উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নামাজের মধ্যে অন্যতম একটি সুন্নাত হলো পায়ের গোছা,হাটু,উরু সম্পুর্ন সোজা রাখা।
হাটু সামনের দিকে বাকা না করা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَالِمٍ الْبَرَّادِ، قَالَ أَتَيْنَا عُقْبَةَ بْنَ عَمْرٍو الأَنْصَارِيَّ أَبَا مَسْعُودٍ فَقُلْنَا لَهُ حَدِّثْنَا عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ بَيْنَ أَيْدِينَا فِي الْمَسْجِدِ فَكَبَّرَ فَلَمَّا رَكَعَ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَجَعَلَ أَصَابِعَهُ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ وَجَافَى بَيْنَ مِرْفَقَيْهِ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ شَىْءٍ مِنْهُ ثُمَّ قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقَامَ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ شَىْءٍ مِنْهُ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى الأَرْضِ ثُمَّ جَافَى بَيْنَ مِرْفَقَيْهِ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ شَىْءٍ مِنْهُ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَجَلَسَ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ شَىْءٍ مِنْهُ فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا ثُمَّ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ مِثْلَ هَذِهِ الرَّكْعَةِ فَصَلَّى صَلاَتَهُ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي .
যুহায়ের ইবনু হারব্ .......... সালেম আল্-বাররাদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা উকবা ইবনু আমের আল-আনসারী (রাঃ) -র কাছে গিয়ে,তাকে বলি যে,আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামায সম্পর্কে অবহিত করুন। তখন তিনি আমাদের সম্মুখে মসজিদে দন্ডায়মান হয়ে “তাকবীরে তাহরীমা” বলেন এবং তিনি যখন রুকুতে যান, তখন তিনি তাঁর দুই হাত দুই হাঁটুর উপর রাখেন এবং তার আংগুলগুলি হাঁটুর নিম্নাংশে স্হাপন করেন এবং তিনি তাঁর হাতের দুই কনুই পৃথক রাখেন- এমতাবস্হায় শরীর স্হির ভাব ধারণ করে। অতঃপর তিনি “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলে স্হিরভাবে দন্ডায়মান হল। পরে তিনি আল্লাহু আক্বার বলে সিজদায় গমন করেন এবং উভয় হাতের কনুইদ্বয় পৃথক রেখে এমনভাবে সিজদা করেন- যে, তাঁর সমস্ত শরীর শান্তভাব ধারণ করে। অতঃপর তিনি সিজদা হতে মাথা উঠিয়ে স্হিরভাবে উপবেশন করেন এবং তিনি চার রাকাত নামায আদায় করেন, অতঃপর বলেনঃ আমি এরূপেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামায আদায় করতে দেখেছি-
(আবু দাউদ ৮৬৩)
,
নামাজের ভিতর যেহেতু হাটু সোজা রাখা সুন্নাত,তাই কেহ যদি হাটু সামনের দিকে ঝুকিয়ে রাখে,তাহলে তার সুন্নাত আদায় হবেনা, নামাজ হয়ে যাবে।
তবে ওযর ব্যাতিত এমন কাজ না করাই উচিত।
,
(০২)৷ এই বিষয়ে অনেক প্রশ্ন হয়েছে।
আত্মীয়তা সম্পর্ক নষ্ট,এটা ছাড়া দ্বীন শেখা না হওয়া,নেককারদের সুহবতও হবেনা, অনলাইনে দ্বীনি বোনদের সাথে যে কানেকশন আছে,সেটও ধরে রাখা যাবেনা,ওয়াইফাইছাড়া গ্রামে মোবাইলনেটওয়ার্ক ধরে না,অনলাইনে ছাত্রীদের ক্বোরআন শিক্ষা দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে ইত্যাদি ,,,,
সবগুলো প্রশ্ন দেখে মনে হচ্ছে যে আপনার জন্য এখন উচিত যে অভিভাবক সহ আপনার ভাইকে নিয়ে বসুন।
তাদেরকে বলুন যে যেহেতু এই ওয়াইফাই নেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য আমার দ্বীন শিখা,অথচ এ থেকে গুনাহ হচ্ছে।
এই মুহূর্তে আমি সকলকে নিষেধ করে দিচ্ছি যে কেহ এ থেকে গুনাহের কাজ করবেননা।
কাহারো এ থেকে গুনাহ করার আশংকা থাকলে তাকে পাসওয়ার্ড দিবেননা।
সুতরাং আমি স্পষ্ট আকারে জানাচ্ছি যে এ থেকে অন্য কেহ গুনাহ করলে সেটার দায়ভার আমার নয়।
আমি নিষেধ করেছিলাম।
,
এর পর থেকে আপনার আর কোনো সমস্যা হবেনা, ইনশাআল্লাহ
,
তবে আপনার অভিভাবকরা যদি বলে যে এটা শুধু মাত্র তোমার দ্বীন শিখার জন্য নেওয়া হয়েছে,সুতরাং আমরা কেহই এর গুনাহের ভাগিদার হবোনা।
তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভাই এবং যারা যারা এ থেকে গুনাহের কাজ করছে,সকলকেই ব্লক মেরে দিতে হবে,নতুবা লাইন কেটে দিতে হবে।
অন্যথ্যায় তাদের গুনাহের ভার আপনাকে নিতে হবে।
.
(০৩) সেহেরির শেষ সময়ে খেজুর খেয়ে পানি খাওয়ার পরেও যদি গলায় জিহ্বার গোড়ার সামান্য নিচে মিষ্টি জাতীয় স্বাদ হয়, যা বারবার থুথু গেলার সাথে ভেতরে চলে যায়। তাহলে রোযা নষ্ট হবেনা।
,
(০৪)গুনাহ্ থেকে নিজে বাঁচতে ও অপরকে বাঁচাতে গিয়ে যদি পরিবারের বাবা মা ভাই বোনের চক্ষুশূলে পরিণত হতে হয়, তারা সবাই অসন্তুষ্ট হয়ে যায়, সবাই বিদ্বেষমূলক আচরণ করতে শুরু করে, এমতাবস্থায় আপনি তাদেরকে হেকমতের সহিত আস্তে আস্তে বুঝানোর চেষ্টা করবেন।
,
এতোটা কঠোর হয়ে বুঝাবেননা।
আপাতত কিছু দিন তাদেরকে কিছু বুঝায়েননা।
এই রেশ কেটে উঠুক,তারপর হেকমতের সাথে বুঝাবেন।
যারা আপনাকে কিছুটা বুঝে,বা তেমন ঐ রকম আচরণ করেনা,তাদেরকে শুরুতে বুঝিয়ে নিন।
তারপর তাদের মাধ্যনে অন্যদেরকে বুঝান।
,
আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ ।
মানসিক পরিস্থিতি সামলিয়ে উঠার জন্য আপনি আপাতত তাদের সাথে উঠা বসা একটু কমিয়ে দিন,যাতে তেমন কথা শুনতে না হয়।
আপনি অল্প কিছুদিন একাকি থাকার চেষ্টা করুন।
মাথা হালকা করে উলামায়ে কেরামদের বয়ান শুনুন।
ছাহাবায়ে কেরামদের ঈমানদিপ্ত জীবনী পড়ুন।
উলামায়ে কেরামদের লিখিত কিতাবাদী পড়তে থাকুন।
ইনশাআল্লাহ মন ঠিক হয়ে যাবে।