بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/30436/?show=30436#q30436 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেনমোহর বিয়ের আকদের
পর প্রদান করাতে কোন সমস্যা নেই। তবে সহবাসের পূর্বে প্রদান করাই উত্তম। তবে যদি স্ত্রী
দেনমোহর প্রদান করা ছাড়াই সহবাসের অনুমতি প্রদান করে তাহলে কোন সমস্যা নেই। বাকি স্ত্রী
দেনমোহর প্রদান করা ছাড়া প্রথম সহবাসের পূর্বে বাঁধা প্রদান করতে পারবে। কিন্তু একবার
সহবাস হয়ে গেলে আর বাঁধা দিতে পারবে না। কিন্তু স্বামীর জিম্মায় দেনমোহর আদায় না করলে
তা ঋণ হিসেবে বাকি থেকে যাবে।
স্ত্রী যদি উক্ত দেনমোহর মাফ না করে, আর স্বামীও
তা পরিশোধ না করে, তাহলে কিয়ামতের ময়দানে স্বামী অপরাধী সাব্যস্ত
হবে। তাই দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করে দেয়া জরুরী।
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَا
آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ [٥:٥]
তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের
সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে,
যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর। [সূরা মায়িদা-৫]
وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ أَن تَنكِحُوهُنَّ
إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ
[٦٠:١٠]
তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য
মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। [সূরা মুমতাহিনা-১০]
https://www.ifatwa.info/3498 নং ফাতাওয়া আমরা
উল্লেখ করেছি যে,
বিবাহের সর্বনিম্ন মহর দশ দিরহাম।
০১ দিরহাম=৩.০৬১৮ গ্রাম।
১০*৩.০৬১৮= ৩০.৬১৮ গ্রাম রূপা।অর্থাৎ দুই তোলা সাড়ে সাত
মাশা।
বর্তমানে প্রতি তোলা রূপার মূল্য ১২০০/- টাকা।
১০(১০*১২০০)দিরহামের মূল্য দাঁড়ায় ৩,১৫০/- টাকা।
এটা হলো প্রত্যেক মহিলার জন্য শরীয়তের পক্ষ্য থেকে সর্বশেষ
নির্ধারিত মহর।যাকে শরীয়তের হক বলা হয়ে থাকে।এর চেয়ে কম মহর নির্ধারণ করা যাবে না।সুতরাং
বর্তমান হিসেব অনুযায়ী ৩,১৫০ টাকা এর নিম্নে মহর নির্ধারণ করা যাবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১.বিয়ের সময় যেই পরিমাণ মোহরানা নির্ধারণ করা হয়েছে, তাই পরিশোধ
করতে হবে। কেউ যদি নির্ধারিত পরিমানের থেকে অতিরিক্ত দেয় তাহলে জায়েয আছে কিন্তু কম
দেওয়া জায়েয নেই। তবে স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় মোহারানা মাফ করে দেয় বা পূর্ব নির্ধারিত
মোহরানা থেকে কিছু অংশ কমিয়ে তাহলে তা জায়েয
আছে। তবে মোহরানা একান্ত স্ত্রীর প্রাপ্য ও অধিকার। যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরানা
আদায় না করে এবং স্ত্রী তা মাফও না করে তাহলে ঐ ব্যক্তি গোনাহগার হবে এবং হুকুকুল ইবাদ
নষ্ট কারী হিসেবে আল্লাহ দরবারে হাজির হতে হবে। তাই দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করে দেয়া
অত্যন্ত জরুরী।
২. যদি স্ত্রীর উপর যাকাত ফরজ হয় তাহলে এটা
স্ত্রীর দায়ীত্বেই আদায় করা ফরজ। তার কাছে যদি অতিরিক্ত কোনো টাকা না থাকে,
তাহলে কারো কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সে যাকাত আদায় করবে। বা অন্য যেকোনো ভাবে
টাকা জোগাড় করে যাকাত আদায় করবে। স্ত্রীর পক্ষ থেকে মাহরামের উপর যাকাত আবশ্যক হবে
না। যদি উক্ত মোহরের পরিমাণ নেসাব সমপরিমাণ হয়, তাহলেই স্ত্রীর
উপর যাকাত আবশ্যক হবে। মোহরের টাকা পরিশোধ করে স্ত্রীর হস্তগত করার আগে উক্ত সম্পদে
স্ত্রীর মালিকানা সাব্যস্ত হয় না।