُفْرُ إذَا شَتَمَ عَالِمًا، أَوْ فَقِيهًا مِنْ غَيْرِ سَبَبٍ، وَيَكْفُرُ بِقَوْلِهِ لِعَالِمٍ ذَكَرُ الْحِمَارِ فِي اسْتِ عِلْمِك يُرِيدُ عِلْمَ الدِّينِ كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ (الفتاوى الهندية، كتاب السير، الباب التاسع فى احكام المرتدين-2/270، تاتارخانية-5/508)
وفى البزازية: فالاستخفاف بالعلماء لكونهم علماء استخفاف بالعلم والعلم صفة الله تعالى منحة فضلا على خيار عباده ليدلوا خلقه على شريعته نيابة عن رسله فاستخفاف بهذا يعلم انه الى من يعود، (الفتاوى البزازية على هامش الهندية-6/336، مجمع الانهر-2/509