আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
397 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি মানুসিক ভাবে খুব অশান্তি তে আছি, দয়া করে আমার প্রতিটা প্রশ্ন ধারাবাহিক ভাবে বুঝিয়ে বলবেন। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে আমার মনে এসেছে কোন কারন ছাডাই ওয়াসওয়াসার কারনে , আমি যদি এই মেয়ের সাথে কথা বলি তাহলে আমি তালাক গ্রহণ করলাম,  এই কথাটা শুধুই মনে মনে ভেবেছি, আমার মুখ তখন একদম বন্ধ ছিল ঠোঁট ও নডে নি, আমি ১০০% নিশ্চিত। আমি জানি মনে মনে এসব বলাতে কখনো কোন প্রবলেম হয় না, কিন্তু আমি প্রছন্ডভাবে ওয়াসওয়াসার আক্রান্ত বলে আমি অস্থির হয়ে পডি। এটা নিয়ে একদিন ভাবতে ভাবতে তার পরের দিন হঠাৎ করে কিছু কথা বলে ফেলি, এই কথা গুলো বলাতে কোন সমস্যা হবে নাকি প্লিজ বলবেন-

১. যদি হয় একবার হবে (তালাক শব্দটা উচ্চারণ করিনি)
২. হলে একবার হবে(তালাক শব্দটা উচ্চারণ করিনি)
উপরের কথাগুলো বলার পর মেয়েটার সাথে আমার কথা হয়েছে মেসেজে। নিচে যেগুলো লিখছি এগুলো মেয়েটার সাথে কথা হবার পরের ঘটনা -

৩. ১ বার হয়ে গিয়েছে(তালাক শব্দটা উচ্চারণ করিনি)
৪. আমি নিশ্চিত নয় এই কথা বলেছি কিনা, কিন্তু উত্তর দিবেন, ১ তালাক হয়ে গিয়েছে, এরকম কথা স্ত্রী বললে কি কোন সমস্যা হয়?

৫. সম্পর্ক না থাকলে না থাক, এরকম কথা স্ত্রী বললে সমস্যা হয়?

৬. একবার আমি মনে মনে ভাবতেছিলাম ভবিষ্যতে মেয়েটার সাথে কথা বলার দরকার হলে আমি বলব না, অন্য কাউকে দিয়ে বলাব, যাকে দিয়ে কথা বলাব সে যদি জিজ্ঞেস করে আমি কথা বলছি না কেন, তখন তাকে বলব এর সাথে কথা বললে আমার সমস্যা হবে অথবা তালাক হয়ে যাবে( ঠিক কোনটা বলেছি মনে নেই) এটা আমি হঠাৎ চিন্তা করতে করতে মুখে ফসকে বের হয়ে গেছে, নিয়ত ছিল একেবারে প্রথম বার মনে মনে যে কথাটা বলেছি ওটা, নতুন ভাবে নিয়ত ছিল না। কিন্তু এবারের বলার আগেই মেয়েটার সাথে আমার কথা হয়েছিল, মেয়ের সাথে কথা বলার পরের দিন নতুন করে এ কথাটা চিন্তা করতে করতে মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে হয়ত তবে আমি নিশ্চিত না, মুখে বলেছি কিনা।
৭. উপরের ৬ নাম্বারে যেটা বলেছি, ভবিষ্যতে আমি যদি মেয়েটার সাথে কথা বলি তাহলে কোন সমস্যা হবে কিনা?
নিকাহনামা সম্বন্ধে কিছু প্রশ্ন- সে আমাকে তাফবীজ এর অধিকার দিয়েছে, তবে কিভাবে দিয়েছে আমার জানা নেই এবং সে বলতে চাচ্চেনা-

১. নিকাহ্নামাতে যদি তাফবীজ এর জায়গায় শুধু হ্যা লিখা থাকে তাহলে আমি কয় তালাকের অধিকারী হব? আর শুধু হ্যা লিখা থাকলে উপরের কথাগুলো বলার মাধ্যমে কোন সমস্যা হবে কিনা?

২. তাফবীজ এর জায়গায়, হ্যা, শরীয়ত এর শর্ত অনুযায়ী এটা লিখা থাকলে উপরের কথা গুলো  বলার মাধ্যমে কোন সমস্যা হতে পারে? কারন শরীয়তে যে কথাগুলোর জন্য স্ত্রী কে অধিকার দিয়েছে উপরের কথাগুলো সেগুলোর মধ্যে পডে না। শরীয়ত এর শর্তঅনুযায়ী লিখা থাকলে কয় তালাকের অধিকারী হব?
এবং একটু টাকা পয়সা বা অন্যকিছুর সমস্যা থাকলেও আমি আমার হাজবেন্ড কে নিয়ে সন্তুষ্ট। একটু ঝগড়া বা মনোমালিন্য ত হতেই পারে।।
৩. যদি শর্ত গুলো স্পষ্ট ভাবে লিখা থাকে, তবে ওই শর্তের বাইরে অন্য কোন কারনে স্ত্রী যদি উপরের কথাগুলো বলে সে ক্ষেত্রে কি সম্পর্কে কোন সমস্যা হতে পারে?
এই মেয়েটাকে নিয়ে আমার মাথায় এত ঘুরপাক খাওয়ার কারন হচ্ছে, মেয়েটা আমার হাজবেন্ড কে পছন্দ করে কিন্তু আমার হাজবেন্ড এটার কিছুই জানেনা, আমি জানি  সব, মেয়েটাকে বলছিও আমরা বিবাহিত। তাই এগুলা নিয়ে ভাবতে ভাবতে ই আমি অসুস্থ হয়ে পডছি। আমার আর আমার হাজবেন্ড এর সম্পর্ক আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো। প্লিজ আমার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিবেন

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

তালাকের কথা চিন্তা করল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। কারণ শুধু অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

 

তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনএক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললোহে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তাঁর বাদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেনরসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে আরোহণ করলেনঅতঃপর বললেনহে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন করো যেসে তার গোলামের সাথে তার বাদীর বিবাহ দেয়অতঃপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধতালাকের অধিকার তার। [সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১]

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনতিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহতালাকরাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫ ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেনএই হাদীসটি হাসান-গারীব।

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। তবে যদি স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়ে দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে স্ত্রী সে তার নিজের নফসের উপর তালাক দিতে পারবে। এভাবে বললে (আমি আমার নিজের উপর তালাক দিলাম বা আমি তালাক নিলাম বা আমি তালাক গ্রহণ করলাম) তালাক হবে। অন্যথায় স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে যে, ‘আমি তোমাকে তালাক দিলাম’। তাহলে এতে কোনো তালাক পতিত হয় না।

,,,৪. শুধু মনে মনে মুখে উচ্চারণ ছাড়া তালাক দিলে কোনো তালাক পতিত হয় না।

৫. না, এই কথার দ্বারা কোনো তালাক হবে না।

. আরো চিন্তা ভাবনা করে নিশ্চিত হন।
,. নিকাহ নামাহ দেখুন সেখানে কয় তালাক বা কি তালাকের অধিকার দেওয়া আছে।
,,৩. নিকাহ নামাহ দেখুন সেখানে কয় তালাক বা কি তালাকের অধিকার দেওয়া আছে।
<!--[endif]-->


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (4 points)
১, ২, ৩ এ কথা গুলো ঠিক এই ভাবে মুখে উচ্চারণ করেছি, কিন্তু তালাক শব্দটা ব্যবহার বা উচ্চারণ করিনি। ৪ নাম্বার, এটা যদি স্ত্রী মুখে উচ্চারণ করে তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...