بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
মুসাফিরের জন্য স্বাভাবিক অবস্থায় জামাতের সাথে নামাজ
আদায় করাই নিয়ম। সফরের কোনো তাড়া না থাকলে মুসাফির জামাতেই নামাজ পড়বে। আর মুসাফির
ব্যক্তি মুকিম ইমামের পিছনে ইকতেদা করলে চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ চার রাকাতই পড়া জরুরি
হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ইমামের পিছনে পুরো চার রাকাত না পেলেও মাসবুকের ন্যায় ছুটে যাওয়া
রাকাতগুলো ইমামের সালামের পর আদায় করে নিতে হবে। নতুবা নামাজ হবে না।
উল্লেখ্য, মুসাফিরের জন্য চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয
নামাজ দুই রাকাত পড়ার হুকুম কেবল তখনই, যখন সে একাকী নামাজ পড়বে বা নিজে ইমামতি
করবে কিংবা অন্য কোনো মুসাফির ইমামের পিছনে ইকতেদা করবে। মুকিম ইমামের পিছনে ইকতেদা
করলে ইমামের অনুসরণে তার ওপরও চার রাকাত আদায় করা আবশ্যক হয়ে যায়। (তাবয়িনুল হাকায়েক
: ১ : ৫১৫; ফাতাওয়া
হিন্দিয়া : ১ : ১৪২)
https://ifatwa.info/5558/
নং ফাতওয়াতে
উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিন বায
রাহ বলেন,
"إذا كان المسافر في الطريق فلا بأس ، أما إذا
وصل البلد فلا يصلي وحده ، بل عليه أن يصلي مع الناس ويتم ، أما في الطريق إذا كان
وحده وحضرت الصلاة فلا بأس أن يصلي في السفر وحده ويقصر الرباعية اثنتين" اهـ .
যদি মুসাফির রাস্তায় থাকেন,তাহলে উনি একা একা নামায পড়তে পারবেন।এতে
কোনো সমস্যা নাই।কিন্তু উদ্দিষ্ট শহরে পৌছে গেলে তিনি আর একা নামায পড়বেন না।বরং উনার
উপর ওয়াজিব,তিনি জামাতের
সাথে নামায পড়বেন।(মাজ'মুআহ ফাতাওয়া-১২/২৯৭)
ইবনে উসাইমিন রাহ লিখেন,
ولا تسقط صلاة الجماعة عن المسافر ؛ لأن الله
تعالى أمر بها في حال القتال فقال : (وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ
الصَّلاةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ
فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى
لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ ) النساء/102 . وعلى هذا فإذا كان المسافر في
بلد غير بلده وجب عليه أن يحضر الجماعة في المسجد إذا سمع النداء إلا أن يكون
بعيداً أو يخاف فوت رفقته, لعموم الأدلة الدالة على وجوب صلاة الجماعة على من سمع
النداء أو الإقامة " اهـ .
মুসাফিরের উপর থেকে জামাতের বিধান পুরোপুরি রহিত হবে না।যখন
যুদ্ধের ময়দানে আল্লাহ তা'আলা জামাতে
নামায পড়ান বিধান দিচ্ছেন,তখন মুসাফিরের
উপর থেকে জামাতের বিধান পুরোপুরি রহিত হবে না।
সুতরাং মুসাফির যদি নিজ শহর ব্যতীত ভিন্ন কোনো শহরে থাকে,এবং তথায় শান্তির সাথে থাকে,তাহলে সেখানে আযান শ্রবণ করার পর মসজিদে
উপস্থিত হয়ে নামায পড়তে হবে।তবে যদি জান মালের ক্ষতির আশংকা থাকে,বা সঙ্গী হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে,তাহলে তখন মসজিদে উপস্থিত হয়ে জামাতে নামায
ওয়াজিব হবে না। (মাজ'মুউ ফাতাওয়া ও রাসাঈল-১২/২৫২)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
মুসাফির যদি শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে থাকে,এবং নিজ জান ও মালের ক্ষতির আশংকা না থাকে,তাহলে খালিমূখে আযান যতদূর থেকে শ্রবণ
করা যাবে,ততদূর থেকে মসজিদের জামাতে
শরীক হওয়া ওয়াজিব।অন্যথায় মসজিদের জামাতে শরীক হওয়া ওয়াজিব হবে না।
শরয়ী সফরের দূরত্ব অতিক্রম করার নিয়তে ১৫ দিনের কম দিন
থাকার নিয়তে সফর করলে আপনি আপনার শহরের শেষ সীমানা অতিক্রম করার পর কসর শুরু করবেন।
কিন্তু প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে যেহেতু ১৫ দিনের বেশী অর্থাৎ ৭/৮ মাস থাকার নিয়ত করেছে
বিধায় ঐ ব্যক্তির উপর কসরের হুকুম আসবে না । বরং তাকে সাধারণ মুকীমের মত নামাজ আদায়
করতে হবে।