হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا; عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «اجْعَلُوا آخِرَ صَلَاتِكُمْ بِاللَّيْلِ وِتْرًا». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিতরকে তোমাদের রাতের শেষ সালাত করবে।
(বুখারী ৪৭২, ৯৯৮ মুসলিম ৭৪৯, ৭৫০, নাসায়ী ১৬৬৬, ১৬৬৭, আবূ দাউদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ইবনু মাজাহ ১১৭৪ , ১১৭৫, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, মুয়াত্তা মালিক ২৬৯, ২৭৫, দারেমী ১৪৫৮)
এই হাদীসে বিতরকে রাতের শেষ সালাত হিসেবে আদায় করতে বলা হয়েছে।
তবে তারপর কোনো নামাজ পড়কে সেটি আদায়ই হবেনা,বিষয়টি এমন নহে।
এর পরেও নফল,কাজা ইত্যাদি নামাজ আদায় করা যাবে।
সমস্যা নেই।
রাসুল সাঃ থেকে বিতরের পর নফল পড়ার প্রমান রয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها : أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوتِرُ بِتِسْعِ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ أَوْتَرَ بِسَبْعِ رَكَعَاتٍ، وَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ الْوِتْرِ يَقْرَأُ فِيهِمَا، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ فَرَكَعَ ثُمَّ سَجَد
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর সলাত নয় রাক‘আত আদায় করতেন। পরবর্তীতে (শেষ বয়সের দিকে) তিনি সাত রাক‘আত বিতর সলাত আদায় করেন এবং বিতরের পর বসাবস্থায় দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন। তাতে ক্বিরাআত পাঠ করেছেন এবং রুকূ‘র সময় দাঁড়িয়ে রুকূ‘ করেছেন, অতঃপর সাজদাহ্ করেছেন।
(আবু দাউদ ১৩৫১.নাসায়ী (অধ্যায় : ক্বিয়ামুল লাইল, অনুঃ নয় রাক‘আত বিতর পড়ার নিয়ম, হাঃ ১৭২১)।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিতরের নামায পড়ে ফেললে তারপর অন্য ওয়াক্তের কাযা নামায আদায় করা যাবে।