আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,017 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বিয়ে হয় দু বছর আগে। আমার স্বামীর অভিযোগ আমার শারীরিক সমস্যা আছে। আল্লাহ কসম বিয়ের আগে ফিজিক্যাল রিলেশন দূরে থাক কোনো পুরুষের সাথেই তেমন কথা বলতাম না।পর্দা করে চলেছি। আমাদের দুজনেরই দুজনার প্রতি খারাপ লাগা কাজ করে।একদম জঘন্য একটা সম্পর্কে আছি। দুজনার কথা হয় যে থাকব না আর এই সম্পর্কের মধ্যে। কিন্তু উনি আমাকে যেতে দিচ্ছে না। কিন্তু বারবার বলছে যে থাকবে না, আমার নিজেকে তালাক দিয়ে যেতে বলছে এবং উনি মৌখিক পারমিশন ও দিয়েছেন এ ব্যাপারে। আমি প্রথমে রাজি হইনি। পরে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি দেখে পরে সিদ্ধান্ত নেই যে আমিই দিব যেহেতু পারমিশন দিয়েছেন। তো ব্যাপারটা এমন হয়ে গিয়েছে যে প্রায়ই বলে উনি থাকবেন ,, এ সম্পর্ক রাখবেন, আমার সাথে সংসার করবেন না, আমাকে তার সন্তানের মা করবেন না এসব জাতীয় কথা। তাই আমিও বলছি রাগে যে আমিও থাকব না। তাই এখন একটু আধটু কিছু হলেই বলে যে তুমি যাবে কবে? দৈনিক অন্তত ১ বার জিজ্ঞেস করে। কখনও হাসতে হাসতেও বলে। আজ তেমন কোনো ঝগড়াঝাটি না এমনিতেই বলে তুমি যাবে কবে?  মানে একেবারে কবে যাব। নিয়ত কি ছিল জানি না। আমি বলে ফেলেছি যে যেদিন মুক্তি দিবেন কারন উনি আমাকে যেতে বলে কিন্তু যেতে দেয় না। আজ হঠাৎ ২ বার পরপর বললেন যে তুমি মুক্ত।  অনেক আগেও এভাবে বলেছিল। আমি বিষয় টি জানতাম না যে এভাবে বললে কিছু হয় কিনা।
এভাবে কি তালাক হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট তিন প্রকারঃ যথাঃ-
وَالْأَحْوَالُ ثَلَاثَةٌ (حَالَةُ) الرِّضَا (وَحَالَةُ) مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ بِأَنْ تَسْأَلَ هِيَ طَلَاقَهَا أَوْ غَيْرُهَا يَسْأَلُ طَلَاقَهَا (وَحَالَةُ) الْغَضَبِ
পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।

فَفِي حَالَةِ الرِّضَا لَا يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي الْأَلْفَاظِ كُلِّهَا إلَّا بِالنِّيَّةِ وَالْقَوْلُ قَوْلُ الزَّوْجِ فِي تَرْكِ النِّيَّةِ مَعَ الْيَمِينِ
(১) খশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য।

وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي
(২)তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"আজ তেমন কোনো ঝগড়াঝাটি না এমনিতেই বলে তুমি যাবে কবে?  মানে একেবারে কবে যাব। নিয়ত কি ছিল জানি না। আমি বলে ফেলেছি যে যেদিন মুক্তি দিবেন কারন উনি আমাকে যেতে বলে কিন্তু যেতে দেয় না। আজ হঠাৎ ২ বার পরপর বললেন যে তুমি মুক্ত।  অনেক আগেও এভাবে বলেছিল। "

এ কথা দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয়েছে।সুতরাং আপনাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। তুমি মুক্ত দ্বারা স্বামী তিন তালাকের নিয়ত করলে তিন তালাকও পতিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। 
আমি পরে উনাকে জিজ্ঞেস করেছি যে আপনার কি নিয়ত ছিল।( কারন সেদিন কোনো ঝগড়া, তর্ক বা এমন কিছুই হয়নি)।   বললেন, আমি তোমাকে কোনোদিন নিজে তালাক দিতে পারব না।এমনিতেই বলেছি।এটা বলার পর আবারও একা একাই বলে উঠে তুমি মুক্ত,একবার না অনেকবার বললেন, মুক্ত, মুক্ত,......। 
আমাকে দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন। 
উনি আপনাদের এই যুক্তিগুলো মানে না,আমি মানি। আসলে আমার এখন কি করা উচিত বুঝতে পারছি না। একটু দয়া করে সাহায্য করুন।       
আর আমি জানতাম ৩ তালাক বললে তালাক হয়ে যায়। ১ তালাক হলেও বিয়ে ভেঙে যায়! আমার এখন কি করনীয়, একটু দয়া করে বলুন।   
by (590,550 points)
ফোনে কথা বলুন।
by (590,550 points)
তারপর আপনার সাথে বিস্তারিত কথা হবে।
by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। 
শায়েখ আপনার ফোন নং টা একটু দিন তাহলে। নয়ত কিভাবে কথা বলব?    
by (590,550 points)
01717917686 রাতে বাদ এশা কল দিবেন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...