কিছু মাসআলা ক্লিয়ার করে নিতে চাই

Question

সম্মানীত শয়েখ আস সালামু আলাইকুম।
আমার কিছু প্রশ্ন আছে।

 আমি একদিন যহোরের সালাতে গিয়ে ইমামকে রুকুতে পেয়েছি আমি গিয়ে ইমাম এর সাথে শামিল হয়েছি।  আমি
সুবহা-না রব্বিয়াল ‘আযীম একবার পড়া শেষের দিকে তখন ইমাম
সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ বলেছে । আমি মাসআলা টা ভুল বুঝেছিলাম যে একবার রুকুর তাসবীহ বলতে হয় তাই আমি সালাতের ভিতরে দ্বীধাদন্দে পড়ে গেছিলাম তাই আমি রুকু পাইনি ধরে শেষে এক রাকাত আদায় করে নিয়েছিলাম।
এখন আমি জানতে পেরেছি যে হানাফি ফিকহে ইমমকে শরীয়তের বিধান হলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে মুখে তাকবিরে তাহরিমা বলে তারপর রুকুতে গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য পেলেই তবে সে উক্ত রাকাত পাবে।
নতুবা তাকে উক্ত রাকাত পায়নি বলেই গন্য করা হবে।
এখানে ইমামকে এক তাসবীহ পরিমাণ পাওয়া জরুরি নয়।
প্রশ্ন 1: এখন আমার ওই সালাত এর কি হবে। এটিতো মাসখানের আগে ঘটেছে।   আমার তো ১ রাকাত পড়া উচিত হয়নি।  আমিতো রাকাত পেয়েছিলাম।  আমার বুঝার ভুল ছিলো আমি ভেবেছিলাম ইমাম এর সাথে রুকুর ১ তাসবী পড়া পর্যন্ত পেতে হবে। জানতাম না সামান্য সময় এর জন্য পেলে হবে।  সালাত কি আবার পড়ে নিতে হবে। নাকি আমার সালাত হয়ে গেছে।
আপনারা আপনাদের ওয়েবসাইটে  লিখেছেন অনেকটা এমন  (  সেজদার সংখ্যাকে নিয়ে সন্দেহ থাকলে তাহলে আপনার জন্য তাহাররি করা উচিৎ ।সর্বশেষ কম সংখ্যা তথা একটি সেজদা দিয়েছেন,সেটাকে ধরে নিয়ে আরেকটি সেজদা দিয়ে সাহু সেজদার মাধ্যমে নামাযকে সম্পন্ন করা  উচিৎ ।)
এখন মনে করেন আমি ফজরের সুন্নত সালাত আদায় করছি।  আমি ১ ম রাকাত  রুকু সেজদাহ করে উঠে দাড়িয়েছি তখন মনে হচ্ছে আমি সেজদাহ 1 টা করেছি। তখন কিন্তু আমি অলরেডি দাড়িয়ে পড়েছি।    তারপর ২ য় রাকাত শেষ করে  সালাম ফিরানোর আগে আমি সাহু সেজদাহ করে নিলাম।
প্রশ্ন 2:  এক্ষেত্রে আমার সালাত কি হবে । নাকি ১ টা সাজদাহ দেওয়ার ফলে নষ্ট হয়ে যাবে।  আমি যতদুর জানি  ১ টা সেজদাহ দিলে ফরজ আদায় হয়ে যায়।  আমিকি ভুল জানি নাকি সঠিক।
প্রশ্ন 3: সেজদাহ দেওয়া ফরজ ।কিন্তু কয়টা সেজদাহ ১ টি নাকি  ২ টি।   ১ টি দিলো কেউ পরে যদি মনে পড়ার কারণে শেষে সাহু সেজদাহ দেয় তাহলে কি সালাত হবে।
প্রশ্ন 4:  শায়েখ  সালাতের ভিতরে  ৩ তাসবীহ পরিমান চুপ করে থাকলে সেজদায়ে সাহু দিতে হয়। অনেক সময় ইমাম সাহেব কেরাত পড়তে গিয়ে কেদে ফেলে।  তখন তার আগের মতো কেরাতে ফিরে আসতে ৩ তাসবীহ পরিমান এর বেশি সময় লেগে যাই।  এই বিষয়ে মাসআালা জানতে চাই। এটাকি শুধু ইচ্ছকৃত ভাবে ৩ তাসবীহ চুপ থাকলে সাহু সেজদাহ দিতে হবে।
প্রশ্ন 5: আনেক সময় মনে হয় যে সেজদাহ একটা দিয়েছি কিন্তু ওই মুহুর্তে যখন ২য় সেজদায় আছি তখন যদি মনে পড়ে যায় যে আগে একবার দিয়েছি।  বা  ২য় সেজদার তাসবীহ পড়া অবস্থায় তাহাররি করে মনে হলো আগে একবার সেজদাহ  দিয়েছি   । তাহলে তো আমার সাহু সেজদার প্রয়োজন নেয়। যেহেতু ২ বার সেজদাহ দিচ্ছি কনফার্ম হয়ে যাচ্ছি।
প্রশ্ন 6: এই যে আমি সেজদারত অবস্থায় সেজদার তাসবীহ পড়ছি আর তাহাররি করছি বা সেজদাহ দিছি কিনা মনে করছি। এটার মাসআালা কি । এটাতে তো আমার ওয়াজিব ছুটে যাচ্ছেনা সুতরাং সাহু সেজদাহ দেওয়া লাগবে না।  কিন্তু এটা কি ওই ৩ তাসবীহ পরিমান সালাতে চুপ থাকার কাতারে পড়বে কিনা।  আমিতো চুপও থাকছি না । সুতরাং এর কি মাসআলা আছে নাকি এমনটা করলে সমস্যা নাই।
হয়তো শায়েখ প্রশ্ন গুলো গুছিয়ে লিখতে পারিনি।  ভুল গুলো মাফ করবেন।  আল্লাহ আপনাদের খেদমত কবুল করে নিক।

Comments

আমার উত্তর গুলো কবে পাবো শায়েখ

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১)

আপনি এক রাকাত অতিরিক্ত পড়েছেন, তবে যেহেতু ইমামের সাথে চতুর্থ রা'কাতে বৈঠক করেছেন, তাই আপনার ফরয নামায যা ইমামের সাথে পড়েছেন, সেটা আদায় হয়ে গেছে। তবে অতিরিক্ত এক রাকাত বেকার বলে গণ্য হবে।তা সওয়াবের জন্য ধর্তব্য হবে না।

(২)

প্রত্যেক রা'কাতে দুইটি সিজদা ফরয।সুতরাং আপনার ফরয আদায় হয়নি , তাই আপনি উক্ত নামাযকে আবার দোহড়িয়ে নিবেন।

(৩)

কোনো রা'কাতে একটি সিজদা দেওয়ার পর যদি মনে হয় যে, একটি সিজদা দেয়া হয়নি, এবং এটা মনে করে যদি কেউ সাহু সিজদা দিয়ে দেয়, তাহলে নামায আদায় হবে না।বরং আবার নামায দোহড়িয়ে পড়তে হবে।

(৪)

ইচ্ছাকৃত  তিন তাসবীহের সমপরিমাণ সময় যদি কেউ অনর্থকভাবে কাটায়,তাহলে তার উপর সাহু সিজদা আসে। কোনো বিশেষ কারণবশত হয়ে গেলে, তখন সাহু সিজদা আসবে না।

(৫)

জ্বী, তখন সাহু সিজদার প্রয়োজন নাই।

(৬)

জ্বী, তখন যেহেতু তাহাররি হয়নি, তাই সাহু সিজদাও আসবে না।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছ

---

আমি আপনার সাথে ফোনে ৫ মিনিট কথা বলতে পারি শায়েখ। আপনি অনুমতি দিলে what's app এ। আপনার যখন ফ্রি সময় হবে