بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আল্লাহ
তায়ালা এরশাদ করেন,
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن
بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ
عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ [٢:٢٣٠]
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর
কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয়
স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের
উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার
ইচ্ছা থাকে। [সূরা বাকারা-২৩০]
وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن
طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن
طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك
হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে
তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে
জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি
বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই
ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন
তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা
পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}
আরো বিস্তরিত জানতে ভিজিট
করুন: https://ifatwa.info/14316/
প্রশ্নকারী
প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রী যদি স্বামী কর্তৃকপ্রাপ্ত লিখিত বা মৌখিক তালাক প্রদানের
অধিকার বলে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে। আর যদি স্বামী স্ত্রীকে নিজের
উপর তালাক পতিত করার অধিকার প্রদান না করে থাকে, তাহলে স্ত্রী নিজের উপর তালাক করার দ্বারা
কোন তালাক করার দ্বারা কোন তালাক হয় না। সেই হিসেবে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর দ্বারা কোন
তালাকই পতিত হবে না। যদি তালাক হয়ে থাকে, তাহলে দেখতে হবে কয় তালাক পতিত করেছে?
এর উপর নির্ভর করে স্ত্রী আবার স্বামীর ঘরে আসতে পারবে কি না?
যদি এক বা দুই তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে ফিরে আসতে পারবে। আর যদি তিন তালাক
পতিত করে থাকে, তাহলে আসতে
পারবে না। বরং স্ত্রীর
যদি তালাক পতিত হবার পর ইদ্দত শেষে অন্য কোথাও তার বিয়ে হয়, তারপর সেখানে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে
থাকে, তারপর দ্বিতীয় স্বামী মারা
যায় কিংবা তালাক দেয়, তারপর ইদ্দত
শেষে আবার প্রথম স্বামী বিয়ে করতে পারবে। এছাড়া কোন পথ নেই।
সুতরাং আপনার স্বামী যদি আপনাকে তালাকে তাফবীজের
অধিকার দিয়ে থাকেন তাহলে তিনি যেই কয় তালাকের অধিকার দিয়েছেন সেই অনুযায়ী তালাক
পতিত হবে।