আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
824 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
অামি বিয়ে করেছি ৪মাস হলো।অামার শসুর শাসুড়ি বলে অামার স্ত্রীর বয়স ১৬। কিন্তু তার গঠন চেহারা দেখে মনে হয় অারো বেশি। বিয়ের অাগে তাকে মেকাপ করে দেখানোর কারনে পছন্দ হইছে তা অামি বুঝতে পারি নি। এখন তাকে অামার পছন্দ হয় না৷ ভালোও লাগে না কিছুতেই বউ বলে মনে বসাতে পারছি না৷ অপর দিকে তার সাথে সব রকম শারীরিক সম্পর্কে কোন ভাবেই সুখ শান্তি বা তৃপ্তি পাচ্ছি না।  তার ওজন ৭২ কেজি, অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারনে তার প্রতি অামার কোন ফিলিংস জন্মে না এবং শারিরীক সম্পর্কে বিশেষ কোন সুবিধা পাই না৷ অনেকেই বলে সে অার মোটা হতে পারে। অার মোটা মেয়েদের অনেক রকম সমস্যা হয়। তার সাথে বিয়ের পর শুধু দেড় মাস ছিলাম। এখন অামরা অালাদা সে তার বাড়ি। অামি তাকে উপরোক্ত কারন গুলোর কারনে ছেরে দিতে চাই অার এ বিষয়টি ও সহ ওর পরিবার জেনে গেছে তাই অার অাসতেও দেয় না তারাও বলেছে এত ভেজালের থেকে অামরাও ছেরে নেবো৷ জোর করে সংসার হয় না৷ এখন অামি কি করব। তাকে অামি মেনেই নিতে পারছি না মন থেকে। বিশেষ করে যখন অারো মনে হয় চিকন মেয়ের সুবিধা বেশি।  অার বিয়ের দিন থেকে অামার মন খারাপ, তার প্রতি অামার কোন ভালোলাগা জন্মে না৷ ভালোবাসাও জন্মে না। এভাবে সারাজীবন কি করে থাকব।  ভবিষ্যতে অারো অশান্তি হবে বলে মনে হয়। অামি তাকে ছেরে দিতে চাই৷ এ ক্ষেত্রে অাপনাদের পরামর্শ কি বা ইসলামে কি বলে যাতে অামাদের দু পক্ষের শান্তি হয়। দয়াকরে উত্তর দেবেন অাপনাদের কাছে হাত জোর করছি।

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।
(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 


★বিনা কারনে তালাক দিলে গুনাহ হয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
হযরত আবু মুসা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أبي موسى رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال:  إن الله تعالى لا يحب الذواقين ولا الذواقات
قال الهيثمي :  رواه الطبراني وفيه راو لم يسم وبقية إسناده حسن. مجمع الزوائد - (4 / 617) ،
وضعفه الشيخ الألباني في ضعيف الجامع برقم : 1673

অর্থঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা স্বাদ আস্বাদনকারী পুরুষ ও স্বাদ আস্বাদনকারী মহিলাদেরকে পছন্দ করেন না।
মাজমা'উ যাওয়ায়েদ-৪/৬১৭।

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত কারনে স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিলে স্বামী গুনাহগার হবে।
কেননা এটি শরীয়তে তালাক দেওয়ার মতো গ্রহনযোগ্য ওযর নয়। 
প্রশ্নে উল্লেখিত ভাইয়ের প্রতি পরামর্শ থাকেব,তালাক না দিয়ে সেই স্ত্রীকে নিয়েই ঘর সংসার করার।
আল্লাহ তায়ালা এই স্ত্রীর মাঝেই আপনার কল্যান রেখেছেন,মনে করে তাকে ভালোবাসা শুরু করুন।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

قال تعالى: (فإن كرهتموهن فعسى أن تكرهوا شيئاً ويجعل الله فيه خيراً كثيراً)

অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক কল্যাণ রেখেছেন।
সূরা নিসা-১৯

শুরু থেকেই তাকে অপছন্দ করার কারনে এখনো তাকে মানিয়ে নিতে পারেননি।
এভাবে তালাক দিলে একজন মেয়ের জীবনে নিয়ে খেলা হয়ে যাবে,যার কারনে আখেরাতে এর জন্য শাস্তি হবে।
সুতরাং আখেরাতের অনন্তকালের দিকে তাকিয়ে তাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করার পরামর্শ প্রদান করছি।         


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...