আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
544 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
পারিবারিক সংগঠনে আমার পিতা মাতার উপস্থিতিতে মেয়ে পছন্দ করে ৮ মাস যাবৎ বিয়ে করছি করোনা সমস্যা থাকার কারণে স্ত্রীকে টাকা দিতে পারি নাই। কুরবানির ঈদে একসাথে বাড়ি গেলেও সে আমার কাছে আসতে পারে নাই। পরবর্তী মাসে আমাকে যোগাযোগ বন্ধ করা সত্ত্বেও মাকে নিয়ে বাড়ি গেলেও মেয়ের মা মেয়েকে যাইতে দেয়নি অথচ মেয়ের মা আমাকে পছন্দ করে নাই বিধায় ছেলে কথা বলতে পারে না কানে শুনে না, মেয়েকে টাকা দিতে পারে নাই এমন বাধা বিপত্তি ঝগড়া লেগে আছে৷ পরবর্তী সময় আমি ফেসবুকে ডিভোর্স লিখে তার পরিবার আমাকে অভিযোগ করে আমি বলছি শাশুড়ী আমার মাকে ঝগড়া করে বউকে আসতে দেয়নি। পরবর্তী মাসে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে তার মা ঝগড়া করে স্ত্রীকে বলে আমি বিষ খেয়ে মারা যাবো এমন কথা শুনে তার মাকে ভালবাসে কষ্ট দিতে চায় না। আমার ব্যবহার পরিচয় না জেনে তার বাবা মা পরিবার আত্মীয় স্বজন মেনে নিচ্ছে না অথচ আমি ঐ গ্রামের মানুষ না তবে আরেক গ্রামের মানুষ। এমন সময় প্রতিবাদ করলে তার বাবা বলে আমি মেয়েকে বিয়ে দিবো না বিয়ে দিতে চায় না। আমার ব্যবহার পরিচয় না জেনে আমাকে ছোট মনে করছে। আমার নানা উপস্থিতি সব কথা বুঝিয়ে বলার পরে আমি কোন কথা বলতে পারি নাই এমন সম্মুখীন হয়ে ওঠে তারা মারামারি করবে বলে আমাকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিবে মেয়ে আসলে আমাকে পড়ালেখা করাবে না পরবর্তী সময় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দিছে। তালাকের নোটিশ লিখে সংসার করবে না, তালাকনামা সাইন করে ৯০দিন কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও নানার কাছে রাখলে কাগজপত্র আমাকে দেয়নি বা জানায়নি তারা যা বলে তাই করে আমার বাবা মা মেনে নিচ্ছে না। বউ আসতে পারছে না এমন সম্মত আমি তালাক দেয়নি তাহলে কি তালাক কার্যকর হবে? অতএব আমি কথা বলতে পারি কিন্তু কথা বলতে সাহস পায়নি কানে মেশিন পড়ে কথা শুনে চাকরি করি সংসার করতে সমস্যা নাই, খোরপোষ দিতে পারলে সে আসবে না এমন কথা বলে।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই! 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কি কোনোদিন স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়েছিলেন?
নিকাহনামায় ১৮ নং ধারায় স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়েছিলেন?

যদি স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা না দিয়ে থাকেন,তাহলে তো স্পষ্ট যে আপনার স্ত্রী যে তালাক দিয়েছে,এটার তো সে ক্ষমতাবান হননি।
সুতরাং এই তালাক গ্রহনযোগ্য হবেনা।
,
আর যদি আপনি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দিয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে সেই তালাক নামায় কি লেখা ছিলো,(তালাক নামা আপনার কাছে পাঠানো হোক বা না পাঠানো হোক,তাতে কোনো সমস্যা নেই)।

যদি তালাক নামায় স্ত্রী নিজে নিজে তালাক দেয়,বা নিজের নফসের তালাক দেয়,তাহলেই কেবল তালাক হবে।
নতুবা যদি স্বামীকে তালাক দেওয়ার কথা লেখা থাকে,তাহলে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...